ঢাকা ১২:৩৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শরীরে ইউরিক এ্যাসিড নিয়ন্ত্রণের সহজ উপায়

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৩:১৭:১৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২০ জুলাই ২০১৯
  • ২৬১ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ ইদানীং অনেকের শরীরে ইউরিক অ্যাসিড বেড়ে যাওয়ার প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। নানা ধরনের সমস্যায় ভুগছেন তারা। বিশেষ করে বাত ও ব্যথা সমস্যা প্রকট।

সাধারণত, মূত্রের মাধ্যমে ইউরিক অ্যাসিড বেরিয়ে যায়। তবে যকৃত ঠিকভাবে কাজ না করলে এর পরিমাণ রক্তে বেড়ে যায়। পরে তা কিডনিতে পৌঁছায়। সেটি এ বিষাক্ত পদার্থ ছেঁকে শরীর থেকে সময় মতো বের করতে না পারলে নানা ধরনের সমস্যায় পড়তে হয়।

মূলত খাদ্যাভ্যাসের কারণে শরীরে ইউরিক অ্যাসিড বাড়ে। যারা চর্বিযুক্ত খাবার খান বেশি, তারাই সাধারণ এর কবলে পড়েন। উচ্চমাত্রায় এটি বেড়ে গেলে শরীর অকেজো হয়ে পড়ে। সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে হাঁটুসহ বিভিন্ন অস্থিসন্ধি ফুলে যায় এবং ব্যথা হতে থাকে।

উচ্চমাত্রায় চিনি খাওয়ার কারণে হতে পারে ইউরিক অ্যাসিড বৃদ্ধির অন্যতম কারণ। দেহে মাত্রাতিরিক্ত এ অ্যাসিডের উপস্থিতির কারণে গেঁটে বাত, উচ্চরক্তচাপ,কিডনি সমস্যাসহ নানা রকমের অসুখ হতে পারে।

স্বাভাবিকভাবে শরীরে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা হলো-পুরুষের ক্ষেত্রে: ৩.৪, ৭.০ সম/ফখ এবং নারীর ক্ষেত্রে: ২.৪, ৬.০ সম/ফখ। এর চেয়ে বেশি হলে তা নিয়ন্ত্রণ করা অত্যাবশ্যক হয়ে পড়ে।

শরীরে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে খুবই কার্যকর উপাদান অ্যাপেল সাইডার ভিনেগার। এটি সহজলভ্যও বটে।

ব্যবহারবিধি: অ্যাপেল সাইডার ভিনেগার কিনুন। ১ চা চামচ ভিনেগার নিন। এক গ্লাস পানির সঙ্গে মিশিয়ে পান করুন। দিনে অন্তত ২-৩ বার এই মিশ্রণ পান করুন।

অ্যাপেল সাইডার ভিনেগার শরীর থেকে যে কোনও দূষিত পদার্থ বের করে দিতে কার্যকর। এতে থাকে ম্যালিক অ্যাসিড, যা ইউরিক অ্যাসিডের ক্রিস্টালগুলোকে ভেঙে দেয়। শরীরে গাঁটে তা জমাট বাঁধতে বাধা দেয়।

এছাড়া প্রতিদিন অন্তত ৩ লিটার পানি খেলে শরীরে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে। পাশাপাশি উচ্চ প্রোটিনযুক্ত খাবার, যেমন-মাছ, মাংস, মসুর ডাল, রাজমা, সবুজ সবজি (পালং শাক) এড়িয়ে চললে এ থেকে মুক্ত থাকা যায়।

এর করাল গ্রাস থেকে মুক্ত থাকতে অতিরিক্ত পিউরিনযুক্ত খাবার, যেমন লাল মাংস (রেড মিট), লাল মদ (রম) বা সামুদ্রিক মাছ কম খেতে হবে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

জনপ্রিয় সংবাদ

শরীরে ইউরিক এ্যাসিড নিয়ন্ত্রণের সহজ উপায়

আপডেট টাইম : ০৩:১৭:১৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২০ জুলাই ২০১৯

হাওর বার্তা ডেস্কঃ ইদানীং অনেকের শরীরে ইউরিক অ্যাসিড বেড়ে যাওয়ার প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। নানা ধরনের সমস্যায় ভুগছেন তারা। বিশেষ করে বাত ও ব্যথা সমস্যা প্রকট।

সাধারণত, মূত্রের মাধ্যমে ইউরিক অ্যাসিড বেরিয়ে যায়। তবে যকৃত ঠিকভাবে কাজ না করলে এর পরিমাণ রক্তে বেড়ে যায়। পরে তা কিডনিতে পৌঁছায়। সেটি এ বিষাক্ত পদার্থ ছেঁকে শরীর থেকে সময় মতো বের করতে না পারলে নানা ধরনের সমস্যায় পড়তে হয়।

মূলত খাদ্যাভ্যাসের কারণে শরীরে ইউরিক অ্যাসিড বাড়ে। যারা চর্বিযুক্ত খাবার খান বেশি, তারাই সাধারণ এর কবলে পড়েন। উচ্চমাত্রায় এটি বেড়ে গেলে শরীর অকেজো হয়ে পড়ে। সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে হাঁটুসহ বিভিন্ন অস্থিসন্ধি ফুলে যায় এবং ব্যথা হতে থাকে।

উচ্চমাত্রায় চিনি খাওয়ার কারণে হতে পারে ইউরিক অ্যাসিড বৃদ্ধির অন্যতম কারণ। দেহে মাত্রাতিরিক্ত এ অ্যাসিডের উপস্থিতির কারণে গেঁটে বাত, উচ্চরক্তচাপ,কিডনি সমস্যাসহ নানা রকমের অসুখ হতে পারে।

স্বাভাবিকভাবে শরীরে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা হলো-পুরুষের ক্ষেত্রে: ৩.৪, ৭.০ সম/ফখ এবং নারীর ক্ষেত্রে: ২.৪, ৬.০ সম/ফখ। এর চেয়ে বেশি হলে তা নিয়ন্ত্রণ করা অত্যাবশ্যক হয়ে পড়ে।

শরীরে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে খুবই কার্যকর উপাদান অ্যাপেল সাইডার ভিনেগার। এটি সহজলভ্যও বটে।

ব্যবহারবিধি: অ্যাপেল সাইডার ভিনেগার কিনুন। ১ চা চামচ ভিনেগার নিন। এক গ্লাস পানির সঙ্গে মিশিয়ে পান করুন। দিনে অন্তত ২-৩ বার এই মিশ্রণ পান করুন।

অ্যাপেল সাইডার ভিনেগার শরীর থেকে যে কোনও দূষিত পদার্থ বের করে দিতে কার্যকর। এতে থাকে ম্যালিক অ্যাসিড, যা ইউরিক অ্যাসিডের ক্রিস্টালগুলোকে ভেঙে দেয়। শরীরে গাঁটে তা জমাট বাঁধতে বাধা দেয়।

এছাড়া প্রতিদিন অন্তত ৩ লিটার পানি খেলে শরীরে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে। পাশাপাশি উচ্চ প্রোটিনযুক্ত খাবার, যেমন-মাছ, মাংস, মসুর ডাল, রাজমা, সবুজ সবজি (পালং শাক) এড়িয়ে চললে এ থেকে মুক্ত থাকা যায়।

এর করাল গ্রাস থেকে মুক্ত থাকতে অতিরিক্ত পিউরিনযুক্ত খাবার, যেমন লাল মাংস (রেড মিট), লাল মদ (রম) বা সামুদ্রিক মাছ কম খেতে হবে।