ঢাকা ১২:১৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৫ মে ২০২৪, ৩১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
ইটনায় সরকারি বিদ্যমান সেবা বিষয়ে অবহিতকরণ সভা অনুষ্ঠিত মদনে সংবাদ প্রকাশের পর স্কুল কর্তৃপক্ষের ঘুম ভাঙ্গল বিদ্যালয় প্রাঙ্গন দখল করে ঘর নির্মাণ করছেন শিক্ষক রাজধানীতে পার্বত্য জেলার সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যসমৃদ্ধ বিপনী বিতান উদ্বোধন করেন: পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী সীমান্ত সড়ক পশ্চাদপদ পার্বত্য অঞ্চলকে উন্নয়নের স্রোতধারায় একীভূত করেছে মদন উপজেলা ছাত্র কল্যাণ পরিষদের সভাপতি সায়েম সাধারণ সম্পাদক আরিফ মদনে ফের বয়রাহালা ব্রীজের এপ্রোচ দখল করে ঘর নির্মাণ মদনে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে কৃষককে হত্যার চেষ্টা মদনের এ.ইউ.খান উচ্চ বিদ্যালয়কে কারণ দর্শানোর নোটিশ মদনে এক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী উপস্থিতি শূন্য

নিজেদের সবজি নিজেরাই বেচি লাভও বেশি

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৭:২০:৩২ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২০
  • ১৯৩ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ মেহেরপুরের কৃষকেরা এখন নিজেরাই বাজারজাত করছেন তাদের উৎপাদিত সবজি। কৃষকের এ উদ্যোগে আশাবাদী হয়ে উঠেছে কৃষি বিভাগও। জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে প্রতিদিনই কয়েকশো’ ট্রাক সবজি নিয়ে যাচ্ছেন দেশের বড় বড় সবজি বাজারগুলোতে।

চাষিরা উৎপাদিত সবজি, খেত থেকে তুলে নিজেদের উদ্যোগেই পাঠাচ্ছে ঢাকা, বরিশাল, চট্টগ্রাম, সিলেটসহ বিভিন্ন এলাকায়। নিজেরা সবজি বিক্রি করার ফলে চাষিরা লাভবান হচ্ছেন আগের তুলনায় অনেক বেশি।  তবে মাঝারি বা ছোট ছোট সবজি চাষির কাছ এখনো ঢাকা, খুলনা, সিলেট, চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে কিছু ব্যবসায়ী আসেন।

সবজি খেতের পরিচর্যায় ব্যস্ত চাষিরা

সবজি খেতের পরিচর্যায় ব্যস্ত চাষিরা

শুধু শীতকালীন সময়ে নয়, সারা বছরই মেহেরপুরে হয়ে আসছে নানা ধরনের সবজি চাষ। এরইমধ্যে জেলাটি সবজি জেলা হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে। সরেজমিনে দেখা যায়, মাঠের পর মাঠ শোভা পাচ্ছে ফুলকপি, বাঁধাকপি, মিষ্টি ও চালকুমড়া, ঢেঁড়স, শসা, লাউ, করলা, ডাটা, মিষ্টি আলু, পটল, কাকরোল, চিঁচিঙ্গা, বরবটি, গাজর, মুলা, শালগম, কলা, বেগুনসহ নানা জাতের সবজি।

মেহেরপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের হিসেব মতে, এ সময়ে জেলায় সবজি চাষ হয়েছে ৪ হেক্টর জমিতে। ফুলকপি, বাঁধাকপি, করলা, টমেটো, পটল, পুঁইশাক, লালশাক, শসাসহ বিভিন্ন সবজির পসরা এখন বাজারগুলোতে। অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার সবজিতে লাভ আসছে অনেক বেশি

খেত থেকে সবজি তুলছেন কৃষক

খেত থেকে সবজি তুলছেন কৃষক

গাংনী উপজেলার সাহারবাটি গ্রামের সবজি চাষি তহসেন আলী, সাইফুল ইসলাম,  আসান আলী, আকরাম হোসেনসহ অন্যান্য চাষিরা বলেন, আমরা মাথার ঘাম পায়ে ফেলে সবজি উৎপাদন করলেও লাভবান হতে পারতাম না। ঢাকা, চট্টগ্রাম, খুলনা ও সিলেট অঞ্চলের ব্যবসায়ীরা আমাদের কাছ থেকে কম দাম দিয়ে সবজি কিনে নিয়ে যেত। তাতে করে আমাদের লাভ তারাই খেয়ে নিতো। এখন আমরা নিজেরাই ট্রাক লোড করে ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট খুলনাসহ দেশের বিভিন্ন বাজারে সবজি বিক্রি করছি। মোবাইল ফোনে সহজেই বাজারদর জানতে পারছি।

সবজি চাষি নেকছার আলী ও চাঁদ আলী বলেন, সাহারবাটি গ্রামের অনেক চাষি এখন সবজি চাষের পাশাপাশি এলাকার চাষিদের কাছ থেকে বিভিন্ন সবজি কিনে সেগুলো দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে পাঠিয়ে থাকেন। ফলে এখন কৃষকেরা নিজেরাই সবজির আড়ৎ প্রতিষ্ঠিত করছেন।

কুমড়া খেত পরিচর্যা করছেন দুই চাণি

কুমড়া খেত পরিচর্যা করছেন দুই চাণি

স্থানীয় সবজি আড়ৎ ব্যবসায়ী সেলিম হোসেন, আবুল হোসেন ও বাবর আলী বলেন, এলাকার সবজি চাষিরা এখন নিজেরাই তাদের সবজি দেশের বিভিন্ন মোকামে নিয়ে যাওয়ায় আমাদের ব্যবসায় অনেকটাই ধস নেমেছে। আগের মতো এখন আর ব্যবসা নেই।

মেহেরপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপপরিচালক স্বপন কুমার খাঁ বলেন সবজি সমৃদ্ধ জেলা মেহেরপুর। এখানে সারা বছরই চলে সবজি চাষ। এ অঞ্চলের সবজি চাষিরা এখন তাদের উৎপাদিত সবজি বাজারজাত করণে নিজেরাই উদ্যোগী হয়ে উঠছেন। তারা তাদের সবজি সারা বাংলাদেশে প্রেরণ করে অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হচ্ছেন। কৃষি বিভাগ তাদের সবজি চাষ ও অধিক লাভবান করতে দিন রাত পরিশ্রম করছেন। দিচ্ছেন নানা ধরনের পরামর্শ।

 

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

ইটনায় সরকারি বিদ্যমান সেবা বিষয়ে অবহিতকরণ সভা অনুষ্ঠিত

নিজেদের সবজি নিজেরাই বেচি লাভও বেশি

আপডেট টাইম : ০৭:২০:৩২ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২০

হাওর বার্তা ডেস্কঃ মেহেরপুরের কৃষকেরা এখন নিজেরাই বাজারজাত করছেন তাদের উৎপাদিত সবজি। কৃষকের এ উদ্যোগে আশাবাদী হয়ে উঠেছে কৃষি বিভাগও। জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে প্রতিদিনই কয়েকশো’ ট্রাক সবজি নিয়ে যাচ্ছেন দেশের বড় বড় সবজি বাজারগুলোতে।

চাষিরা উৎপাদিত সবজি, খেত থেকে তুলে নিজেদের উদ্যোগেই পাঠাচ্ছে ঢাকা, বরিশাল, চট্টগ্রাম, সিলেটসহ বিভিন্ন এলাকায়। নিজেরা সবজি বিক্রি করার ফলে চাষিরা লাভবান হচ্ছেন আগের তুলনায় অনেক বেশি।  তবে মাঝারি বা ছোট ছোট সবজি চাষির কাছ এখনো ঢাকা, খুলনা, সিলেট, চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে কিছু ব্যবসায়ী আসেন।

সবজি খেতের পরিচর্যায় ব্যস্ত চাষিরা

সবজি খেতের পরিচর্যায় ব্যস্ত চাষিরা

শুধু শীতকালীন সময়ে নয়, সারা বছরই মেহেরপুরে হয়ে আসছে নানা ধরনের সবজি চাষ। এরইমধ্যে জেলাটি সবজি জেলা হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে। সরেজমিনে দেখা যায়, মাঠের পর মাঠ শোভা পাচ্ছে ফুলকপি, বাঁধাকপি, মিষ্টি ও চালকুমড়া, ঢেঁড়স, শসা, লাউ, করলা, ডাটা, মিষ্টি আলু, পটল, কাকরোল, চিঁচিঙ্গা, বরবটি, গাজর, মুলা, শালগম, কলা, বেগুনসহ নানা জাতের সবজি।

মেহেরপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের হিসেব মতে, এ সময়ে জেলায় সবজি চাষ হয়েছে ৪ হেক্টর জমিতে। ফুলকপি, বাঁধাকপি, করলা, টমেটো, পটল, পুঁইশাক, লালশাক, শসাসহ বিভিন্ন সবজির পসরা এখন বাজারগুলোতে। অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার সবজিতে লাভ আসছে অনেক বেশি

খেত থেকে সবজি তুলছেন কৃষক

খেত থেকে সবজি তুলছেন কৃষক

গাংনী উপজেলার সাহারবাটি গ্রামের সবজি চাষি তহসেন আলী, সাইফুল ইসলাম,  আসান আলী, আকরাম হোসেনসহ অন্যান্য চাষিরা বলেন, আমরা মাথার ঘাম পায়ে ফেলে সবজি উৎপাদন করলেও লাভবান হতে পারতাম না। ঢাকা, চট্টগ্রাম, খুলনা ও সিলেট অঞ্চলের ব্যবসায়ীরা আমাদের কাছ থেকে কম দাম দিয়ে সবজি কিনে নিয়ে যেত। তাতে করে আমাদের লাভ তারাই খেয়ে নিতো। এখন আমরা নিজেরাই ট্রাক লোড করে ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট খুলনাসহ দেশের বিভিন্ন বাজারে সবজি বিক্রি করছি। মোবাইল ফোনে সহজেই বাজারদর জানতে পারছি।

সবজি চাষি নেকছার আলী ও চাঁদ আলী বলেন, সাহারবাটি গ্রামের অনেক চাষি এখন সবজি চাষের পাশাপাশি এলাকার চাষিদের কাছ থেকে বিভিন্ন সবজি কিনে সেগুলো দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে পাঠিয়ে থাকেন। ফলে এখন কৃষকেরা নিজেরাই সবজির আড়ৎ প্রতিষ্ঠিত করছেন।

কুমড়া খেত পরিচর্যা করছেন দুই চাণি

কুমড়া খেত পরিচর্যা করছেন দুই চাণি

স্থানীয় সবজি আড়ৎ ব্যবসায়ী সেলিম হোসেন, আবুল হোসেন ও বাবর আলী বলেন, এলাকার সবজি চাষিরা এখন নিজেরাই তাদের সবজি দেশের বিভিন্ন মোকামে নিয়ে যাওয়ায় আমাদের ব্যবসায় অনেকটাই ধস নেমেছে। আগের মতো এখন আর ব্যবসা নেই।

মেহেরপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপপরিচালক স্বপন কুমার খাঁ বলেন সবজি সমৃদ্ধ জেলা মেহেরপুর। এখানে সারা বছরই চলে সবজি চাষ। এ অঞ্চলের সবজি চাষিরা এখন তাদের উৎপাদিত সবজি বাজারজাত করণে নিজেরাই উদ্যোগী হয়ে উঠছেন। তারা তাদের সবজি সারা বাংলাদেশে প্রেরণ করে অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হচ্ছেন। কৃষি বিভাগ তাদের সবজি চাষ ও অধিক লাভবান করতে দিন রাত পরিশ্রম করছেন। দিচ্ছেন নানা ধরনের পরামর্শ।