হাওর বার্তা ডেস্কঃ রবিবার ইস্টার সানডে’তে গীর্জায় প্রার্থানারত খ্রীস্টান ধর্মাবলম্বীদের ওপর আত্মঘাতী সিরিজ বোমা হামলায় কেঁপে ওঠে সমগ্র কলম্বো। ভয়াবহ এই সিরিজ বিস্ফোরণে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৩২১ জনে দাঁড়িয়েছে।
দেশে তৌহিদ জামাতসহ জঙ্গি তৎপরতার ব্যাপারে শ্রীলঙ্কান সরকারকে সবার আগে সতর্ক করেছিলো দেশটির মুসলিম কাউন্সিল। এ ব্যাপারে সকল তথ্য-প্রমাণসহ শ্রীলঙ্কান সেনা গোয়েন্দা বিভাগের প্রধানের সঙ্গে দেখা করেছিলেন কাউন্সিলের সহ-সভাপতি। কিন্তু কোন সতর্কতাই আমলে নেয়া হয়নি।
শ্রীলঙ্কান মুসলিম কাউন্সিলের সভাপতি হিলমি আহমেদ সাংবাদিককে বলেন, ‘তৌহিদ জামাত অমুসলিমদেরকে টার্গেট করাকে উৎসাহিত করে। তারা বলে ইসলাম অনুযায়ী তাদেরকে হত্যা করা উচিত।
তিনি জানান, ৩ বছর আগে তিনি ব্যক্তিগতভাবে গিয়ে জঙ্গিদের নামসহ বিস্তারিত তথ্য ও প্রমাণ সেনা গোয়েন্দাদের সরবরাহ করেছিলেন। তার ভাষায়, ‘তারা সেই ডকুমেন্টগুলোকে আমলে নেয়নি। এবং সেটিই সবচেয়ে বড় ট্রাজেডি।’
মঙ্গলবার শ্রীলঙ্কায় সিরিজ বোমা হামলার দায় স্বীকার করেছে ইসলামিক স্টেট(আইএস)। আইএসের বার্তা সংস্থা আমাক এজেন্সি দায় স্বীকার করে বলে জানিয়েছে সাইট ইন্টেলিজেন্স।
এর আগে, শ্রীলংকান সরকার হামলার জন্য উগ্র ইসলামপন্থী সংগঠন তৌহিদ জামাত ও আন্তর্জাতিক জঙ্গি নেটওয়ার্ককে দায়ী করছিলো। এ সংগঠনটিও দায় স্বীকার করেছে বলে জানিয়েছে রুশ বার্তা সংস্থা তাস।
প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমাসিংহে বলেছেন, নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে মুসলিমদের ওপর হামলার বদলা নিতেই শ্রীলঙ্কায় হামলা হয়েছে।