ঢাকা ০৬:৪৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৪, ৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
নিরাপদ অভিবাসন ও বিদেশ-ফেরতদের নিয়ে কর্মশালা সেন্টমার্টিন দ্বীপ ভ্রমণের দাবি কাফনের কাপড় পরে সড়কে শুয়ে প্রতিবাদ গ্রুপের সকলকে সে বিপদে ফেলেছে: সোহানা সাবা ইউক্রেনকে ক্ষেপণাস্ত্র দেওয়ার সিদ্ধান্তে তীব্র সমালোচনার মুখে বাইডেন পাঠ্যপুস্তকের ত্রুটি কমাতে সরকার চেষ্টা করছে: গণশিক্ষা উপদেষ্টা দুর্বল ব্যাংকের বিষয়ে যে সিদ্ধান্ত জানালেন অর্থ উপদেষ্টা এক দফা দাবিতে স্মারকলিপি দিয়ে সড়ক ছাড়লেন সাদপন্থীরা যতটুকু সংস্কার প্রয়োজন ততটুকু করে নির্বাচন দেওয়া উচিত: মঈন খান আদানির সঙ্গে চুক্তি পুনর্মূল্যায়নে কমিটি গঠনের নির্দেশ তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরের দাবি আজ ‘ক্লোজ ডাউন’, দাবি না মানলে কাল ‘বারাসাত ব্যারিকেড

ব্রাজিলে বাড়ছে মসজিদ ও মুসলমানদের সংখ্যা

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৪:৫৯:২৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩ জুন ২০১৯
  • ২৬১ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ প্রায় ২০ কোটিরও বেশি জনসংখ্যা নিয়ে সারাবিশ্বে ব্রাজিলের অবস্থান পঞ্চম। এরমধ্যে মুসলিমদের সংখ্যা হল ১৭ লাখের মত। যা ব্রাজিলের মোট জনসংখ্যার ৫-৬ শতাংশ। গাণিতিক হিসাবে লাতিনের সর্ববৃহৎ এই দেশটিতে ইসলাম ধর্মের অনুসারীর সংখ্যা কম মনে হলেও আনন্দের সংবাদ হচ্ছে, ব্রাজিলে মুসলমানের সংখ্যা দ্রুত বাড়ছে। সাওপাওলোতেই মাসে গড়ে ছয়জন মানুষ ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করছে বলে বিভিন্ন প্রতিবেদনে পাওয়া গেছে।

ব্রাজিলে ইসলাম ধর্মের আগমনর ঘটে ১৫০০ খ্রিষ্টাব্দে। বিখ্যাত পর্তুগিজ পরিব্রাজক ও আবিষ্কারক পেড্রো আলভারেস কারব্যাল যখন ব্রাজিল উপকূলে জাহাজ নোঙর করেন, তখন তার সঙ্গে বেশ কিছু স্বনামধন্য, দক্ষ, কর্মঠ ও পারদর্শী মুসলিম নাবিক ছিলেন। তন্মধ্যে শিহাবুদ্দিন বিন মাজেদ ও মুসা বিন সাতি অন্যতম।

ইতিহাসের বলছে, তাদের হাত ধরেই ব্রাজিলে ইসলাম ও মুসলমানের আগমন ঘটে। তবে বিখ্যাত ব্রাজিলিয়ান ইতিহাসবিদ জোয়াকিন হেপিরো দেশটিতে ইসলামের আগমনের ব্যাপারে ১৯৫৮ সালে একটি লেকচার দেন। তিনি সেখানে উল্লেখ করেন, ‘১৫০০ খ্রিস্টাব্দে পর্তুগিজদের ব্রাজিল আবিষ্কারের অনেক আগে আরব বণিক ও নাবিকরা ব্রাজিল আবিষ্কার করেন। স্পেনে যখন মুসলিম সম্রাজ্য পতন হয় তখন তারা সেখান থেকে ব্রাজিলে যেতে থাকে।

বর্তমানে ব্রাজিলের প্রতিটি শহরেই মসজিদ আছে। ব্রাজিলে মসজিদের সংখ্যা প্রায় ১৩০টি। ২০০০ সালের তুলনায় মসজিদের সংখ্যা এখন চার গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। এ ছাড়া শিশুদের ইসলামী জ্ঞান শিক্ষা দেয়ার জন্য রয়েছে মক্তব-মাদরাসা ও ইসলামিক স্কুল। সরকার থেকেও নিয়মিত পাচ্ছে সহযোগিতা ও নিরাপত্তার ব্যবস্থা।

