লাশ খুঁজছেন স্বজনরা, অধিকাংশই শনাক্ত করা যাচ্ছে না

হাওর বার্তা ডেস্কঃ পুরান ঢাকায় ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে লাশের সংখ্যা বাড়ছে। এখন পর্যন্ত ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ৭৫টি লাশ এনে রাখা হয়েছে। যার বেশির ভাগই শনাক্ত করা যায়নি। হাসপাতালে ছবি হাতে ভিড় করছেন, লাশ খুঁজছেন চকবাজারে আগুনের ঘটনায় নিহতের স্বজনরা।

এ ব্যাপারে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের প্রধান ডা. সোহেল মাহমুদ জানিয়েছেন, চকবাজারের চুরিহাট্টায় অগ্নিদগ্ধে নিহত যাদের লাশ ঢাকা মেডিকেলে এসেছে, তার বেশির ভাগই শনাক্ত করার মতো অবস্থায় নেই। যেসব মরদেহ পুরোপুরি পুরে গেছে, শনাক্ত করা সম্ভব নয়, সেসব মরদেহে ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে শনাক্ত করে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

প্রসঙ্গত, বুধবার রাত ১০টা ৩৮ মিনিটে বৈদ্যুতিক ট্র্যান্সফরমার বিস্ফোরিত হয়েই চকবাজারের চুরিহাট্টা মসজিদের পাশের ওয়াহেদ ম্যানশন নামের ৫ তলা ভবনটিতে আগুন লাগে। ভবনটির নিচতলা ও দোতলায় ক্যামিকেল ও প্লাস্টিকের গোডাউনের সরঞ্জাম থাকায় আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে পাশের ভবনেও।

ফায়ার সার্ভিসের ৩৭টি ইউনিট দীর্ঘ ১০ ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ওয়াহেদ ম্যানশনের সামনে একটি ট্রান্সফরমার বিস্ফোরিত হয়ে প্রাইভেটকারের ওপর পড়ে। এ সময় প্রাইভেটকারের সিলিন্ডার বিস্ফোরিত হয়ে ভবনে আগুন লাগে। আর ভবনটিতে কেমিকেলের গোডাউন থাকায় আগুন লাগার পর থেমে থেমে শব্দ করে ছোট ছোট বিস্ফোরণ হয়।

স্থানীয় বাসিন্দা ইব্রাহিম জানান, ওয়াহেদ ম্যানশন নামের ওই বাড়ির মালিকের নাম হাজী আব্দুল ওয়াহেদ। ভবনের নিচতলা ও দোতলায় পাউডার ও কেমিকেলের গোডাউন আর প্লাস্টিকের সরঞ্জামের গুদাম রয়েছে। এরপর ৫ তলা পর্যন্ত ফ্ল্যাট। ফ্ল্যাটগুলোতে ২০-২২টি পরিবার থাকতো। তাদের সবাইকে নিরাপদে নামানো গেছে কি না তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

ঢাকা মহানগর পুলিশের লালবাগ বিভাগের উপ-কমিশনার মোহাম্মদ ইব্রাহীম খান রাতে জানান, বৈদ্যুতিক শর্ট-সার্কিট থেকেই আগুন লেগেছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা কাজ করছেন। পাশাপাশি ঘটনাস্থলে পর্যাপ্ত পুলিশ ফোর্সও রয়েছে।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর