ঢাকা ০৫:১০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৫, ৩ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নদী খননে দুর্নীতি, ঠিকাদারকে বাদ দিলেন প্রতিমন্ত্রী

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৩:৪১:২৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০১৯
  • ২৪৩ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ মাদারীপুরের শিবচরে ময়নাকাটা নদীতে বিআইডব্লিউটিএর চলমান খনন প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার জালাল ট্রেডার্সকে বাতিল করা হয়েছে। প্রকল্পটি বাবদ ২৫ ভাগ টাকা ঠিকাদার জালাল ট্রেডার্স উত্তোলন করে নিলেও সরেজমিনে পরিদর্শনকালে কাজের অগ্রগতির কোনো সত্যতা খুঁজে পায়নি পরিদর্শক দল।

প্রকল্পটির ব্যয় ধরা হয়েছে ৬ কোটি সাড়ে ১৩ লাখ টাকা। প্রকল্পটি ২০১৭ সালের ২৩ মে শুরু হয়ে ২০১৯ সালের ২২ এপ্রিল সম্পন্ন হওয়ার কথা ছিল। ১২০ ফুট প্রশস্ত সাড়ে ৭ ফুট গভীর খনন ও ২ হাজার ফুট দূরত্বে খননকৃত মাটি অপসারণের কথা থাকলেও নদীতে মাটি ফেলে সংকুচিত করে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। ফলে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে বাদ দেন নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। পরিদর্শক দল এ প্রকল্প এলাকা পরিদর্শন ছাড়াও ময়নাকাটা নদীর ওপর শেখ হাসিনা সেতু উদ্বোধন ও উপজেলা পরিষদে ঈদ পূর্ব কাঁঠালবাড়ি ইলিয়াছ আহমেদ চৌধুরী ফেরিঘাটের ব্যবস্থাপনা বিষয়ক আলোচনা সভায় অংশ নেন।

Madaripur

এতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে- জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী নদী দখলের বিরুদ্ধে চলমান কঠোর অভিযান ও ময়নাকাটা নদী খননকাজে অবহেলায় জড়িত ঠিকাদারকে বাদ দেয়ায় প্রতিমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান।

নূর-ই-আলম চৌধুরী বলেন, নদী দখলকারীদের বিরুদ্ধে সরকার খুব কঠোর। কেউ নদীর জায়গা দখলের চেষ্টা করবেন না। সরকার যদি ঢাকার পাশে ছয়তলা বাড়ি ভাঙতে পারে তাহলে শিবচরেও দশতলা বাড়ি ভাঙতে পারবে। শুধু বিআরএস রেকর্ড করে জমি দখল করা যাবে না, তার আগের রকের্ডগুলো পর্যবেক্ষণ করা হবে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন- মাদারীপুরের জেলা প্রশাসক ওয়াহিদুল ইসলাম, পুলিশ সুপার সুব্রত হাওলাদার, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মিয়াজ উদ্দিন খান, জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি মুনির চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক কাজল কৃষ্ণ দে, উপজেলা চেয়ারম্যান শামসুদ্দিন খান, পৌর মেয়র আওলাদ হোসেন খান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আসাদুজ্জামান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আ. লতিফ মোল্লা ও সাধারণ সম্পাদক ডা. মো. সেলিম প্রমুখ।

Madaripur

সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে নদী দখলকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, পরিদর্শনকালে ময়নাকাটা নদী খননে অনিয়মের অভিযোগে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে বাদ দেয়া হয়েছে। যারা নদীর দিকে দখলের জন্য দৃষ্টি দিয়েছেন তারা দৃষ্টি ফিরিয়ে নেন। নদীকে রক্ষা করতে না পারলে জনপদ সংস্কৃতি কিছুই বাঁচবে না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে নদী দখলমুক্ত অভিযান চলছে।

পদ্মা সেতু বাস্তবায়নের পর কাঁঠালবাড়ি ইলিয়াছ আহমেদ চৌধুরী ফেরিঘাট সম্পর্কে প্রতিমন্ত্রী বলেন, পদ্মা সেতু বাস্তবায়নের পর আমরা এই ঘাটের ৪২ একর জায়গায় নৌ-পর্যটনকেন্দ্র বা নৌ-ইকো পার্ক গড়ে তুলব।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

নদী খননে দুর্নীতি, ঠিকাদারকে বাদ দিলেন প্রতিমন্ত্রী

আপডেট টাইম : ০৩:৪১:২৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০১৯

হাওর বার্তা ডেস্কঃ মাদারীপুরের শিবচরে ময়নাকাটা নদীতে বিআইডব্লিউটিএর চলমান খনন প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার জালাল ট্রেডার্সকে বাতিল করা হয়েছে। প্রকল্পটি বাবদ ২৫ ভাগ টাকা ঠিকাদার জালাল ট্রেডার্স উত্তোলন করে নিলেও সরেজমিনে পরিদর্শনকালে কাজের অগ্রগতির কোনো সত্যতা খুঁজে পায়নি পরিদর্শক দল।

প্রকল্পটির ব্যয় ধরা হয়েছে ৬ কোটি সাড়ে ১৩ লাখ টাকা। প্রকল্পটি ২০১৭ সালের ২৩ মে শুরু হয়ে ২০১৯ সালের ২২ এপ্রিল সম্পন্ন হওয়ার কথা ছিল। ১২০ ফুট প্রশস্ত সাড়ে ৭ ফুট গভীর খনন ও ২ হাজার ফুট দূরত্বে খননকৃত মাটি অপসারণের কথা থাকলেও নদীতে মাটি ফেলে সংকুচিত করে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। ফলে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে বাদ দেন নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। পরিদর্শক দল এ প্রকল্প এলাকা পরিদর্শন ছাড়াও ময়নাকাটা নদীর ওপর শেখ হাসিনা সেতু উদ্বোধন ও উপজেলা পরিষদে ঈদ পূর্ব কাঁঠালবাড়ি ইলিয়াছ আহমেদ চৌধুরী ফেরিঘাটের ব্যবস্থাপনা বিষয়ক আলোচনা সভায় অংশ নেন।

Madaripur

এতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে- জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী নদী দখলের বিরুদ্ধে চলমান কঠোর অভিযান ও ময়নাকাটা নদী খননকাজে অবহেলায় জড়িত ঠিকাদারকে বাদ দেয়ায় প্রতিমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান।

নূর-ই-আলম চৌধুরী বলেন, নদী দখলকারীদের বিরুদ্ধে সরকার খুব কঠোর। কেউ নদীর জায়গা দখলের চেষ্টা করবেন না। সরকার যদি ঢাকার পাশে ছয়তলা বাড়ি ভাঙতে পারে তাহলে শিবচরেও দশতলা বাড়ি ভাঙতে পারবে। শুধু বিআরএস রেকর্ড করে জমি দখল করা যাবে না, তার আগের রকের্ডগুলো পর্যবেক্ষণ করা হবে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন- মাদারীপুরের জেলা প্রশাসক ওয়াহিদুল ইসলাম, পুলিশ সুপার সুব্রত হাওলাদার, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মিয়াজ উদ্দিন খান, জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি মুনির চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক কাজল কৃষ্ণ দে, উপজেলা চেয়ারম্যান শামসুদ্দিন খান, পৌর মেয়র আওলাদ হোসেন খান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আসাদুজ্জামান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আ. লতিফ মোল্লা ও সাধারণ সম্পাদক ডা. মো. সেলিম প্রমুখ।

Madaripur

সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে নদী দখলকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, পরিদর্শনকালে ময়নাকাটা নদী খননে অনিয়মের অভিযোগে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে বাদ দেয়া হয়েছে। যারা নদীর দিকে দখলের জন্য দৃষ্টি দিয়েছেন তারা দৃষ্টি ফিরিয়ে নেন। নদীকে রক্ষা করতে না পারলে জনপদ সংস্কৃতি কিছুই বাঁচবে না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে নদী দখলমুক্ত অভিযান চলছে।

পদ্মা সেতু বাস্তবায়নের পর কাঁঠালবাড়ি ইলিয়াছ আহমেদ চৌধুরী ফেরিঘাট সম্পর্কে প্রতিমন্ত্রী বলেন, পদ্মা সেতু বাস্তবায়নের পর আমরা এই ঘাটের ৪২ একর জায়গায় নৌ-পর্যটনকেন্দ্র বা নৌ-ইকো পার্ক গড়ে তুলব।