হাওর বার্তা ডেস্কঃ স্মৃতিশক্তি লোপ পাওয়া রোগ অ্যালঝেইমারসের লক্ষণ প্রকাশের ২০ বছর আগেই একটি রক্ত পরীক্ষায় এ সম্পর্কে আগাম জানা যাবে, এমনটা বলছেন বিজ্ঞানীরা। আমেরিকার সেন্ট লুইস সিটির গবেষকরা একটি উপায় বের করেছেন, যার মাধ্যমে মস্তিষ্কে এই রোগের জন্য কী পরিমাণ প্রোটিন ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে তা পরিমাপ করা যাবে। তারা বলছেন, বয়স ও জেনেটিক ঝুঁকিগুলো বিবেচনা করে তাদের সেই পরীক্ষা ৯৪ শতাংশ নির্ভুল হয়েছে।
বিজ্ঞানীরা বলছেন, ৬৫ বছরের পর ভুলে যাওয়া রোগ প্রতি ৫ বছর পর দ্বিগুণ হয়ে যায়। নতুন এই রিপোর্টটি মেডিকেল জার্নাল ‘নিউরোলজি’তে প্রকাশিত হয়। এই রিপোর্টে আরো জানানো হয়, প্রাথমিক এক রক্ত পরীক্ষায় স্মৃতি লোপ পাওয়ার আগাম আভাস পাওয়া যাবে, যা ব্রেন স্ক্যানের মাধ্যমে জানা যায়নি। বিজ্ঞানীরা বলেছেন, এতে করে তা রোধ করার জন্য কোন ওষুধ কার্যকর হবে, সে বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে পারবেন রোগীরা।
এই গবেষণার সহ-গবেষক ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটির মেডিকেল স্কুলের প্রফেসর অব নিউরোলজি র্যানডাল জে বেটম্যান বলেন, ‘বর্তমানে আমরা রোগীদের ব্রেন স্ক্যান করার পরামর্শ দেই, যা সময় সাপেক্ষ ও ব্যয়বহুল। কিন্তু একটি রক্ত পরীক্ষার মাধ্যমে এক মাসেই আমরা কয়েক হাজার মানুষের মস্তিষ্কের রোগ সম্পর্কে জানতে পারবো।’
নিউরোলজিস্টরা বলছেন, লক্ষণ প্রকাশের আগেই আলঝেইমারসের চিকিৎসা শুরু করা উচিত। কারণ যখন আলঝেইমারসের লক্ষণ প্রকাশ পায়, তখন রোগীর মস্তিষ্ক এতোটাই ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পড়ে যে, তখন কোনো থেরাপিই সুফল বয়ে আনতে পারে না। কয়েক বছরের মধ্যেই বিশ্বজুড়ে এই রক্ত পরীক্ষা করে আলঝেইমারস আগাম শনাক্ত করতে পারবেন রোগীরা, এমন আশাবাদ জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা।