ঢাকা ০১:৫৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৫, ২ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক বেবুধ রাজার বাড়ি এবং পুকুর রহস্য

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৭:২১:২১ অপরাহ্ন, সোমবার, ১০ জুন ২০১৯
  • ৩১২ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ কিশোরগঞ্জ জেলার পাকুন্দিয়া উপজেলায় সুলতানী আমলের পর (১৫৩৮ খ্রিঃ) এগারসিন্দুর এলাকাটি বেবুধ রাজার দখলে চলে যায়। পরবর্তীতে বাংলার বার ভূঁইয়ার প্রধান ঈশা খাঁ বেবুধ রাজাকে পরাজিত করে (১৫৯৮খ্রিঃ) এগারসিন্দুর দুর্গটি দখল করেন। বেবুধ রাজার পুকুর নিয়ে অনেক তথ্য ওঠে আসে৷ বেবুধ রাজার শাসনকালে প্রজারা পানির কষ্ট করতো। তাই রাজা এক বিশাল পুকুর খনন করেন কিন্তু সেখানে পানি থাকে না।

জনশ্রুতি রয়েছে, একদিন রাজা স্বপ্ন দেখেন যদি পুকুরেরর মাঝখানে রাণী গিয়ে দাড়ায় তাহলে পানি ওঠবে। সেই অনুযায়ী পুকুরের মাঝে উঁচু সিঁড়ি স্থাপন করা হয় এবং পুকুরের মাঝে রাণীকে নিয়ে যাওয়া হয়।

রাণী পুকুরের মাঝামাঝি যেতেই পানি ওঠে পুকুর ভরাট হতে থাকে এবং রাণী সিঁড়ির উপরে ওঠতে থাকে একসময় পুকুর পানিতে পূর্ণ হলে রাণীসহ সিঁড়ি তলিয়ে যায়। আরো অনেক ঘঠনার সাক্ষী হয়ে আছে এই পুকুর।

কিশোরগঞ্জ জেলা শহর থেকে খুব সহজেই যাওয়া যায় এই ঐতিহাসিক স্থানটিতে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক বেবুধ রাজার বাড়ি এবং পুকুর রহস্য

আপডেট টাইম : ০৭:২১:২১ অপরাহ্ন, সোমবার, ১০ জুন ২০১৯

হাওর বার্তা ডেস্কঃ কিশোরগঞ্জ জেলার পাকুন্দিয়া উপজেলায় সুলতানী আমলের পর (১৫৩৮ খ্রিঃ) এগারসিন্দুর এলাকাটি বেবুধ রাজার দখলে চলে যায়। পরবর্তীতে বাংলার বার ভূঁইয়ার প্রধান ঈশা খাঁ বেবুধ রাজাকে পরাজিত করে (১৫৯৮খ্রিঃ) এগারসিন্দুর দুর্গটি দখল করেন। বেবুধ রাজার পুকুর নিয়ে অনেক তথ্য ওঠে আসে৷ বেবুধ রাজার শাসনকালে প্রজারা পানির কষ্ট করতো। তাই রাজা এক বিশাল পুকুর খনন করেন কিন্তু সেখানে পানি থাকে না।

জনশ্রুতি রয়েছে, একদিন রাজা স্বপ্ন দেখেন যদি পুকুরেরর মাঝখানে রাণী গিয়ে দাড়ায় তাহলে পানি ওঠবে। সেই অনুযায়ী পুকুরের মাঝে উঁচু সিঁড়ি স্থাপন করা হয় এবং পুকুরের মাঝে রাণীকে নিয়ে যাওয়া হয়।

রাণী পুকুরের মাঝামাঝি যেতেই পানি ওঠে পুকুর ভরাট হতে থাকে এবং রাণী সিঁড়ির উপরে ওঠতে থাকে একসময় পুকুর পানিতে পূর্ণ হলে রাণীসহ সিঁড়ি তলিয়ে যায়। আরো অনেক ঘঠনার সাক্ষী হয়ে আছে এই পুকুর।

কিশোরগঞ্জ জেলা শহর থেকে খুব সহজেই যাওয়া যায় এই ঐতিহাসিক স্থানটিতে।