হাওর বার্তা ডেস্কঃ কিশোরগঞ্জ জেলার কোন এক উপজেলার অবসরপ্রাপ্ত কলেজ শিক্ষক বিশাল কলেবরে আমার কাছে পরপর দুটি চিঠি পাঠিয়েছেন। তাতে তিনি জনসম্পর্কিত বিভিন্ন সমস্যা, দুর্নীতি ও এর প্রতিকার চেয়ে লিখেছেন। চিঠিতে তিনি তার নিজের সমস্যা ও অভিযোগের কোনো কথা আদৌ রেখাপাত করেননি। তিনি লিখেছেন, এ সমস্ত সমস্যা ও দুর্নীতির প্রতিকার চেয়ে অনেক জায়গায় লেখলেও নাকি কোনো ফলাফল দেখতে পাননি। তাই অবশেষে আমার কাছে লিখেছেন যাতে আমার মাধ্যমে তাহার অভিব্যক্তি প্রকাশিত হয়ে থাকে। তবে চিঠির লেখার পরিধি এত বড় যে কারণে সারাংশ তোলে ধরা হলো।
প্রারম্ভেই তিনি বলেছেন, তিনি কোনদিনই রাজনীতি করেননি এবং এ বয়সে রাজনীতি করার ইচ্ছা বা অভিপ্রায় তার নেই। তিনি তার নাম ঠিকানা প্রকাশ না করে কলেজের একজন অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক এবং কিশোরগঞ্জ জেলাধীন কোনো এক উপজেলার নিভৃত পল্লীর বাসিন্দা বলে উল্লেখ করলেও কোন উপজেলা ও কোন গ্রামের বাসিন্দা তাও উল্লেখ করেননি। ফলে সানুগ্রহ ইচ্ছা থাকলেও তা জানাতে পারি নাই বলে সম্মানিত পাঠক, পাঠিকাদের নিকট সবিনয়ে অপারগতা জানিয়ে নিলাম। চিঠিতে যদি শিক্ষক মহোদয় নিজের নাম ঠিকানা গোপন রেখে অসত্য ও মিথ্যা পরিচয় দিতেন তবে হয়তো আমার করার মতো কিছুই ছিল না। এ চিঠির জন্য জনৈক শিক্ষক মহোদয়কে সাধুবাদ, সুভাশীষ, শ্রদ্ধা ও আন্তরিক শুভেচ্ছা। কারণ তিনি নিজের ব্যক্তিগত ব্যাপারে কিছু না লেখে দেশ, জাতি ও জনগণের স্বার্থের কথা লিখেছেন।
তিনি লিখেছেন, এলাকায় টি.আর, কাবিখার নামে গম, চাউল বরাদ্দের কথা শুনলেও বাস্তবে কাজের কাজ তেমন কিছু দেখা যায় না। সবকিছু মনে হয় হরিলুট ও লুটেপুটে খাওয়ার যেন মহাযজ্ঞ। যদি এ সমস্ত বরাদ্দের কাজ করা হতো তবে গ্রামীণ অবকাঠামোর দৃশ্যপট পরিবর্তন হয়ে যেত। এ ব্যাপারে খোঁজ খবর নিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের কাছ থেকে কোনো সদোত্তর ও কাজের সুস্পষ্টতাও পাওয়া যায়নি। তিনি লিখেছেন যতটুকু পেয়েছি ব্যর্থতার গ্লানি, ব্যথা বেদনার চালচিত্র যা মর্মস্পর্শী বিরহেরই নামান্তর। যে ব্যথা বেদনা প্রকাশ করা সম্ভব নয়। এমনকি এসব অনিয়ম এর সাথে সম্পর্কিত চামচা, চাটুকার ও কর্মকর্তাদের হাবভাব ও বচন ভঙ্গি দেখে মনে হয়েছে ওরা যেন ধরাকে সরা জ্ঞান ও তুচ্ছ তাচ্ছিল্য বলে মনে করে থাকে। এসব কিছু জানতে গিয়ে উপলব্ধি করেছি এর পেছনে লুটেপুটে খাওয়ার মতো মাফিয়া চক্র বা সিন্ডিকেট রয়েছে। চামচা চাটুকাররা নাকি আরও বলেছে আপনি একজন অবসরপ্রাপ্ত অশীতিপুর বৃদ্ধ শিক্ষক এগুলোর পেছনে দৌঁড়ে সময় নষ্ট না করে নিজের সম্মান নিয়ে চুপচাপ বসে থাকুন। এছাড়া এগুলোর পেছনে লম্বঝম্প করে তেমন কিছু করতেও পারবেন না। এসব কিছুকে তিনি (শিক্ষক) এক ধরণের হুমকির নামান্তর বলেই মনে করে থাকেন। তারপর এসব হরিলুট ও দুর্নীতি বন্ধ করার জন্য