হাওর বার্তা ডেস্কঃ ডেঙ্গুর প্রকোপ বেড়েছে। প্রকোপ বাড়ার পাশাপাশি পরিবর্তন হয়েছে ডেঙ্গুর ধরন ও লক্ষণের। আগে ডেঙ্গু হলে জ্বর অনেক বেশি হলেও বর্তমানে কিছু কিছু ক্ষেত্রে তেমন জ্বর পাওয়া যাচ্ছে না। এ ছাড়া রয়েছে অন্যান্য পরিবর্তন।
ডেঙ্গুর ধরনের পরিবর্তনের বিষয়ে এনটিভির নিয়মিত আয়োজন স্বাস্থ্য প্রতিদিন অনুষ্ঠানের ৩৫১০তম পর্বে কথা বলেছেন ডা. মতলেবুর রহমান। বর্তমানে তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত।
প্রশ্ন : ডেঙ্গু জ্বরের মধ্যে কী পরিবর্তন এসেছে?
উত্তর : এটা আসলে একটি সময়োপযোগী প্রশ্ন। বর্তমানে ডেঙ্গু নিয়ে সবার ভেতর একটি আতঙ্ক বিরাজ করছে। এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে আগে থেকেই ডেঙ্গু ছিল। থাইল্যান্ড, সিঙ্গাপুর, মালয়শিয়াতে ছিল। আমাদের দেশে ২০০০ সাল থেকে বেশি দেখা গেছে। টাইপ ওয়ান সেরোটাইপ দিয়ে তখন ডেঙ্গুটা হতো। ডেঙ্গু জ্বরের আসলে চারটি সেরোটাইপ রয়েছে। টাইপ ওয়ান, টাইপ টু, টাইপ থ্রি, টাইপ ফোর। এবার যেটি হচ্ছে ডেঙ্গু টাইপ থ্রি দিয়ে জ্বরটা বেশি হচ্ছে।
এর বৈশিষ্ট্য হলো, এ আক্রমণে বিভিন্ন অঙ্গ প্রত্যঙ্গের জটিলতা প্রকাশ পায়। আরেকটি বলা বাহুল্য, কখনো যদি তার আগে ডেঙ্গু হয়ে থাকে, হয়তো ওই ব্যক্তি টের পেয়েছেন বা টের পাননি। পরে যদি অন্য কোনো টাইপ দিয়ে ইনফেকশন হয়ে থাকে, তাহলে তার ডেঙ্গুর মাত্রা ও জটিলতা অনেক বেশি হয়। এটি ডেঙ্গুর একটি বৈশিষ্ট্য।
বলতে পারি, ২০০০ সালে যদি কারো টাইপ ওয়ান দিয়ে হয়ে থাকে, অথবা তারপরে, মানে, এবার যদি তার টাইপ থ্রি দিয়ে ইনফেকশন হয়ে থাকে, তাহলে তার জ্বরের জটিলতা ও নানাবিধ অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ যুক্ত হওয়ার ঝুঁকি থাকে। এ বছর আমরা সেটাই লক্ষ্য করছি।
প্রশ্ন : এ বছর জ্বরের ক্ষেত্রে আপনারা আরো কিছু পার্থক্য কী পাচ্ছেন? এবারের ডেঙ্গু জ্বরে উপসর্গের দিক থেকে কি কোনো পার্থক্য পাচ্ছেন?
উত্তর : আগে আমরা বলতাম, প্রচণ্ড শরীর ব্যথা, র্যাশ, চোখে ব্যথা হলে আমি ডেঙ্গু জ্বর হয়েছে বলে ধারণা করতে পারি। এবারের ধরনটা খুবই আশ্চর্যজনক। অনেকেই দেখা যাচ্ছে, জ্বর পাচ্ছেন না। শুধু জ্বর জ্বর ভাব। হালকা একটু দুর্বলতা, কেউ হয়তো বমি নিয়ে আসছেন, কারো হয়তো শুধু মাথাব্যথা। এত জটিল উপস্থাপন যে এটি যদি চিকিৎসক বা চিকিৎসা সংক্রান্ত কোনো ব্যক্তি না হয়ে থাকেন, যিনি আক্রান্ত হয়ে থাকেন, তিনি বুঝতে পারবেন না।
তাই আমরা সবাইকে পরামর্শ দিচ্ছি। আপনার যদি সম্প্রতি শরীর খারাপ হয়ে থাকে, যদি জ্বর জ্বর ভাব হয়, আপনি আপনার ধারের কাছের চিকিৎসকের কাছে পরামর্শ করে নিন।
এবারের ডেঙ্গুর ধরন পরিবর্তন হয়ে গেছে। সবসময় মানুষের মধ্যে একটি আতঙ্ক ছিল ডেঙ্গু হলে রক্ত দিতে হয়। প্লাটিলেট দিতে হয়। এ বছর বিষয়টি সম্পূর্ণ পরিবর্তন হয়ে গেছে।
ডেঙ্গুর যে ব্যবস্থাপনা, গাইড লাইন রয়েছে, সেটিও নতুন করে দেওয়া হয়েছে। এ বছর দেখা গেছে, যারা মারা গেছেন বা ডেঙ্গুতে জটিলতায় ভুগছেন, বেশিরভাগ ক্ষেত্রে তারা পানি স্বল্পতায় ভুগছেন। এ কারণে ডেঙ্গুর শক সিনড্রোম হচ্ছে।
আমাদের শরীরে যে প্রেশার ব্যবস্থাপনা হয়, সম্পূর্ণ শরীরে তার রক্ত সঞ্চালন হয়, তার অঙ্গ প্রত্যঙ্গগুলোকে ব্যবস্থাপনা করে।
যখন রক্তচাপ কমে যায়, যেটি হয়, ডায়রিয়ার ক্ষেত্রে-প্রচণ্ড যার ডায়রিয়া হয়, বমি হয়, শরীর থেকে রক্তপাত হয়ে যায়, তার ক্ষেত্রে আগে আমরা এসব খেয়াল করতাম।
এখন দেখা যাচ্ছে, ডেঙ্গুতে প্রচুর তরল চলে যাচ্ছে, শরীর থেকে। এটি শরীরের ভেতরেই রয়ে যাচ্ছে। রক্তনালি থেকে বাইরের দিকে চলে যাচ্ছে তরলটা। তখন যেটি হচ্ছে, তার প্রেশার কমে যাচ্ছে। উনি হয়তো হালকা দুর্বলতা বোধ করছেন, দুর্বলতা বোধ করার কারণে তিনি হয়তো চিকিৎসকের কাছে যাচ্ছেন না, তার প্রেশার কমে যাওয়ার কারণে শরীরে বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গে সঞ্চালন কম হচ্ছে।
যখন তিনি চিকিৎসকের কাছে পৌঁছাচ্ছেন, তখন হয়তো অনেক অগ্রবর্তী পর্যায়। এ বছর দেখা যাচ্ছে, রক্তপাতের কারণে যতটুকু না জটিলতা হচ্ছে, প্লাটিলেটের কারণে না যতটুকু জটিলতা হচ্ছে, এর চেয়ে পানি স্বল্পতা বা তারল্য স্বল্পতার কারণে জটিলতা হচ্ছে। একে আমরা চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় বলছি ডেঙ্গু শক সিন্ড্রোম। অর্থাৎ তার রক্তনালির ভেতরে যে পরিমাণ তরল থাকার কথা সেখান থেকে সেটি লিকেজ হয়ে, রক্তনালির বাইরে চলে যাচ্ছে। এতে তার প্রেশার কমে যাচ্ছে। প্রেশার কমার কারণে মস্তিষ্ক যে অক্সিজেন পেত সেটি পাচ্ছে না। এতে সে শকে চলে যাচ্ছে।
প্রশ্ন : ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা কিছু হলেও তো বেড়েছে। এই বাড়ার কারণ কী?
উত্তর : এই যে এডিস মশা দিয়ে ডেঙ্গুটা ট্রান্সমিটেট হয়, এ মশাটা আরো সমস্যা করে। যেমন, ইয়োলো ফিবার, জিকা নামে একটি ভাইরাস রয়েছে। এগুলো ট্রান্সমিট করে। এ মশাটা এ রোগগুলোকে বহন করে।
এ বছর বেশি হয়েছে, মানে আগামী বছর কম হবে। আগামী বছর চিকুনগুনিয়া অথবা জিকা, অথবা ইয়োলো ফিবার হওয়ার আশঙ্কা থাকে।
আমাদের মশার উপদ্রব আসলেই একটু বেড়েছে। মশার উপদ্রব বাড়ার কারণেই আসলে এখন ডেঙ্গুর প্রকোপ বেড়েছে।
প্রশ্ন : মশার ক্ষেত্রে যেটি বলা হচ্ছে যে, ডেঙ্গুর যে এডিস মশা সেটি একটু পরিচ্ছন্ন পানিতে জন্মায়, বিভিন্ন কৌটায় বা পরিচ্ছন্ন পানি যেখানে জমে থাকে, সেখানে জন্মায়। এই যে বৃষ্টি ও শহরে বিভিন্ন উন্নয়নকাজ, এর কারণে বিভিন্ন পাত্র ফেলা- এগুলো কী ভূমিকা রাখতে পারে?
উত্তর : এগুলোই এখন ঢাকা শহরের জন্য বেশি ভূমিকা রাখছে। বাড়িঘরে একটি ট্রেন্ড হয়েছে নতুন সবাই আসলে বাসায় ফুলের টব রাখে, এগুলো থেকে সমস্যা হয়। এটি একটি অনেক বড় কারণ।
নগরায়নের কারণে প্রচুর কনসট্রাকশন তৈরি হচ্ছে। এই কনসট্রাকশনগুলোতে হাউজ থাকে, অনেক পানি কালেকশন থাকে, এগুলোতে যখন সতেজ পানি জমা হচ্ছে, হয়তো সব জায়গায় আমাদের কর্তৃপক্ষ যেতে পারছেন না। আমাদের আসলে সচেতনতা খুব জরুরি।
আমি ব্যক্তিগতভাবে যদি কোনো কনসট্রাকশনের সঙ্গে যুক্ত থাকি বা আমার বাসায় যদি টব থাকে, অথবা ফ্রিজে যদি কোনো জমানো পানি থাকে, অথবা টায়ারে যদি নতুন কোনো সংগৃহীত পানি জমা থাকে, নাগরিক হিসেবে আসলে আমাদেরও একটি দায়িত্ব রয়েছে, আমরা যেন খেয়াল রাখি নতুন করে যেন পানি এখানে না জমে। ডেঙ্গু খুব অল্প সময়ের মধ্যে সেখানে বংশবৃদ্ধি করে।
প্রশ্ন : এডিস মশার লার্ভা মারার কোনো ব্যক্তিগত স্প্রে কি রয়েছে, যেটি দিয়ে আমরা লার্ভা মারতে পারি?
উত্তর : অনেক সময় বলা হয়, ভিনেগার ব্যবহার করলে লার্ভা মারতে পারি। সোডিয়াম হাইপো ক্লোরাইডও রয়েছে। বাজারে সোডিয়াম হাইপোক্লোরাইড স্প্রে পাওয়া যায়। এগুলো নিয়েও যদি যেখানে যেখানে পানি জমা সেখানে স্প্রে করে দেন, তাহলে আর এটি থাকছে না। এতে আমাদের নিজেদের সতর্কতা দরকার, আমাদের প্রাতিষ্ঠানিক সতর্কতা দরকার।
প্রশ্ন : ডেঙ্গু হলে কারা হাসপাতালে ভর্তি হবেন?
উত্তর : আমরা খেয়াল করছি ডেঙ্গুতে যাদের হাসপাতালে ভর্তি হওয়া প্রয়োজন, সেই তুলনায় যাদের প্রয়োজন নেই, তারাই বেশি এখানে ভিড় করছেন। এর প্রধান কারণ হলো আতঙ্ক। কিছু সংখ্যক ব্যক্তি মারা গেছেন বলেই আতঙ্ক বাড়ছে। আমরা বলতে চাই, ডেঙ্গুতে আসলে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এটি আসলেই ভাইরাল ফিবার। এর জন্য প্রধান জটিলতা হলো, পানি স্বল্পতা অথবা তারল্য স্বল্পতা। এর কিছু উপসর্গ রয়েছে, আপনি যখন চিকিৎসকের পরামর্শ নেবেন উনি বলে দেবেন। ডেঙ্গু হলেই যে হাসপাতালে চলে আসতে হবে এমন নয়।
আমাদের কিছু ক্যাটাগরি রয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা খুব পরিষ্কার একটি গাইড লাইন দিয়েছে। তিন ধরনের ডেঙ্গু আমরা এখানে নির্ধারণ করি। ক্যাটাগরি এ, বি ও সি। ‘এ’ মানে হলো, স্বাভাবিক ডেঙ্গুর মতো। জ্বর হয়েছে, মাথাব্যথা, র্যাশ- তার খারাপ কোনো লক্ষণ নেই। উনি বাসায় থাকতে পারবেন। হয়তো ক্যাটাগরি বি হয়েছে। হঠাৎ করে লিভারে দুর্বলতা তৈরি হয়। দেখা যাচ্ছে, তার জ্ঞানের তারতম্য ঘটছে, এই সব ক্ষেত্রে আমরা বলি, সেক্ষেত্রে তরল বের হয়ে যাওয়াটাকে আমরা তরল দেওয়ার মাধ্যমে পূরণ করি।
আসলে ডেঙ্গু হবে ঢাকা শহরে, এটি আমাদের একটি প্রচলিত বিষয়। এ জন্য আমাদের পরামর্শ ডেঙ্গু হলে আতঙ্কিত হওয়ার প্রয়োজন নেই। তবে সতর্ক হওয়ার প্রয়োজন রয়েছে। চিকিৎসকই নির্ধারণ করবেন তার ভর্তি হওয়া লাগবে কি লাগবে না। তারা নিজেরা যেন জোর না করেন ভর্তি নেওয়ার ক্ষেত্রে।
কারণ, যিনি ভর্তি হচ্ছেন, তার পরিবারেরও তো একটি চাপ তৈরি হচ্ছে। যেটি দরকার, সেটি হলো, ডেঙ্গু হলে প্রচুর পরিমাণ তরল জাতীয় খাবার খাবেন। আমরা বলি, মুখে খাওয়ার স্যালাইন, ডাবের পানি, লেবুর শরবত, স্যুপ, রোগীর যা মন চায়, সেটি রোগী প্রচুর পরিমাণে খাবে। এর সঙ্গে একটু লবণ যোগ করতে হবে।
প্রশ্ন : জ্বর হলে তার কত ঘণ্টা পর রক্ত নিয়ে পরীক্ষা করতে হবে?
উত্তর : এখন যেটি হচ্ছে, দ্রত রোগ নির্ণয়কারী পরীক্ষা চলে আসছে। আগে আমরা তিন দিন পরে পরীক্ষা করতাম। আমরা মোটামুটি নিশ্চিত হতাম এটি ডেঙ্গু কি না। এখন ১০ ঘণ্টা পরই আমরা রোগ নির্ণয় করে নিশ্চিত হয়ে যাই।
আমরা আরো কিছু পরীক্ষা করি। একে কমপ্লিট ব্লাড কাউন্ট বলে। এ ছাড়া ডেঙ্গুতে সবসময় একটি প্যারামিটার চলে আসে।
কিছু কিছু ক্ষেত্রে এনএসওয়ান পরীক্ষা করি। ১০০ জনের মধ্যে ৬০ জনের পজিটিভ আসে। আর ৪০ জনের পজিটিভ আসে না। তাই এনএস ওয়ান নেগেটিভ হলেও ডেঙ্গু হতে পারে। তাই উনার যে চিকিৎসক তার পরামর্শ নিলেই তিনি বুঝবেন, আসলে ডেঙ্গুতে ভুগছে কি না।
ডেঙ্গু জ্বরে আরেকটি অদ্ভুদ ঘটনা হচ্ছে। ডেঙ্গু জ্বরের তিনটি ফেস রয়েছে। একটি হলো জ্বরের ফেস, আরেকটি হলো, ক্রিটিক্যাল ফেস, আরেকটি হলো, রিকোভারি ফেস। মানুষ জ্বরের সময়টা নিয়ে বেশি চিন্তিত থাকে। শরীরব্যধা, জ্বর হয়, বমি হয়। জটিলতা তৈরি হয়, জ্বরের পরে অবস্থায়। অনেক রোগী চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে চলেন না। জ্বর চলে যাওয়ার পর উনি স্বাভাবিক চলাফেরা শুরু করে দেন। মনে করেন, আমি ভালো আছি। এই সময় তার দুর্বল লাগে। তবে এ সময়টা সবচেয়ে জটিল। এ সময় যদি তিনি সহযোগিতা না পান, তখন ডেঙ্গু শক সিনড্রোমের দিকে চলে যায়।
প্রশ্ন : ডেঙ্গু হলে তরলের পাশাপাশি আর কী কী খাওয়া যাবে?
উত্তর : স্বাভাবিক পারিবারিক খাবার খাবে। স্বাভাবিক খাবারই খাবে, এর সঙ্গে বাড়তি তরল বেশি করে খাবে। যেহেতু তরল বেশি যাচ্ছে, তাই লিকুইড ও লবণ সমৃদ্ধ লিকুইড বেশি করে খাচ্ছি।
প্রশ্ন : এই ক্ষেত্রে হয়তো কেউ প্রেশারের রোগী , তিনি অ্যান্টি হাইপারটেনসিভ ওষুধ নিচ্ছেন, এ সময় তার প্রেশার যদি এমনি কমে যায়, তাহলে কি আপনারা ওই ওষুধটা ব্ন্ধ করে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে বলেন?
উত্তর : কিছু কিছু ক্ষেত্রে যেমন প্রেশারের রোগী, ডায়াবেটিসের রোগী, হার্টের রোগী। অনেক সময়, দেখা যায়, তারা স্যালাইন দিতে ভয় পায়। কিন্তু ডেঙ্গু জ্বরে যখন দেখা যায়, উনার প্রেশার কমে যায়, আমরা প্রেশারের ওষুধ বন্ধ রাখি। আমরা সবসময় রোগীদের বলি এসব ওষুধ কখনোই বন্ধ করবেন না।
কিন্তু রোগীদের ক্ষেত্রে আরেকটি বার্তা হলো, ডেঙ্গু জ্বরের ক্ষেত্রে বিষয়টি আলাদা। এখানে যখন প্রেশার কমে যাবে, যিনি প্রেশারের ওষুধ খাচ্ছেন, তার ওষুধটা বন্ধ রাখতে হবে। উপরন্তু তাকে লিকুইড খেতে হবে। তিনি ইকোস্প্রিন নামে যে ওষুধ খাচ্ছেন, ডেঙ্গুতে এখানে রক্তপাত হয়। এ জন্য এ ওষুধ বন্ধ রাখতে হবে।