ঢাকা ০২:০০ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মানুষখেকো নাকি নিরাপরাধ

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৩:৪৭:৪২ অপরাহ্ন, বুধবার, ২০ মে ২০১৫
  • ৩৮৭ বার

উস্তাদ নামের নামের বাঘকে নিয়ে দ্বিধাবিভক্ত হয়ে পড়েছেন বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আন্দোলনকারীরা। ভারতের রানথামবোর জাতীয় উদ্যানে বাঘটিকে পাকড়াও করার পর খাঁচায় আবদ্ধ করা হবে কি না এটা নিয়েই দ্বন্দ্ব দেখা দিয়েছে।

উস্তাদকে খাঁচায় আবদ্ধ করার বিপক্ষে যারা তারা বলছেন প্রাণীটিকে কোনও প্রমাণ ছাড়াই মানুষখেকো বলা হচ্ছে। অন্যরা বলছেন যদি সত্যি উস্তাদ মানুষ মেরেও থাকে, কেন বাঘটি মানুষখেকো হয়ে উঠলো তা তদন্ত করা প্রয়োজন।

এই সন্দেহ এবং দ্বিধাদ্বন্দ্বের সূত্রপাত হয় মূলত গত ৮ মে বাঘের কবলে পড়ে রামপাল সাইনী নামে রানথামবোরের একজন বনরক্ষীর মৃত্যুর মধ্য দিয়ে। ওই ঘটনায় উস্তাদকেই সন্দেহ করা হয়। কারণ বনরক্ষীর মৃত্যু যেখানে হয়েছিল সেটা ছিল উস্তাদের প্রভাব বলয়ের মধ্যে।

উস্তাদ ছিল ৪০০ বর্গকিলোমিটার আয়তনের বনটির তারকা প্রাণী। গাড়িভর্তি পর্যটক দেখেও ভয় পেতো না, পথের মধ্যে বসে থাকতো। কিন্তু বনরক্ষী রামপাল সাইনীর মৃত্যুর পর উস্তাদকে ঘুমপাড়ানি ইনজেকশন দিয়ে ঘায়েল করে ৪০০ কিলোমিটার দূরে একটি চিড়িয়াখানায় রাখা হয়েছে।

এরপরই উস্তাদকে আটকে রাখাটা কতটা আইনসিদ্ধ তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন অনেক বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আন্দোলনকারী। চন্দ্রমুলেশ্বর সিং নামে একজন ব্যাঘ্রপ্রেমিক জয়পুর হাইকোর্টে একটি মামলা করেছেন। তার যুক্তি কোন অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে উস্তাদ ওই বনরক্ষীর ওপর হামরা চালিয়েছিল তার কোনো বৈজ্ঞানিক তদন্ত না করেই তাকে অন্তরীণ করা আইনের লঙ্ঘন।

এদিকে, ভারতের সুপরিচিত বন্যপ্রাণী বিশেষজ্ঞ ভাল্মিক থাপার বনবিভাগের সিদ্ধান্তকে সমর্থন করেছেন। তিনি বলেছেন, তার ৪০ বছরের অভিজ্ঞতায় উস্তাদের মত এতটা হিংস্র বাঘ তিনি দেখেননি।

 

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

মানুষখেকো নাকি নিরাপরাধ

আপডেট টাইম : ০৩:৪৭:৪২ অপরাহ্ন, বুধবার, ২০ মে ২০১৫

উস্তাদ নামের নামের বাঘকে নিয়ে দ্বিধাবিভক্ত হয়ে পড়েছেন বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আন্দোলনকারীরা। ভারতের রানথামবোর জাতীয় উদ্যানে বাঘটিকে পাকড়াও করার পর খাঁচায় আবদ্ধ করা হবে কি না এটা নিয়েই দ্বন্দ্ব দেখা দিয়েছে।

উস্তাদকে খাঁচায় আবদ্ধ করার বিপক্ষে যারা তারা বলছেন প্রাণীটিকে কোনও প্রমাণ ছাড়াই মানুষখেকো বলা হচ্ছে। অন্যরা বলছেন যদি সত্যি উস্তাদ মানুষ মেরেও থাকে, কেন বাঘটি মানুষখেকো হয়ে উঠলো তা তদন্ত করা প্রয়োজন।

এই সন্দেহ এবং দ্বিধাদ্বন্দ্বের সূত্রপাত হয় মূলত গত ৮ মে বাঘের কবলে পড়ে রামপাল সাইনী নামে রানথামবোরের একজন বনরক্ষীর মৃত্যুর মধ্য দিয়ে। ওই ঘটনায় উস্তাদকেই সন্দেহ করা হয়। কারণ বনরক্ষীর মৃত্যু যেখানে হয়েছিল সেটা ছিল উস্তাদের প্রভাব বলয়ের মধ্যে।

উস্তাদ ছিল ৪০০ বর্গকিলোমিটার আয়তনের বনটির তারকা প্রাণী। গাড়িভর্তি পর্যটক দেখেও ভয় পেতো না, পথের মধ্যে বসে থাকতো। কিন্তু বনরক্ষী রামপাল সাইনীর মৃত্যুর পর উস্তাদকে ঘুমপাড়ানি ইনজেকশন দিয়ে ঘায়েল করে ৪০০ কিলোমিটার দূরে একটি চিড়িয়াখানায় রাখা হয়েছে।

এরপরই উস্তাদকে আটকে রাখাটা কতটা আইনসিদ্ধ তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন অনেক বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আন্দোলনকারী। চন্দ্রমুলেশ্বর সিং নামে একজন ব্যাঘ্রপ্রেমিক জয়পুর হাইকোর্টে একটি মামলা করেছেন। তার যুক্তি কোন অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে উস্তাদ ওই বনরক্ষীর ওপর হামরা চালিয়েছিল তার কোনো বৈজ্ঞানিক তদন্ত না করেই তাকে অন্তরীণ করা আইনের লঙ্ঘন।

এদিকে, ভারতের সুপরিচিত বন্যপ্রাণী বিশেষজ্ঞ ভাল্মিক থাপার বনবিভাগের সিদ্ধান্তকে সমর্থন করেছেন। তিনি বলেছেন, তার ৪০ বছরের অভিজ্ঞতায় উস্তাদের মত এতটা হিংস্র বাঘ তিনি দেখেননি।