হাওর বার্তা ডেস্কঃ কুষ্টিয়ায় ৬ষ্ঠ শ্রেণির স্কুলছাত্রী অপহরণ ও ধর্ষণের দায়ে একজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও দেড় লক্ষ টাকা জরিমানার আদেশ দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টায় কুষ্টিয়া নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ আদালতের বিচারক মুন্সী মো. মশিয়ার রহমান জনাকীর্ণ আদালতে আসামির উপস্থিতিতে এই রায় ঘোষণা করেন। দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি হলো, ঝিনাইদহ হরিনাকুন্ডু উপজেলার ভেড়াখালী গ্রামের মজিবর রহমানের পুত্র জাফিরুল ইসলাম ওরফে পালক (৩০)।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১৭ সালের ২১ জুলাই, সন্ধা ৭টায় কুষ্টিয়া সদর উপজেলার বলরামপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী বাড়ির পাশে কুমার নদে নিজেদের পোষা হাঁস তাড়িয়ে আনতে যায়। সেখান থেকে আসামি জাফিরুল ওই ছাত্রীকে জোড়পূর্বক মুখে গামছা বেঁধে অপহরণ করে পাশের কলা বাগানে নিয়ে গিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করে। সেখানে গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়।
পরদিন সকালে পরিবারের লোকজন ঘটনাস্থল থেকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে। এই ঘটনায় ভুক্তভোগী ছাত্রীর পিতা বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ আইনের দ:বি: ৯ (১) এবং ৭ ধারায় অভিযোগ এনে যুবক জাফিরুল ইসলামের বিরুদ্ধে কুষ্টিয়া কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যায় থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলাটি তদন্ত শেষে ২০১৭ সালের ১২ ডিসেম্বর আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন পুলিশ।
কুষ্টিয়া নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ কৌশুলী আকরাম হোসেন দুলাল জানান, চাঞ্চল্যকর এই স্কুলছাত্রী অপহরণপূর্বক ধর্ষণ মামলায় আসামি জাফিরুল ইসলামের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনপূর্বক বিজ্ঞ আদালত দীর্ঘ সাক্ষ্য গ্রহণ করেন এবং আসামির বিরুদ্ধে আনীত নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ আইনে দুই অভিযোগ সন্দেহাতীত প্রমাণিত হয়।