শিক্ষকদের নিয়ে করা মন্তব্যে অর্থমন্ত্রীর দুঃখ প্রকাশ

বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের আন্দোলন নিয়ে করা মন্তব্যের জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। তিনি বলেন, ‌’আমি আমার বক্তব্যে জন্য খুবই দুঃখিত।’ একই সঙ্গে বিস্ময় প্রকাশ করে অর্থমন্ত্রী বলেছেন, ‌’শিক্ষকদের আন্দোলনে আমি বিস্মিত হয়েছি। কারণ তারা সরকারি সিদ্ধান্ত না জেনেই আন্দোলন করছেন।’ বৃস্পতিবার বিকেল ৪টায় সিলেট সার্কিট হাউসে এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে অর্থমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের শিক্ষা জগতে বেশ ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে আমার একটি বক্তব্য নিয়ে। আমার মনে হয়, এই বিষয়টির নিষ্পত্তি হওয়া প্রয়োজন। গত সোমবার জাতীয় বেতন ও চাকুরি কমিশনের প্রতিবেদন মন্ত্রিসভায় আলোচিত হয়। এবং বেতন-ভাতা মোটামুটি ৮২/৮৩ শতাংশ বৃদ্ধি পায়। সাংবাদিকরা এ বিষয়ে আমাকে প্রশ্ন করেন। আমি তাদের বলি যে, এই বিষয়ে কেবিনেট সচিব স্বাভাবিক নিয়মে বিবৃতি দেবেন এবং সরকারি নির্দেশনা জারি হবে। বিষয়টি জটিল ও ব্যাপক তাই সে সম্বন্ধে বেশি বলা যাবে না।
সাংবাদিকরা তখন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বেতন কমিশনের সুপারিশ বিরোধী আন্দোলন বিষয়ে আমার মন্তব্য জানতে চান। আমি বলি যে, তাদের এই আন্দোলনটি অকারণে শুরু হয়েছে এবং এটা আমাকে গভীর পীড়া দেয় এজন্য যে, দেশের সবচেয়ে শিক্ষিত গোষ্ঠী একটি আন্দোলন করছেন।’
মন্ত্রী বলেন, ‘আমার বলার কথা ছিল যে, তারা প্রকৃত সুপারিশ এবং সর্বোপরি সরকারি সিদ্ধান্ত না জেনেই আন্দোলনে নেমে গেলেন। আমার বলা উচিত ছিল যে, তাদের আন্দোলনটি তাদের অনবহিতির জন্য, তারা সঠিক তথ্য জানতেন না বলে তারা আনইনফর্মড ছিলেন।’
অর্থমন্ত্রী আরো বলেন, ‘আমি যেভাবে বক্তব্যটি দিই তাতে অবশ্যই তাদের মানহানি হয়েছে। কারণ ‘জ্ঞানের অভাব’ বলা আর ‘যথাযথ তথ্য সম্বন্ধে অনবহিত’ বলার মধ্যে অনেক তফাৎ রয়েছে। আমি আমার বক্তব্য কারণে খুবই দুঃখিত, তবে বিস্মিত যে তারা সরকারি সিদ্ধান্ত জানার আগেই আন্দোলনে নেমে গেলেন। আমার এই বক্তব্য যেভাবে সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে, তা অনভিপ্রেত ছিল এবং আমি তা প্রত্যাহার করছি। এজন্য যারা ক্ষুব্ধ হয়েছেন বা দুঃখ পেয়েছেন তাদের কাছে বিনীত অনুরোধ, ভুল বুঝাবুঝির এখানেই সমাপ্তি হোক।’
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ, মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বদর উদ্দিন আহমদ কামরান, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শফিকুরর রহমান চৌধুরী, মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরী কয়েস এমপি, সিলেট জেলা প্রশাসক জয়নাল আবেদিন প্রমুখ।
এদিকে এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভ্যাট বলবৎ থাকবে। তবে টিউশন ফি বাড়ানো যাবে না।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর