দেশের সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা দেওয়ার দায়িত্ব সবার বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, এ দেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ। এ দেশে সবাই সমান অধিকার ভোগ করবে। সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা দেওয়ার দায়িত্ব সর্বতোভাবে সবার। ইসলাম ধর্ম শান্তির ধর্ম, সব ধর্মই শান্তির। ইসলামের নামে কোনো ধরনের সন্ত্রাস প্রশ্রয় দেওয়া হবে না।
শনিবার (১২ নভেম্বর) বিকেলে গণভবনে রাজশাহী বিভাগের জনগণের সঙ্গে আয়োজিত ভিডিও কনফারেন্সে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন। বিভাগের ৮ জেলার জনগণের সঙ্গে সন্ত্রাসবিরোধী ও উন্নয়ন সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে মতবিনিময়ের লক্ষ্যে এ ভিডিও কনফারেন্সের আয়োজন করা হয়।
এ সময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি মসজিদের ইমামদের অনুরোধ করবো, তারা যেন খুতবায় জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে ইসলামের দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরেন। সর্বোপরি অভিভাবক, শিক্ষক, সাধারণ জনগণ সবাইকে, আহ্বান জানাবো, জ্বালাও-পোড়াও-সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে আমাদের রুখে দাঁড়াতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে সরকারের কড়া অবস্থানের কথা জানিয়ে বলেন, এখন একটা শ্রেণি হয়েছে, তারা একদিকে ইসলামের নাম নিচ্ছে, আরেকদিকে সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ চালাচ্ছে। আমাদের সরকার এই ধরনের সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে। এ ব্যাপারে কোনো ছাড় নয়। সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা দেওয়ার দায়িত্ব সবার
তিনি বলেন, দেশ যখন উন্নয়ন-সমৃদ্ধির মধ্য দিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে, তখন সেই পরাজিত শক্তি মানুষকে ভোট দেওয়া থেকে বিরত রাখতে আন্দোলনের নামে হরতাল-অবরোধ করে, সহিংসতা চালায়। আগুনে পুড়িয়ে মানুষ হত্যা করে। তাদের বরোধ-হরতালের আগুনে ৫০৮ জন মানুষ দগ্ধ হয়েছেন, ৫৮২ স্কুল তারা আগুনে পুড়িয়েছে। শান্তিপূর্ণ পরিবেশ ছাড়া অর্থনৈতিক উন্নয়ন সম্ভব নয়, এটা বাস্তবতা। আমি আগে যে বিভাগের সঙ্গে মতবিনিময় করেছি, সেখানেও বলেছি, সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে আমাদের এক হয়ে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। আপনাদেরও বলছি, জ্বালাও-পোড়াও-সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে সকলকে মিলে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।