সান্তোকির বিশাল নো বলে দুর্নীতির প্রমাণ পায়নি বিসিবি

হাওর বার্তা ডেস্কঃ বঙ্গবন্ধু বিপিএলের শুরুতেই সমালোচনার জন্ম দিয়েছিলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজ পেসার ক্রিসমার সান্তোকি। উদ্বোধনী ম্যাচে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের বিপক্ষে অদ্ভূত বিশাল নো বল এবং ওয়াইড করে ক্রিকেটপ্রেমীদের মনে কৌতূহল জাগান তিনি। শুধু বিস্ময় সৃষ্টি নয়, রীতিমতো ফিক্সিংয়ের অভিযোগ ওঠে তার বিরুদ্ধে! সেই সন্দেহ থেকেই তদন্তে নামে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) দুর্নীতি দমন শাখা। শেষ পর্যন্ত অভিযোগ থেকে রেহাই পেয়েছেন সিলেট থান্ডার্সের বোলার।

হোম অব ক্রিকেট মিরপুরে উদ্বোধনী ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করে ১৬২ রান করে সিলেট। জবাবে ব্যাট করে চট্টগ্রাম। দ্বিতীয় ওভারে বোলিংয়ে আসেন সান্তোকি। তার করা তৃতীয় ডেলিভেরি লেগ স্টাম্পের অনেক বাইরে দিয়ে চলে যায়। বামপ্রান্তে ঝাঁপিয়ে বলটি গ্লাভসবন্দি করেন উইকেটরক্ষক মোহাম্মদ মিঠুন।

অনেক বড় এ ওয়াইড অবশ্য সবার নজরবন্দি হয়নি। কারণ ক্রিকেটে এমন ওয়াইড হতেই পারে। কিন্তু একই ওভারে সান্তোকির করা পঞ্চম ডেলিভেরিটি কৌতূহল জাগায়। এটি করতে গিয়ে পপিং ক্রিজের এক ফুটেরও দূরে পা ফেলেন তিনি, যা স্মরণ করিয়ে দেয় ২০১০ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে মোহাম্মদ আসিফ, মোহাম্মদ আমিরদের করা নো বলের কথা। যে কারণে দীর্ঘদিন সব ধরনের ক্রিকেটে নিষিদ্ধ ছিলেন তারা।

সান্তোকির নো বল দেখে অনেকে সরাসরি বলছেন, অবিশ্বাস্য! এটি নিশ্চিত ফিক্সিং। শুধু সাধারণ ক্রিকেটপ্রেমীরাই নন, খোদ বিসিবির টিম পরিচালক তানজীল চৌধুরীর মনেও এ নিয়ে সংশয় জাগে। এরপর বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন বিষয়টি দুর্নীতি দমন শাখার ওপর ছেড়ে দেন।

এবার তদন্তের ফলাফল জানালেন বোর্ডের প্রধান নির্বাহী নিজামউদ্দিন চৌধুরী সুজন। তিনি বললেন, কোনো খেলোয়াড়ের বিষয়ে যৌক্তিক সন্দেহ হলে দুর্নীতি দমন শাখা বিষয়টি তদন্ত করে। সংবাদমাধ্যম ও সোশ্যাল মিডিয়ায় এ নিয়ে বিস্তর লেখা দেখে তারা বিষয়টি তদন্ত করেছে। তবে সান্তোকির বিষয়ে অপরাধমূলক কিছু পায়নি ওরা। তাই আমাদের কাছেও আসেনি। পর্যাপ্ত সাক্ষ্য প্রমাণ পেলে আমাদের অবশ্যই জানাত। সেরকম গুরুত্বপূর্ণ কিছু পায়নি তারা।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর