হাওর বার্তা ডেস্কঃ তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী এ্যাডভোকেট জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, বাংলার নিপিড়িত,বঞ্চিত আর অবহেলিত মানুষের সার্বিক উন্নয়নের কথা চিন্তা করে জাতীর জনক, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সংবিধানে ৫টি মৌলিক অধিকারের কথা লিপিবদ্ধ করেছিলেন। তারই অংশ হিসেবে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী, বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নির্দেশে ১৬ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিক দেশের প্রান্তিক মানুষের স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও চিকিৎসায় নিরলস সেবা দিয়ে যাচ্ছে।
তিনি আজ (শুক্রবার) সকালে সিংড়া দমদমা পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় চত্বরে বিনামূল্যে চক্ষুক্যাম্প উদ্বোধন শেষে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। সিংড়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার আমিনুল ইসলামের সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সাবেক সেনা প্রধান ও অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড এবং ফিজির সাবেক রাষ্ট্রদূত লে.জে.এম হারুন-অর-রশিদ বীর প্রতীক(অব.),উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুশান্ত কুমার মাহাতো এবং উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি এ্যাডভোকেট ওহিদুর রহমান শেখ। চক্ষুক্যাম্পটির আয়োজন করে রোটারী ক্লাব অব ধানমন্ডি সেন্ট্রাল এবং রোটারী ক্লাব অব ঢাকা সেন্ট্রাল। সঞ্চলনায় ছিলেন সাবক উপজেলা ছাত্রনেতা আনিসুর রহমান লিখন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে আইসিটি প্রতিমন্ত্রী এ্যাডভোকেট জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, চতুর্থ বারের মত সিংড়ায় এই বিনামূল্যে চক্ষুক্যাম্প এর আয়োজন করা হয়েছে যার সুফল পাচ্ছেন চলনবিল অধ্যুষিত সিংড়ার সাধারণ মানুষ।
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আমাদের সংবিধানে খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা আর চিকিৎসাকে মৌলিক অধিকার হিসেবে লিপিবদ্ধ করে আজকের এই চিকিৎসাসেবার পথ উন্মুক্ত করেছিলেন দাবী করে তিনি আরো জানান, বঙ্গবন্ধুকন্যা বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেই পথ অনুসরণ করে দেশের প্রান্তিক মানুষের স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও রোগ নিরাময়ের চিকিৎসাকেন্দ্র হিসেবে কমিউনিটি ক্লিনিক চালু করেছেন যার বর্তমান সংখ্যা ১৬ হাজার। শুধু তাই নয়, কমিউনিটি ক্লিনিকে ভাল ডাক্তার যাতে সার্বক্ষণিক চিকিৎসাসেবা দিতে পারে সে ব্যাপারে পদক্ষেপ গ্রহণ ও তা বাস্তবায়ন করছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি এসকল চিকিৎসাকেন্দ্রে সুচিকিৎসা চিশ্চিত করার মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে ডাক্তারসহ সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানান। পাশাপাশি এসকল চিকিৎসাকেন্দ্র থেখে চিকিৎসাসেবা নিয়ে রোগমুক্ত থেকে বাংলাদেশের সার্বিক উন্নয়নে অবদান রাখার জন্য তিনি সকলের প্রতি আহ্বান জানান।
এর আগে সাবেক সেনা প্রধান হারুন-অর-রশিদ তার বক্তব্যে মরণোত্তর চক্ষুদান করতে সকলকে উদ্বুদ্ধমূরক বক্তব্য প্রদান করেন। অনুষ্ঠানে ৮ জন বিশেষজ্ঞ ডাক্তার দ্বারা সুষ্ট ভাবে এই চক্ষুশিবিরের কাজ সর্ম্পন্য হয়। তাদের বিনামূল্য বিভিন্ন ওষুধ পত্র ও চশমা বিতরন করা হয়।’