বিভিন্ন জায়গায় অভিযোগ করেও কোনো লাভ হয়নি। তিনি লিখেছেন, এসব দেখা ও রায় রক্ষিতার যেন কেউ নেই। দেশটা যেন দুর্নীতির স্বর্গ রাজ্য। মনে হয়েছে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও জননেত্রী শেখ হাসিনা দুর্নীতি প্রতিরোধে যে ঘোষণা দিয়েছেন এবং দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ দুর্নীতির বিরুদ্ধে যে সুস্পষ্টতা নিয়ে কাজ করছেন, দুর্নীতিবাজ ও দুর্নীতির সহায়ক সংশ্লিষ্ট এসব চিহ্নিত উপজেলার কর্মকর্তা-কর্মচারীরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও দুদক চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অকপটে এসব কিছু যেন চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছে।
সারা দেশে টি.আর কাবিখার নামে বরাদ্দকৃত গম, চাউল কিভাবে ব্যয় করা হয় এর সাথে দায়ী দোষী সংশ্লিষ্ট দুর্নীতিবাজ ও নাটের গুরুদের যেমনি মুখোশ উন্মোচন করা উচিত তেমনি তাদের সংগতিবিহীন অবৈধ সম্পদের তল্লাশি করাও উচিত। শিক্ষক মহোদয় লিখেছেন আমি একজন সাধারণ অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক। আমার জীবনে চাওয়া পাওয়ার আর কিছু নেই। তবে টি.আর, কাবিখার গম চাউল খেকোদের কাছ থেকে আমাকে যেভাবে হুমকি ধমকি ছুড়ে দেয়া হয়েছে তাতে আমি ভীত নই। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ডাকে সারা দিয়ে দুর্নীতির বিরুদ্ধে আমি লড়ে যাব।
সম্প্রতি পাকুন্দিয়ায় কলেজ, মাদ্রাসা ও হাইস্কুলের শিক্ষকদের এক পরিচিতি অনুষ্ঠানে কিশোরগঞ্জ- ২ (কটিয়াদী-পাকুন্দিয়া) সংসদ সদস্য ও সাবেক আইজিপি নূর মোহাম্মদ বলেছেন, আমি দুর্নীতির বিরুদ্ধে এবং উন্নয়নে সহযোগিতা চাই। ভক্ষক নয় রক্ষক হিসেবে জনগণের পাশে থাকব। শুধু গম চাউল খেকো দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা, কর্মচারীই নয় চামচা, চাটুকারসহ স্বাস্থ্য বিভাগ, শিক্ষা বিভাগ, ভুমি অফিসসহ অন্যান্য বিভাগের দুর্নীতিরোধ ও দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে জনগণের বহুদিনের কাংখিত আশা পূরণ হবে। তারপর শিক্ষক মহোদয় চিঠিতে লিখেছেন, খাদ্যে মরণঘাতক ভেজাল, ভূয়া শিক্ষা সনদ, ভূয়া ম্যাজিস্ট্রেট, ভূয়া র্যাব, ডিবি, ডিএসবি, পুলিশ অফিসার, হাই কোর্টের ভূয়া রায়, ভূয়া ওয়ারেন্ট, হাসপাতালের মিথ্যা ৩২৬ ধারার এমসি, ভূয়া ডাক্তার, চাঁদাবাজির নামে মিথ্যা সাজানো মামলাসহ অনেক ব্যাপারে বিস্তারিত ব্যাখ্যাসহ আরও অনেক ফিরিস্তি যা এ নিবন্ধের সীমিত কলেবরে লেখা সম্ভব হয়নি। তবে চিঠিটির সারাংশ না লিখে সম্পূর্ণ চিঠিটি এ নিবন্ধে লেখতে পারলে ভালোই হতো।
একজন অবসরপ্রাপ্ত বয়োবৃদ্ধ কলেজ শিক্ষক ভয়ভীতি ও হুমকির পরও দুর্নীতির প্রতিরোধ ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে যেমনিভাবে স্বোচ্চার হয়েছেন এমনিভাবে সমাজের সচেতন মহল দুর্নীতির বিরুদ্ধে যদি সামনে এগিয়ে চলে এবং স্বোচ্চার হয় তবে যেমনি দুর্নীতিবাজদের টনক নড়বে তেমনি বহু দিনের ক্ষত দুর্নীতির এ মুখোশ ও দুর্নীতির সাথে সংশ্লিষ্ট সিন্ডিকেটেরও নতুন করে ভাবনা চিন্তায় পড়ে হাবুডুবু ও দিগি দিক ছুটে চলারই কথা। শিক্ষক মহোদয়কে এমপি ও সাবেক আইজিপি নূর মোহাম্মদের ভক্ষক নয় রক্ষক হওয়ার আশাবাদে যথেষ্ট আশাবাদী বলে মনে হয়েছে। লাগাম শক্ত হাতে টেনে ধরুন। চোর ডাকাতের যেমন মনোবল থাকে না তেমনি সমাজের দুর্নীতির সাথে সম্পৃক্ত দুর্নীতিবাজেরও কোনো মনোবল, আত্মপ্রত্যয় ও সাহসের লেশমাত্রও খুঁজে পাওয়া যায় না। হম্বিতম্বি ও সাজনা গাছের মতো তর্জন, গর্জনই ওদের একমাত্র সম্বল। তবে এ শ্রেণীটা খুবই ধুর্ত সামান্য বাতাসে না নড়লেও, বাতাস একটু বাড়লেই ওদের নড়াচড়ার শেষ থাকেনি। সব সময় এ শ্রেণীটা Hyper tension ও Biporal Disorder Disease এ ভোগে বলে বিশেষজ্ঞ ডাক্তারদের অভিমত।
এ প্রসঙ্গে স্বাধীনতার আগে কিশোরগঞ্জ গুরুদয়াল কলেজের বাংলা শিক্ষক প্রয়াত নরেন্দ্র চন্দ্র ঘোষ স্যার পড়ার ফাঁকে ক্লাসে একটি গল্প বলেছিলেন যা আজও মনে পড়ে। এক সময় নরসুন্দা পাড়ের কলেজ হোস্টেল থেকে প্রায় সময়ই এটা সেটা চুরিসহ হোস্টেলের টিনসেডের পাশে রাখা ছাত্রদের সাইকেলও প্রায় সময়ই চুরি হয়ে যেত। এ ব্যাপারে চোরকে ধরতে না পাড়লেও নিশ্চিত সন্দেহ করে কয়েকজনকে জিজ্ঞাসা করলে সাইকেল চুরি ও হোস্টেলের চুরির সকল ঘটনা উন্মোচিত হয়ে পড়ে। এমনিভাবে টি.আর, কাবিখা খেকোদের ধরে যথাবিহীত আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কাছে সোপর্দ করা হলে ১৬১ ও ১৬৪ ধারায় জবানবন্দীতে কোনো কিছুই না জানার কথা হয়। ঠাকুর ঘরে কেরে আমি কলা খাই না বলে ঠাকুরের যেমন বাঁচার সুযোগ নেই তেমনি গম খেকো নাটের গুরু যে বা যারাই হোক এ অপকর্ম থেকে বেঁচে যাওয়া একেবারে সহজ বিষয় নহে।
চিঠিতে আরও উল্লেখ করা হয়, জেলার কোন উপজেলায় বিভিন্ন প্রকল্পে এবং বিশেষ বরাদ্দে টি.আর কাবিখার কী পরিমান গম, চাউল বরাদ্দ করা হয় নিশ্চয়ই একটা হিসাব রয়েছে। তদোপরি উপজেলার কোন ইউনিয়নে কী পরিমাণ গম চাউল বরাদ্দ হয়, কাবিটা প্রকল্পে (কাজের বিনিময়ে টাকা) কত টাকা বরাদ্দ হয় এ ব্যাপারেও প্রকল্পের নাম, প্রকল্প তত্ত্বাবধায়কের নাম ও প্রকল্প তদারককারীর নাম পদবী রয়েছে। যদি তা যাচাই বাছাই করা হয় এবং তাতে যদি কোনো ভৌতিক বা ভূত মার্কা প্রকল্প বা ফাঁক ফোকড় থেকে থাকে তবে তা বেড় করা খুব কঠিন কাজ নহে। এছাড়া যদি কোনো প্রকল্পে স্বচ্ছতা থেকে থাকে তাও জানা খুবই সহজ ব্যাপার। তবে শুধু কোনো অবস্থাতেই কাজের মাস্টার রোল দেখে তা যাচাই বাছাই বা নিরূপন করা আদৌ ঠিক নহে। এ সমস্ত দুর্নীতি, অপকর্ম ও আত্মসাৎ ঢাকা দেয়ার জন্য কাজের মাস্টার রোলে যথেষ্ট ফাঁক ফোকড় থেকে থাকে। তবে মাস্টার রোলকে দালিলিক প্রমান হিসেবে ধরে নিয়ে সামনে আগানোর কৌশল হিসেবে ধরে নেয়া যেতে পারে বলে অনেকেই মনে করে থাকে। ইতোপূর্বে গণমাধ্যমে সংবাদ ও প্রতিবেদন লক্ষ্য করলে দেখা যায়, সুনামগঞ্জের হাওর উন্নয়ন বাঁধে পানি উন্নয়ন বোর্ড যে সীমাহীন দুর্নীতি করেছে তাতেও প্রকল্পের মাস্টার রোল ছিল। পরবর্তী সময় এ সমস্ত মাস্টার রোলে চরম অনিয়ম ও দুর্নীতির সুস্পষ্টতার প্রমাণ মেলে। মাস্টার রোলে যাদের টিপসহি প্রদর্শন করা হয়েছিল তাদের মাধ্যমে কোনো প্রমাণই দেখাতে পারেনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। যে কারণে বিশাল প্রকল্পের অনিয়ম, দুর্নীতি, পুকুর চুরি ও আত্মসাৎ এ জড়িত কুশিলবদের মুখোশ উন্মোচিত হলে দায়ীদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন আইনে মামলা হয়েছে। অনেক সময় থানা বা কোর্টে যেমন মিথ্যা মিথ্যি চাঁদাবাজীর মামলা দেয়া হয় এখানে এ সুযোগ একেবারেই পরাহত। একবার আমি নিজে একটি জমির সাফকাওলা দিতে সাবরেজিস্ট্রি অফিসে যাই। সেখানে দেখলাম, যে ব্যক্তি টিপসহি নেন তিনিও টিপসহি হিসেব করে টাকা নেন। কিন্তু এ প্রথা নাকি এমনিভাবেই চলে আসছে। যা দেখার কেহই নাই।
তিনি আরও লিখেছেন, অপেন সিক্রেট দুর্নীতিবাজদের বিচার ও শাস্তি দেখে যেতে পারলে খুশী হতাম। দুর্নীতি ও দুর্নীতিবাজ সমাজের কলংক, জাতির দুশমন ও জাতীয় উন্নয়নে অন্তরায়। ওদের কোনো দল নেই, জাত নেই, ধর্ম নেই ও দর্শন নেই। ওরা উত্তর কোরিয়ার কিম জং উনের রক্ত পিপাসু ডাল কুত্তারই নামান্তর। পরিশেষে চিঠি লেখক শিক্ষক মহোদয়কে বলব, হতাশা হওয়ার কিছু নেই। যদি আপনি অভিযোগ করে থাকেন তার যে খোঁজ খবর নেয়া হচ্ছে না এ ব্যাপারে হতাশা হওয়ার কিছু নেই। আপনার অভিযোগের সত্য মিথ্যা যাচাই, বাছাইও একটা ফ্যাক্টর। এ সমাজে এখনও অনেক ন্যায়নিষ্ঠাবান ও ভালো কর্মকর্তা ও কর্মচারী রয়েছে। যাদের মধ্যে অনেকেই পরিবার পরিজন নিয়ে অতি কায়ক্লেশে জীবন যাপন করে থাকে। যার রয়েছে ভুরিভুরি প্রমান। আপনি দৃঢ়তা নিয়ে সঠিক তথ্য জানিয়ে লিখুন। কোনো অবস্থাতেই আবেগ প্রবন ও কারও মান সম্মান নষ্ট করার অভিপ্রায়ে অবশ্যই লিখবেন না। আপনি যেভাবে নিজ প্রত্যয়ে দুর্নীতি রোধে ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ডাকে সাড়া দিয়েছেন তেমনিভাবে দুদক চেয়ারম্যান ও স্থানীয় সংসদ সদস্যকে দুর্নীতি প্রতিরোধে সহযোগিতা করলে হয়তোবা আপনার ও এলাকার জনগণের দীর্ঘদিনের দুর্নীতি বিরুধী প্রত্যাশা আলোর মুখ না দেখার কথা নয়। এই দিন দিন নয়, আরও দিন আছে। যেদিন হয়তো চিহ্নিত দুর্নীতিবাজরা পালানোর সময় নাও পেতে পারে। ইতিহাস বড়ই নিষ্ঠুর, নির্মম ও অন্ধ। ইতিহাস যেমনি কাহাকে ক্ষমা করে না তেমনি যার যা প্রাপ্তি তা থেকেও বঞ্চিত করে না। এছাড়া ইতিহাস সাক্ষী দেয় সমাজ নষ্ট হয় খারাপ লোকের জন্য নয়, সমাজ নষ্ট হয় ভালো লোকের নির্লিপ্ততায়। এ ধরণের চিঠি লেখার জন্য শিক্ষক মহোদয়কে আরও একবার শুভেচ্ছা।