সুযোগ পেয়েও এমবাপেকে কেনেনি চেলসি

হাওর বার্তা ডেস্কঃ কিলিয়ান এমবাপে। মাত্র ১৯ বছর বয়স। কিন্তু এরই মধ্যে বিশ্ব জয় করেছে ফেলেছেন ফ্রান্সের এই বিস্ময় বালক। রাশিয়ার বিশ্বকাপে ফরাসিদের চ্যাম্পিয়ন হওয়া বড় অবদান দুর্দান্ত এমবাপের। এই মুহূর্তে বিশ্বের দ্বিতীয় দামী ফুটবলারও তিনি। গেল বছর ১৮০ মিলিয়ন ইউরোতে মোনাকো থেকে তাকে কিনে নিয়েছে পিএসজি। গেল মৌসুমে দলকে লিগ ওয়ানের শিরোপা জিতিয়ে তার প্রতিদানও দিতে শুরু করেছেন এমবাপে।

অথচ এই এমবাপেকেই দলে নেওয়ার সুযোগ হেলায় হারিয়েছিল ইংলিশ ক্লাব চেলসি। ২০১২ সালের কথা। ১৩ বছরের এমবাপে গিয়েছিলেন লন্ডনে। সেখানে এমবাপের ওপর চোখ পড়ে ডেনিয়েল বোগার। বোগা চেলসির সাবেক স্কাউট। সম্প্রতি সেই ঘটনার বর্ণনা দিয়ে তিনি বলেন, ‘নাইকিতে কাজ করত আমার এক বন্ধু। সে-ই এমবাপের সঙ্গে আমাকে পরিচয় করিয়ে দেয়। সে বলেছিল, তুমি কি এমবাপেকে দেখেছ? প্যারিসের ছোট্ট একটা ক্লাব বন্ডিতে খেলে। তোমার তাকে দেখা উচিত। ওর খেলা দেখার পর আমি সর্বপ্রথম যে কাজটা করি, সেটা হলো চেলসির যার সঙ্গে এসব ব্যাপারে কথা বলতাম, তাকে ফোন দিই। একে অন্তত একবার দেখ। তারা রাজি হয়, বলে তাকে লন্ডনে এনে একবার ট্রায়াল দিতে।’

এরপর স্ট্যামফোর্ড ব্রিজে ট্রায়াল নেওয়া হয় এমবাপের। সেখানে তার স্কিল পছন্দ হয় চেলসির। কিন্তু রক্ষণ নিয়ে সন্তুষ্ট হতে পারেনি। ফলে ফরাসি এই ফরোয়ার্ডকে দলে নেওয়ার ব্যাপারে আগ্রহ দেখায়নি তারা। মূলত সে সময় চেলসি এমন একজন খেলোয়াড় চেয়েছিল যে তাদের রক্ষণে সহায়তা করতে পারবে।

সেই আক্ষেপ নিয়ে বোগা বলেছেন, ‘সত্যি বলতে চেলসি তখন স্বাক্ষর করালে ভালো করতো, এখন এসব বলে লাভ নেই। সে সময় চেলসি এমন একজন খেলোয়াড় চাইছিল যে কিনা দলকে রক্ষণে সাহায্য করতে পারবে। কিন্তু সে সময় সে ট্র্যাকব্যাক করত না। বল পায়ে সে এখনকার মতোই স্কিলফুল ছিল, কিন্তু বল ছাড়া সে খুব অলস ছিল। যেটা চেলসি ম্যানেজমেন্টের খুব একটা পছন্দ হয়নি।’

এদিকে ছেলের প্রতিভা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করায় সেসময় বেশ ক্ষুব্ধ হয়েছিলেন এমবাপের মা। বোগার কথায় ওঠে আসে সে বিষয়টিও, ‘এমবাপের মা তাকে নিয়ে যাওয়ার সময় আমাকে বলছিলেন, আমার ছেলে আবার আসবে না। আজ তারা আমার ছেলেকে ফিরিয়ে দিল। তারা যদি ওকে নিতে চায়, তবে এখনই সিদ্ধান্ত নিতে হবে, না হলে ৫ বছর পর ওকে কিনতে ৫০ মিলিয়ন নিয়ে আসতে হবে!

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর