থাকবে ঢাকার উন্নয়নে পাঁচসনা পরিকল্পনা

হাওর বার্তা ডেস্কঃ ঐতিহ্যের ঢাকা’, ‘সুন্দর ঢাকা’, ‘সচল ঢাকা’, ‘সুশাসিত ঢাকা’ ও ‘উন্নত ঢাকা’—এই পাঁচ পরিকল্পনার মাধ্যমে রাজধানী ঢাকাকে বাসযোগ্য ও উন্নত করার লক্ষ্যে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনানির্ভর ইশতেহার দেবেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে (ডিএসসিসি) আওয়ামী লীগ সমর্থিত মেয়র প্রার্থী শেখ ফজলে নূর তাপস। এতে ‘ঐতিহ্যে সুন্দর সচল সুশাসিত ঢাকার পথচলা’ শিরোনামে প্রকাশিতব্য ইশতেহারে পুরান ঢাকার ঐতিহ্যকে পুনরুদ্ধার করে স্বকীয় গৌরবে ফেরানো ও উন্নয়নের ওপর জোর দেওয়া হবে। আগামী ২৮ অথবা ২৯ জানুয়ারি ইশতেহার ঘোষণা করবেন তাপস, যাতে থাকবে ডিএসসিসি উন্নয়নের সমন্বিত কর্মপরিকল্পনা।

রাজধানীর নাগরিক সেবার মান উন্নত করতে তাপসের পাঁচসনা (পাঁচ বছর) উন্নয়ন পরিকল্পনায় থাকবে দীর্ঘ মেয়াদে রাজধানী উন্নয়নের রূপরেখা। ২০৪১ সালে বাংলাদেশ উন্নত দেশে উন্নীত হবে। আগামী ১ ফেব্রুয়ারির ভোটে মেয়র নির্বাচিত হলে ঢাকা দক্ষিণ সিটি তথা রাজধানীর উন্নয়নে ৩০ বছর মেয়াদের পরিকল্পনা নেবেন বলে জানিয়েছেন তিনি। ডিএসসিসির বড় অংশ পড়েছে পুরান ঢাকায়। বুড়িগঙ্গার তীর ঘেঁষে গড়ে উঠা বড় বড় বাণিজ্যকেন্দ্রের অবস্থান এ অঞ্চলে। দেশের দক্ষিণাঞ্চলের সঙ্গে যোগাযোগ ও বাণিজ্যের বড় হাবও এই দক্ষিণে।

জানা গেছে, ইশতেহারে শেখ ফজলে নূর তাপস ঢাকাবাসীর জীবনযাত্রার মানোন্নয়নে অঞ্চলভিত্তিক উন্নয়ন এবং পুরান ঢাকার ঐতিহ্য রক্ষার ওপর গুরুত্ব দেবেন।  ‘আমাদের ঢাকা, আমাদের ঐতিহ্য’ শিরোনামে পাঁচটি উন্নয়ন পরিকল্পনা ধরে তাঁর নির্বাচনী ইশতেহার চূড়ান্ত পর্যায়ে। আওয়ামী লীগের নির্বাচন সমন্বয় অফিস সূত্রে জানা গেছে, ঢাকার নিজস্ব ইতিহাস ও প্রত্নতাত্তিক ঐতিহ্য রক্ষায় বড় পরিকল্পনা থাকবে তাপসের ইশতেহারে। বিশেষ করে, ঐতিহাসিক স্থাপনা রক্ষায় জোর দেওয়া হবে। পর্যাপ্ত খেলার মাঠ, খোলা জায়গা, বিনোদনকেন্দ্র স্থাপন, বুড়িগঙ্গা ও শীতলক্ষ্যা ঘিরে বনায়ন ও বিনোদনকেন্দ্র গড়ে তোলার দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনাও থাকবে ইশতেহারে।

মাদক নির্মূলে কঠোর ব্যবস্থার পাশাপাশি এলাকাভিত্তিক সুশাসন প্রতিষ্ঠায় হারিয়ে যাওয়া পঞ্চায়েত ব্যবস্থা চালু করতে পরিকল্পনা থাকবে ইশতেহারে। নির্বাচিত হলে আইন, বিধি ও নীতিমালার কঠোর প্রয়োগের মাধ্যমে ঢাকার উন্নয়ন ও সেবা সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোকে সিটি করপোরেশনের কাছে সমন্বিতভাবে দায়বদ্ধ করবেন তাপস। দক্ষিণ সিটির একেকটি অঞ্চলে একেক ধরনের সমস্যা। অঞ্চলভিত্তিক সমস্যা সমাধান ও পরিকল্পনার ওপর জোর থাকবে ইশতেহারে।

 

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর