ঢাকা ১০:০৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
দেশ ও জাতি গঠনে “দৈনিক আমার দেশ” পত্রিকার কাছে নেত্রকোণার জনগণের প্রত্যাশা শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত ভুল অস্ত্রোপচার, যা ঘটেছিল প্রিয়াঙ্কা সঙ্গে সচিবালয়ে উপদেষ্টা হাসান আরিফের তৃতীয় জানাজা সম্পন্ন সাবেক সচিব ইসমাইল রিমান্ডে অবশেষে বিল পাস করে ‘শাটডাউন’ এড়াল যুক্তরাষ্ট্র চাঁদাবাজদের ধরতে অভিযান শুরু হচ্ছে: ডিএমপি কমিশনার নির্বাচনের পর নিজের নিয়মিত কাজে ফিরে যাবেন ড. ইউনূস ইয়েমেন থেকে ইসরায়েলে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা, আহত ১৬ জুলাই আন্দোলন বিগত বছরগুলোর অনিয়মের সমষ্টি: ফারুকী তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম ‘সড়কে নৈরাজ্যের সঙ্গে রাজনৈতিক প্রভাব জড়িত

মেনন গ্রুপ বঙ্গবন্ধুর বিরোধীতা করত: শেখ সেলিম

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০১:২৩:২১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৪ জুন ২০১৯
  • ২২০ বার
হাওর বার্তা ডেস্কঃ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম বলেছেন, মেনন গ্রুপ বঙ্গবন্ধুর বিরোধীতা করত। এনএসএফ (মুসলিম লীগের ছাত্র সংগঠন) বঙ্গবন্ধুর বিরোধীতা করত। কত বড় নির্লজ্জ তারা। জনগণের সামনে বঙ্গবন্ধু উপাধী দিল অথচ পরে বঙ্গবন্ধু বলে না। রোববার একাদশ জাতীয় সংসদে প্রস্তাবিত ২০১৯-২০ অর্থ বছরের বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে শেখ সেলিম এসব কথা বলেন।

শেখ সেলিম বলেন, এই ছাত্র ইউনিয়ন, মেনন গ্রুপ বঙ্গবন্ধুকে বিরোধীতা করত। মতিয়া গ্রুপ। মতিয়া গ্রুপ বিরোধীতা করত না। কিন্তু এনএসএফ প্রথমে বিরোধীতা করেছে, পরে করে নাই। মেনন-মতিয়া গ্রুপ এদের সবাইকে মিলেই ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ। সেই পরিষদের আহ্বায়ক হিসেবে তোফায়েল আহমেদ বঙ্গবন্ধুকে বঙ্গবন্ধু উপাধী দেন। জনগণের সামনে ওয়াদা করে তারা বঙ্গবন্ধু উপাধী দিল, কত বড় নির্লজ্জ পরে তারা বঙ্গবন্ধু বলে না। ষড়যন্ত্র। পাকিস্তানের ষড়যন্ত্র কিভাবে বঙ্গবন্ধুকে শেষ করা যায়।

এই সংসদ সদস্য বলেন, অনেকে বাংলাদেশের জাতির পিতা সাজতে চায়। এরা কোথায় ছিল? ১৯৬৯ সালের ৫ ডিসেম্বর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বঙ্গবন্ধু যে ভাষণ দেন, সেখানেই বাংলাদেশ নামটা দেন।

শেখ সেলিম বলেন, জিয়াউর রহমান কে ছিলেন, আমার কাছে প্রমাণ আছে। যুদ্ধের সময় পাকিস্তানি সেনা আসলাম বেগ চিঠি লেখে। সেই চিঠি আমার কাছে আছে। যে লোক দেশের জন্য যুদ্ধ করে তার কাছে পাক সেনা চিঠি লেখে বলতে পারে তুমি ভাল কাজ করছ। তোমার জন্য পরবর্তি উপহার অপেক্ষা করছে। তুমি তোমার পরিবার নিয়ে উদ্বিগ্ন হইও না। জিয়া ছিল পাকিস্তানি এজেন্ট। জিয়ার পরিবার পশ্চিম পাকিস্তানে করাচিতে বসবাস করত। পিতামাত মৃত্যুর পর পকিস্তানে কবর দেওয়া হয়। এখানে কোন দিন তারা আসে নাই। গণঅভ্যত্থানের সময় বিশেষ দায়িত্ব নিয়ে আইস এর কর্মকর্তা হিসেবে তাকে ঢাকায় পোস্টিং দেওয়া হয়। আর তার স্ত্রী খালেদা জিয়া একই তো।

আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সময় গণহত্যার বিচারে শিমলা চুক্তি হয়। সেই শিমলা চুক্তিতে ১৯৩ জন পাক সেনা কর্মকর্তার বিচার হওয়ার কথা ছিল, যেটা পাকিস্তানের করার কথা ছিল। অথচ ১৯৯২ সালে যুদ্ধাপরাধী জানযুয়া মারা গেলে খালেদা জিয়া প্রধানমন্ত্রী থাকা অবস্থায় শোক বার্তা পাঠায়। কী মহব্বত, এমনকি তিনি যখন পাকিস্তান সফরে যান তার কবর পর্যন্ত জিয়ারত করেন। এরা পাকিস্তানের এজেন্ট হিসেবে যে ক্ষতি করেছে, বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছে।

শেখ সেলিম প্রশ্ন রেখে বলেন, কোনো মুক্তিযোদ্ধা স্বাধীনতাকামী মানুষ মুক্তিযোদ্ধাদের হত্যাকারীদের বিচার বন্ধ করতে পারে? স্বাধীনতা বিরোধীরা কোথাও রাজনীতি করতে পারে? তারা পালিয়ে বেড়ায়। কিন্তু দুর্ভাগ্য আমাদের দেশে তারা রাজনীতি করে।
Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

দেশ ও জাতি গঠনে “দৈনিক আমার দেশ” পত্রিকার কাছে নেত্রকোণার জনগণের প্রত্যাশা শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত

মেনন গ্রুপ বঙ্গবন্ধুর বিরোধীতা করত: শেখ সেলিম

আপডেট টাইম : ০১:২৩:২১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৪ জুন ২০১৯
হাওর বার্তা ডেস্কঃ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম বলেছেন, মেনন গ্রুপ বঙ্গবন্ধুর বিরোধীতা করত। এনএসএফ (মুসলিম লীগের ছাত্র সংগঠন) বঙ্গবন্ধুর বিরোধীতা করত। কত বড় নির্লজ্জ তারা। জনগণের সামনে বঙ্গবন্ধু উপাধী দিল অথচ পরে বঙ্গবন্ধু বলে না। রোববার একাদশ জাতীয় সংসদে প্রস্তাবিত ২০১৯-২০ অর্থ বছরের বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে শেখ সেলিম এসব কথা বলেন।

শেখ সেলিম বলেন, এই ছাত্র ইউনিয়ন, মেনন গ্রুপ বঙ্গবন্ধুকে বিরোধীতা করত। মতিয়া গ্রুপ। মতিয়া গ্রুপ বিরোধীতা করত না। কিন্তু এনএসএফ প্রথমে বিরোধীতা করেছে, পরে করে নাই। মেনন-মতিয়া গ্রুপ এদের সবাইকে মিলেই ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ। সেই পরিষদের আহ্বায়ক হিসেবে তোফায়েল আহমেদ বঙ্গবন্ধুকে বঙ্গবন্ধু উপাধী দেন। জনগণের সামনে ওয়াদা করে তারা বঙ্গবন্ধু উপাধী দিল, কত বড় নির্লজ্জ পরে তারা বঙ্গবন্ধু বলে না। ষড়যন্ত্র। পাকিস্তানের ষড়যন্ত্র কিভাবে বঙ্গবন্ধুকে শেষ করা যায়।

এই সংসদ সদস্য বলেন, অনেকে বাংলাদেশের জাতির পিতা সাজতে চায়। এরা কোথায় ছিল? ১৯৬৯ সালের ৫ ডিসেম্বর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বঙ্গবন্ধু যে ভাষণ দেন, সেখানেই বাংলাদেশ নামটা দেন।

শেখ সেলিম বলেন, জিয়াউর রহমান কে ছিলেন, আমার কাছে প্রমাণ আছে। যুদ্ধের সময় পাকিস্তানি সেনা আসলাম বেগ চিঠি লেখে। সেই চিঠি আমার কাছে আছে। যে লোক দেশের জন্য যুদ্ধ করে তার কাছে পাক সেনা চিঠি লেখে বলতে পারে তুমি ভাল কাজ করছ। তোমার জন্য পরবর্তি উপহার অপেক্ষা করছে। তুমি তোমার পরিবার নিয়ে উদ্বিগ্ন হইও না। জিয়া ছিল পাকিস্তানি এজেন্ট। জিয়ার পরিবার পশ্চিম পাকিস্তানে করাচিতে বসবাস করত। পিতামাত মৃত্যুর পর পকিস্তানে কবর দেওয়া হয়। এখানে কোন দিন তারা আসে নাই। গণঅভ্যত্থানের সময় বিশেষ দায়িত্ব নিয়ে আইস এর কর্মকর্তা হিসেবে তাকে ঢাকায় পোস্টিং দেওয়া হয়। আর তার স্ত্রী খালেদা জিয়া একই তো।

আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সময় গণহত্যার বিচারে শিমলা চুক্তি হয়। সেই শিমলা চুক্তিতে ১৯৩ জন পাক সেনা কর্মকর্তার বিচার হওয়ার কথা ছিল, যেটা পাকিস্তানের করার কথা ছিল। অথচ ১৯৯২ সালে যুদ্ধাপরাধী জানযুয়া মারা গেলে খালেদা জিয়া প্রধানমন্ত্রী থাকা অবস্থায় শোক বার্তা পাঠায়। কী মহব্বত, এমনকি তিনি যখন পাকিস্তান সফরে যান তার কবর পর্যন্ত জিয়ারত করেন। এরা পাকিস্তানের এজেন্ট হিসেবে যে ক্ষতি করেছে, বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছে।

শেখ সেলিম প্রশ্ন রেখে বলেন, কোনো মুক্তিযোদ্ধা স্বাধীনতাকামী মানুষ মুক্তিযোদ্ধাদের হত্যাকারীদের বিচার বন্ধ করতে পারে? স্বাধীনতা বিরোধীরা কোথাও রাজনীতি করতে পারে? তারা পালিয়ে বেড়ায়। কিন্তু দুর্ভাগ্য আমাদের দেশে তারা রাজনীতি করে।