আকস্মিকভাবে ঢাকায় জাতিসংঘ দিবসের পূর্ব-নির্ধারিত কূটনৈতিক পার্টি বাতিল করা হয়েছে। আগামী ২৫শে অক্টোবর সন্ধ্যায় গুলশানের লেক শো’র হোটেলে অনুষ্ঠানটি আয়োজনের প্রস্তুতি ছিল। ঢাকাস্থ জাতিসংঘ অফিসের একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা যুগান্তরকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
জানা গেছে, জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারীর দপ্তর থেকে অনুষ্ঠান বাতিলের সিদ্ধান্তের বিষয়ে হোটেলে কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে। আয়োজকদের তরফে হোটেলের ব্যাঙ্কুইট হলটির বুকিং বৃহস্পতিবার তাৎক্ষণিকভাবে বাতিল করে অন্যান্য প্রস্তুতি স্থগিত করতে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। খবর সংশ্লিস্ট সূত্রের।
সূত্রমতে, কূটনীতিকসহ সারাদেশে থাকা বিদেশিদের নিরাপত্তায় সরকারের তরফে কয়েক স্তরের নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। হত্যা দুটির গ্রহণযোগ্য তদন্তের আশ্বাস দেয়া হয়েছে।স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ইতালিও অস্ট্রেলিয়াসহ কয়েকটি দেশের রাষ্ট্রদূতদের সাথে বৈঠক করেছেন। এসব বৈঠকে সরকারের পক্ষ থেকে বিদেশীদের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে। কিন্তু তারপরও আতঙ্ক এবং উদ্বেগ কাটছে না।
দুই বিদেশি নাগরিককে গুলি করে হত্যার প্রেক্ষিতে বাংলাদেশের সার্বিক নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে উদ্বেগ বিরাজ করছে। বাংলাদেশে থাকা বিদেশি নাগরিক ও কূটনীতিকদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। ইতোমধ্যে দূতবাসগুলো তাদের কর্মীদের চলাফেরায় নিয়ন্ত্রণের নোটিশ জারি করেছে। অনেক অনুষ্ঠান বাতিল করে পরিস্থিতির কারণে নতুন অনুষ্ঠান আয়োজন কমিয়ে দেয়া হয়েছে। এর আগে আমেরিকান ক্লাবের একটি প্রোগ্রাম বাতিল করা হয়।
জাতিসংঘ আবাসিক সমন্বয়কারীর ঢাকা অফিস তাদের অধীন সব প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের রংপুরে যেতে বারণ করেছে। জাপান ও স্পেন তাদের অনেক আতঙ্কিত কর্মী ও সেচ্ছাসেবীকে দেশে ফেরত পাঠিয়েছে। দুই বিদেশি নাগরিক খুনের আগেই বাংলাদেশের নিরাপত্তা পরিস্থিতির অবনতির আশঙ্কা প্রকাশ করেছিল অস্ট্রেলিয়া। ইতালি নাগরিক হত্যার পর অস্ট্রেলিয়া তাদের জাতীয় ক্রিকেট দলের বাংলাদেশ সফর বাতিল করে। দক্ষিণ আফ্রিকার নারী ক্রিকেট দলের ঢাকা সফরও পিছিয়ে যায়।
এছাড়া যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, জাপান, কোরিয়াসহ বিভিন্ন দেশ তাদের নাগরিকদের বাংলাদেশ ভ্রমণ এবং চলাফেরায় সর্বোচ্চ সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়ে ট্রাভেল এলার্ট জারি করে।