হাওর বার্তা ডেস্কঃ বিশ্বের সবচেয়ে বড় গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ভারতের প্রধানমন্ত্রী হওয়া সত্ত্বেও আজও মায়ের কাছ থেকে টাকা নেন বলে জানিয়েছেন নরেন্দ্র মোদি। সম্প্রতি চায়ের কাপে চুমুক দিতে দিতে অভিনেতা অক্ষয় কুমারকে এ কথা জানান তিনি।
প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনের বারান্দায় মুখোমুখি এক সাক্ষাৎকারে অক্ষয় কুমার মোদিকে বলেন, ‘আপনি তো আপনার বেতনের একটা অংশ বাড়িতে দেন।
শুনে মোদি বলে ওঠেন, ‘আমি আজও মায়ের কাছ থেকে টাকা নিই। মা আমাকে টাকা পাঠায়। মায়ের সঙ্গে দেখা হলে তিনি আমায় ১ টাকা ২৫ পয়সা করে দেন। আমার থেকে তার কোনো প্রত্যাশা নেই।
মোদি আরও বলেন, ‘আমার পরিবারের জন্য সরকারের কোনো অর্থ খরচ হয় না। কিন্তু তার মানে এই নয় যে আমি আমার পরিবারের সঙ্গে যুক্ত নই। আসলে আমার জীবন এখন এমনভাবে পরিচালিত হয় যে পুরো দেশ-ই আমার পরিবার হয়ে গেছে।
নরেন্দ্র মোদির মা হীরাবেন ভারতের আমেদাবাদে থাকেন। মাত্র একদিন আগে ভোট দিতে যাওয়ার আগে মায়ের পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করেন মোদি। সোশ্যাল মিডিয়ায় সেই ছবি ভাইরাল হয়ে যায়। এ ছাড়া মোদির জীবনের আরও বেশ কয়েকটি অজানা চমকপ্রদ বিষয় উঠে এসেছে এ সাক্ষাৎকারে।
প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে চর্চা চলছেই। এ ব্যাপারে অক্ষয় কুমার জিজ্ঞেস করেন, ‘পরিবারকে মিস করেন না?’ মোদির উত্তর, ‘আমি খুব কম বয়সেই পরিবার থেকে আলাদা হয়ে যাই৷ সব কিছু ছেড়ে বেরিয়ে পড়ি। ছোটবেলায় পরিবার থেকে আলাদা হয়ে যাওয়ায় এখন আর পরিবারের প্রতি সেই টান অনুভব হয় না। আর এখন পরিবারের সঙ্গে সময় কাটানোরও সময় পাই না।’
অক্ষয় বলেন, ‘যেখানে কমপক্ষে দৈনিক ৭ ঘণ্টা ঘুমনোর প্রয়োজন, সেখানে আপনি দিনে তিন থেকে চার ঘণ্টার বেশি ঘুমান না।’
জবাবে একটি মজাদার গল্পের প্রসঙ্গ টেনে মোদি জানান, ‘যখন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ওবামার সঙ্গে প্রথম দেখা হয়েছিল, তিনিও এই প্রশ্নটা আমাকে করেছিলেন। জিজ্ঞাসা করেছিলেন, কীভাবে এমনটা সম্ভব হয় আপনার? এখনো যখন আমার সঙ্গে দেখা হয় ওবামার, তিনি খোঁজ নেন, ঘুমের পরিমাণটা বাড়িয়েছেন তো!
মোদি জানান, তিন ঘণ্টার বেশি ঘুম হয় না তার। এখন এটাই তার অভ্যাস হয়ে গেছে। যদিও এতে তার স্বাস্থ্যের উপর কোনো প্রভাব পড়ে না।