নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় যেতে বিশ্বাসী মন্তব্য করে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ বলেছেন, আগামী জাতীয় নির্বাচনে জাতীয় পার্টি থেকে ৩শ’ আসনে দলের যোগ্য প্রার্থীদের মনোনয়ন দেওয়া হবে।
শুক্রবার (২৩ অক্টোবর) বিকেলে রাজধানীর কাকরাইলে জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয় চত্বরে উপজেলা দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য তিনি এ কথা বলেন।
এরশাদ বলেন, নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসার জন্য আমরা বিশ্বাস করি। এই বয়সে আমি জেলায় জেলায় ঘুরে মানুষের কাছে যাই। এর কারণ জাতীয় পার্টির আবার মানুষের ভোটে ক্ষমতায় আসবে। মানুষের মধ্যে যদি বিশ্বাস স্থাপন করতে পারি তাহলে মানুষ আমাদের ভোট দেবে, আমাদের দল ক্ষমতায় আসবে, মানুষ বিচার পাবে।
এরশাদ বলেন, আজ উপজেলা চেয়ারম্যানের কোনো ক্ষমতা নেই। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার ক্ষমতা বেশি। আমলাদের ক্ষমতা চলছে। আমরা নির্বাচিত হয়ে ফিরে আসলে উপজেলার চেয়ারম্যানরা আবার ক্ষমতা ফিরে পাবে।
এরশাদ বলেন, গণতন্ত্র, সমাজ-দেশ রক্ষার জন্য ক্ষমতা ছেড়ে দিয়েছিলাম, কিন্তু পরে দেখলাম গণতন্ত্রের কবর রচনা হয়েছে। সব প্রতিষ্ঠান ধ্বংসের মুখে পতিত হয়েছে।
এরশাদ বলেন, প্রধানমন্ত্রী বলেন, উন্নয়ন আগে গণতন্ত্র পরে। এর মানে কী হলো, গণতন্ত্রের কথা বলে গর্ব করি, কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর কথায় গণতন্ত্র নির্মূল হয়ে কবরে গেছে।
তিনি বলেন, আমাকে বলা হতো স্বৈরাচার, ইতিহাসে কোথায় আছে, স্বৈরাচার ক্ষমতা ছেড়ে দিলে পরে নির্বাচনে জয়ী হয়! আমি কোনো দিন নির্বাচনে হারিনি, পর পর দুই বার পাঁচটি আসনে নির্বাচিত হয়েছি। জনগণের ভালবাসার কারণে আমি বারবার জয়ী হয়েছি।
এরশাদ বলেন, খালেদা আমার সাথে অতি নিষ্ঠুর আচরণ করেছেন। ছয়টা বছর জেলে রেখেছেন। আমার পাঁচ বছরের শিশুকে জেলে দেওয়া হয়েছে। আমি তো রাজনীতিবিদ নই, আমার উপর জোর করে ক্ষমতা দেওয়া হয়েছিল।
বিএনপি ও আওয়ামী লীগ কারো কাছে সুবিচার পাননি বলে এ সময় অভিযোগ করেন তিনি।
তিনি বলেন, দেশে এখন বিচারহীনতা চলছে। মানুষ বিচার পায় না। এ দেশের মানুষ কীভাবে বসবাস করবে? মানুষের কোনো আশা নেই। এক হত্যা মামলায় আমার বিরুদ্ধে বিচার চলছে। এ বিচার চলবেই, এই মামলা হয়তো আমার মৃত্যুর পরও চলবে।
জাপার প্রেসিডিয়াম সদস্য ও ঢাকা মহানগর জাতীয় পার্টির সভাপতি সৈয়দ আবুল হোসেন বাবলার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন দলের মহাসচিব জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু, প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাডভোকেট শেখ সিরাজুল ইসলাম, সংসদ সদস্য সাইফুল ইসলাম, সংসদ সদস্য ফখরুল ঈমাম প্রমুখ।