রিও ডি জেনেইরোয় রয়েছে বৃহৎ ইসলামিক সেন্টার, ইসলামিক স্কুল, বেশ কয়েকটি বড় মসজিদ। সাওপাওলোতেও রয়েছে বিশাল মুসলিম কমিউনিটি।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

জনপ্রিয় সংবাদ

নিরাপদ অভিবাসন ও বিদেশ-ফেরতদের নিয়ে কর্মশালা

ব্রাজিলে বাড়ছে মসজিদ ও মুসলমানদের সংখ্যা

আপডেট টাইম : ০৪:৫৯:২৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩ জুন ২০১৯

হাওর বার্তা ডেস্কঃ প্রায় ২০ কোটিরও বেশি জনসংখ্যা নিয়ে সারাবিশ্বে ব্রাজিলের অবস্থান পঞ্চম। এরমধ্যে মুসলিমদের সংখ্যা হল ১৭ লাখের মত। যা ব্রাজিলের মোট জনসংখ্যার ৫-৬ শতাংশ। গাণিতিক হিসাবে লাতিনের সর্ববৃহৎ এই দেশটিতে ইসলাম ধর্মের অনুসারীর সংখ্যা কম মনে হলেও আনন্দের সংবাদ হচ্ছে, ব্রাজিলে মুসলমানের সংখ্যা দ্রুত বাড়ছে। সাওপাওলোতেই মাসে গড়ে ছয়জন মানুষ ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করছে বলে বিভিন্ন প্রতিবেদনে পাওয়া গেছে।

ব্রাজিলে ইসলাম ধর্মের আগমনর ঘটে ১৫০০ খ্রিষ্টাব্দে। বিখ্যাত পর্তুগিজ পরিব্রাজক ও আবিষ্কারক পেড্রো আলভারেস কারব্যাল যখন ব্রাজিল উপকূলে জাহাজ নোঙর করেন, তখন তার সঙ্গে বেশ কিছু স্বনামধন্য, দক্ষ, কর্মঠ ও পারদর্শী মুসলিম নাবিক ছিলেন। তন্মধ্যে শিহাবুদ্দিন বিন মাজেদ ও মুসা বিন সাতি অন্যতম।

ইতিহাসের বলছে, তাদের হাত ধরেই ব্রাজিলে ইসলাম ও মুসলমানের আগমন ঘটে। তবে বিখ্যাত ব্রাজিলিয়ান ইতিহাসবিদ জোয়াকিন হেপিরো দেশটিতে ইসলামের আগমনের ব্যাপারে ১৯৫৮ সালে একটি লেকচার দেন। তিনি সেখানে উল্লেখ করেন, ‘১৫০০ খ্রিস্টাব্দে পর্তুগিজদের ব্রাজিল আবিষ্কারের অনেক আগে আরব বণিক ও নাবিকরা ব্রাজিল আবিষ্কার করেন। স্পেনে যখন মুসলিম সম্রাজ্য পতন হয় তখন তারা সেখান থেকে ব্রাজিলে যেতে থাকে।

বর্তমানে ব্রাজিলের প্রতিটি শহরেই মসজিদ আছে। ব্রাজিলে মসজিদের সংখ্যা প্রায় ১৩০টি। ২০০০ সালের তুলনায় মসজিদের সংখ্যা এখন চার গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। এ ছাড়া শিশুদের ইসলামী জ্ঞান শিক্ষা দেয়ার জন্য রয়েছে মক্তব-মাদরাসা ও ইসলামিক স্কুল। সরকার থেকেও নিয়মিত পাচ্ছে সহযোগিতা ও নিরাপত্তার ব্যবস্থা।

রিও ডি জেনেইরোয় রয়েছে বৃহৎ ইসলামিক সেন্টার, ইসলামিক স্কুল, বেশ কয়েকটি বড় মসজিদ। সাওপাওলোতেও রয়েছে বিশাল মুসলিম কমিউনিটি।