মির্জা আব্বাসের জামিন স্থগিত

বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসের বিরুদ্ধে দুদকের দায়ের করা মামলায় হাইকোর্টের দেয়া জামিনাদেশ এক সপ্তাহের জন্য স্থগিত করেছেন আপিল বিভাগ। আজ দুদকের আবেদন মঞ্জুর করে প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহার নেতৃত্বাধীন পাঁচ বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

মামলাটি আজ আদালতের কার্যতালিকার ৪ নম্বরে ছিল। আজ (সোমবার) সকালে শুনানির শুরুতে আদালতে দুদকের আইনজীবী খুরশিদ আলম খান হাইকোর্টের দেয়া আদেশ স্থগিত চান। তিনি আদালতে বলেন, ‘পুলিশের দেয়া অভিযোগপত্রে মির্জা আব্বাসের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ আছে। তাই আমরা তার জামিন আদেশ স্থগিত চাইছি।’ এতে আদালত মির্জা আব্বাসের জামিন এক সপ্তাহের জন্য স্থগিত করেন। মির্জা আব্বাসের আইনজীবী জয়নুল আবেদীন আবেদনের বিরোধীতা করলেও তা নামঞ্জুর করা হয়। ফলে হাইকোর্টের আদেশ এক সপ্তাহের জন্য স্থগিত হল।

প্রসঙ্গত, সাংবাদিকদের প্লট বরাদ্দের অভিযোগে শাহবাগ থানায় দুদকের দায়ের করা এ মামলায় গত ৯ মার্চ বুধবার হাইকোর্ট থেকে জামিন পান বিএনপির এ সিনিয়র নেতা।

চেম্বার বিচারপতি মির্জা হোসেইন হায়দার রাষ্ট্রপক্ষের করা আবেদনের শুনানি করে গত ১০ মার্চ (বৃহস্পতিবার) শুনানির জন্য এটি আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে পাঠিয়ে দেন। দুদকের এ মামলাসহ মোট তিন মামলায় জামিন পাওয়ায় কারামুক্তিতে বাধা ছিলো না আব্বাসের। কিন্তু হাইকোর্টের দেয়া জামিন আদেশ স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষ আবেদন করায় তার কারামুক্তি আটকে যায়।

এর আগে ৭ ফেব্রুয়ারি বিচারিক আদালতে জামিন না পেয়ে তিনি হাইকোর্টে আবেদন করেন, সে আবেদনের শুনানি করে বিচারপতি রুহুল কুদ্দুস ও বিচারপতি মাহমুদুল হকের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ ৯ মার্চ বুধবার তাকে জামিন দেন।

বর্তমানে বিএনপির এ নেতা বারডেম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। অ্যাডভোকেট সগীর হোসেন লিওন বলেছেন, মির্জা আব্বাস মন্ত্রী থাকা অবস্থায় প্লট বরাদ্দের বিষয়ে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ এনে ২০১৪ সালে শাহবাগ থানায় একটি মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। ওই মামলায় জামিন চাইতে গিয়ে গত ৬ জানুয়ারি বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণ করেন আব্বাস। শুনানি করে বিচারক তাকে জামিন না দিয়ে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। বিচারিক আদালতের আদেশের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে গত ৭ ফেব্রুয়ারি জামিন আবেদন করেন আব্বাস।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর