ঢাকা ১০:৪২ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ৭ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সাইবার দুর্বৃত্তদের টার্গেট এবার টিকটক

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১১:৫২:৫৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৭ অগাস্ট ২০১৯
  • ৩৩৩ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ দিন দিন সংক্ষিপ্ত ভিডিও শেয়ারিং অ্যাপ টিকটকের জনপ্রিয়তা বাড়ছে। শুধু তাই নয়, অল্প সময়ের মধ্যে এটি বিশ্বের সবচেয়ে বেশি ডাউনলোড হওয়া অ্যাপের তালিকায় ৪ নম্বরেও উঠে এসেছে। তাই এবার সাইবার দুর্বৃত্তরা এর দিকে এখন ঝুঁকছে এবং ব্যবহারকারীদের কৌশলে বাজে সাইটে নিয়ে যাচ্ছে।

সাইবার নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠান টেনাবল সম্প্রতি এ বিষয়ে এক গবেষণা প্রকাশ করেছে। ৫০ পাতার সেই গবেষণা প্রতিবেদনে টিকটকের ঝুঁকিপূর্ণ দিকগুলো উঠে এসেছে। সেখানে বলা হয়েছে, টিকটক ধীরে ধীরে প্রাপ্তবয়স্কদের ডেটিং স্ক্যাম ও ভুয়া অ্যাকাউন্টের কেন্দ্র হয়ে উঠছে।

সাইবার দুর্বৃত্তরা টিকটক ভিডিওর মাধ্যমে ব্যবহারকারীদের একটি নির্দিষ্ট পেজ বা ওয়েবসাইটে নিয়ে যায়। ব্যবহারকারীকে তারা ব্যক্তিগত তথ্য দিয়ে ওই পেজ বা সাইটে সাইন আপ করতে বলে যার বেশির ভাগই ডেটিং সাইট।

এক ব্লগ পোস্টে টেনাবলের বিশেষজ্ঞ সাতনাম নারাং বলেছেন, টিকটকের জনপ্রিয়তা বাড়ার পাশাপাশি স্ক্যামারদের আকর্ষণও বাড়ছে। দুর্বৃত্তরা স্ন্যাপচ্যাট ও ইনস্টাগ্রামের বিভিন্ন প্রোফাইল থেকে আকর্ষণীয় ছবি চুরি করে তা কাজে লাগায়। পরে ব্যবহারকারীর আগ্রহ কাজে লাগিয়ে বিভিন্ন ন্যুড পেজে তাদের নিয়ে যায়। সেখান থেকে বিভিন্ন ডেটিং সাইটে ব্যবহারকারীকে পাঠানো হয়। সেখানে বয়সসহ বিভিন্ন তথ্য পূরণ করতে বলা হয়। এসব তথ্য পূরণ করলে আবার আরেকটি সাইটে নিয়ে যায়। সেখানেও তথ্য পূরণ করতে হয়। এ ধরনের কাজের জন্য কস্ট পার অ্যাকশন (সিপিএ) ভিত্তিতে অর্থ আয় করতে পারে তারা। এ ধরনের অ্যাকাউন্ট তৈরি করাতে পারলে সে সকল সাইবার দুর্বৃত্তদের এক থেকে তিন ডলার পর্যন্ত আয় হয়। এর বাইরে প্রিমিয়াম স্ন্যাপচ্যাট আকাউন্টে সাইনআপ করানোর মাধ্যমেও অর্থ ও তথ্য হাতিয়ে নেয় তারা।

এদিকে অ্যাপল ডিভাইসে টিকটক স্ক্যামার ও স্ক্যাম সংখ্যা বাড়ছে বলে প্রযুক্তি বিষয়ক ওয়েবসাইট সিনেটের প্রতিবেদনে উঠে এসেছে। এছাড়া ডাউনলোডের হিসেবে অ্যাপ স্টোরের শীর্ষে এবং গুগল প্লে স্টোরেও এটি তিন নম্বরে আছে বলে প্রতিবেদনে বলা হয়।

টিকটকের একজন মুখপাত্র অ্যাপের স্ক্যাম অ্যাকাউন্ট প্রসঙ্গে বলেন, টেনাবলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা স্ক্যাম অ্যাকাউন্টগুলো সরিয়ে ফেলা হয়েছে। ভুয়া ও প্রতারণামূলক কনটেন্টের বিরুদ্ধে টিকটকের নীতিমালা কঠোর। ব্যবহারকারীর ফিডে পৌঁছানোর আগেই স্ক্যাম অ্যাকাউন্ট মুছে ফেলা হয়।

তবে এখন পর্যন্ত অবশ্য কতগুলো অ্যাকাউন্ট সরানো হয়েছে সে বিষয়ে মুখ খোলেনি টিকটক কর্তৃপক্ষ।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

সাইবার দুর্বৃত্তদের টার্গেট এবার টিকটক

আপডেট টাইম : ১১:৫২:৫৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৭ অগাস্ট ২০১৯

হাওর বার্তা ডেস্কঃ দিন দিন সংক্ষিপ্ত ভিডিও শেয়ারিং অ্যাপ টিকটকের জনপ্রিয়তা বাড়ছে। শুধু তাই নয়, অল্প সময়ের মধ্যে এটি বিশ্বের সবচেয়ে বেশি ডাউনলোড হওয়া অ্যাপের তালিকায় ৪ নম্বরেও উঠে এসেছে। তাই এবার সাইবার দুর্বৃত্তরা এর দিকে এখন ঝুঁকছে এবং ব্যবহারকারীদের কৌশলে বাজে সাইটে নিয়ে যাচ্ছে।

সাইবার নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠান টেনাবল সম্প্রতি এ বিষয়ে এক গবেষণা প্রকাশ করেছে। ৫০ পাতার সেই গবেষণা প্রতিবেদনে টিকটকের ঝুঁকিপূর্ণ দিকগুলো উঠে এসেছে। সেখানে বলা হয়েছে, টিকটক ধীরে ধীরে প্রাপ্তবয়স্কদের ডেটিং স্ক্যাম ও ভুয়া অ্যাকাউন্টের কেন্দ্র হয়ে উঠছে।

সাইবার দুর্বৃত্তরা টিকটক ভিডিওর মাধ্যমে ব্যবহারকারীদের একটি নির্দিষ্ট পেজ বা ওয়েবসাইটে নিয়ে যায়। ব্যবহারকারীকে তারা ব্যক্তিগত তথ্য দিয়ে ওই পেজ বা সাইটে সাইন আপ করতে বলে যার বেশির ভাগই ডেটিং সাইট।

এক ব্লগ পোস্টে টেনাবলের বিশেষজ্ঞ সাতনাম নারাং বলেছেন, টিকটকের জনপ্রিয়তা বাড়ার পাশাপাশি স্ক্যামারদের আকর্ষণও বাড়ছে। দুর্বৃত্তরা স্ন্যাপচ্যাট ও ইনস্টাগ্রামের বিভিন্ন প্রোফাইল থেকে আকর্ষণীয় ছবি চুরি করে তা কাজে লাগায়। পরে ব্যবহারকারীর আগ্রহ কাজে লাগিয়ে বিভিন্ন ন্যুড পেজে তাদের নিয়ে যায়। সেখান থেকে বিভিন্ন ডেটিং সাইটে ব্যবহারকারীকে পাঠানো হয়। সেখানে বয়সসহ বিভিন্ন তথ্য পূরণ করতে বলা হয়। এসব তথ্য পূরণ করলে আবার আরেকটি সাইটে নিয়ে যায়। সেখানেও তথ্য পূরণ করতে হয়। এ ধরনের কাজের জন্য কস্ট পার অ্যাকশন (সিপিএ) ভিত্তিতে অর্থ আয় করতে পারে তারা। এ ধরনের অ্যাকাউন্ট তৈরি করাতে পারলে সে সকল সাইবার দুর্বৃত্তদের এক থেকে তিন ডলার পর্যন্ত আয় হয়। এর বাইরে প্রিমিয়াম স্ন্যাপচ্যাট আকাউন্টে সাইনআপ করানোর মাধ্যমেও অর্থ ও তথ্য হাতিয়ে নেয় তারা।

এদিকে অ্যাপল ডিভাইসে টিকটক স্ক্যামার ও স্ক্যাম সংখ্যা বাড়ছে বলে প্রযুক্তি বিষয়ক ওয়েবসাইট সিনেটের প্রতিবেদনে উঠে এসেছে। এছাড়া ডাউনলোডের হিসেবে অ্যাপ স্টোরের শীর্ষে এবং গুগল প্লে স্টোরেও এটি তিন নম্বরে আছে বলে প্রতিবেদনে বলা হয়।

টিকটকের একজন মুখপাত্র অ্যাপের স্ক্যাম অ্যাকাউন্ট প্রসঙ্গে বলেন, টেনাবলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা স্ক্যাম অ্যাকাউন্টগুলো সরিয়ে ফেলা হয়েছে। ভুয়া ও প্রতারণামূলক কনটেন্টের বিরুদ্ধে টিকটকের নীতিমালা কঠোর। ব্যবহারকারীর ফিডে পৌঁছানোর আগেই স্ক্যাম অ্যাকাউন্ট মুছে ফেলা হয়।

তবে এখন পর্যন্ত অবশ্য কতগুলো অ্যাকাউন্ট সরানো হয়েছে সে বিষয়ে মুখ খোলেনি টিকটক কর্তৃপক্ষ।