ঢাকা ১০:২৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১২ জানুয়ারী ২০২৫, ২৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বোরো ধানে চিটায় দিশাহারা কৃষক

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১১:৫০:৩১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০১৯
  • ২৪৯ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলায় বারবার আগাম বন্যা ও পাহাড়ি ঢলে ফসল হারিয়ে এবার কিছুটা আগেভাগে বোরো ধান লাগিয়েছিল হাওর এলাকার কৃষকরা। কিন্তু আগাম লাগানো সেই ব্রি-২৮ জাতের ধান এবারে আর পুষ্ট হয়নি। ধর্মপাশা উপজেলার বিভিন্ন হাওরের বেশির ভাগ ক্ষেতে ধান মরে সাদা হয়ে শীষ লটকে পরেছে। দূর থেকে দেখলে মনে হয় পাকা ধানে ক্ষেত ভরে রয়েছে। কাছে গিয়ে দেখা যায় চাল বিহিন সাদা চিটায় ভরা শীষ শুকিয়ে নিচের দিকে ঝুঁকে আছে। ধর্মপাশা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ১০টি ইউনিয়নে এবার ৩১ হাজার ৮০০ হেক্টর জমিতে বোরো ধান আবাদ হয়। এর মধ্যে চিটা হয়েছে ৫ হাজার হেক্টর জমির ফসলে। তবে স্থানীয় কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, প্রকৃত আক্রান্ত জমির পরিমাণ আরো বেশি।

বিশেষ করে ধর্মপাশা উপজেলার ধারাম, শাসকা, ধানকুনিয়া, সোনা মড়ল, কাইল্যানি, ঘোড়াডুবা, শৈল চাপড়া, বাইন চাপড়া, টগার হাওরের কয়েক হাজার একর জমির ফসল চিটায় পরিণত হয়েছে। সুনামগঞ্জ কৃষি সমপ্রসারণ অধিদপ্তরের মতে, বিআর ২৮ ধান যারা ১৫ নভেম্বরের আগে রোপণ করেছে তাদের ধানই কিছু নষ্ট হয়েছে। তা ছাড়া সময়ে বৃষ্টি না হওয়া এবং রোপণের পর শীতও চিটা দেখা দেওয়ার কারণ। তবে জেলার প্রায় উপজেলায় তেমন কোন চিটা দেখা দেয়নি। উপজেলা কৃষি সমপ্রসারণ কর্মকর্তা নাজমুল ইসলাম বলেন, ২৯ থেকে ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত রাতে তাপমাত্রা ১০ থেকে ১২ ডিগ্রি এবং দিনে ২৫ থেকে ২৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকায় বীজতলা তৈরি ও চারা রোপণকালে বোরো ধানের চারা কোল্ড ইনজুরিতে আক্রান্ত হয়। ফলে ধানে ব্যাপক আকারে চিটা দেখা দিয়েছে।

এটা বীজের কোনো সমস্যা নয়, এটা হলো শীতজনিত সমস্যা। উপজেলার হাওরে প্রায় ৫ হাজার হেক্টর জমির বোরো ধান কোল্ড ইনজুরিতে আক্রান্ত হয়েছে। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। পাশাপাশি আবহাওয়া জনিত কারণে কিছু কিছু এলাকায় বাষ্ট দেখা দিলেও ধানের মড়ক ও বালাই নিয়ন্ত্রণে আছে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

বোরো ধানে চিটায় দিশাহারা কৃষক

আপডেট টাইম : ১১:৫০:৩১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০১৯

হাওর বার্তা ডেস্কঃ সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলায় বারবার আগাম বন্যা ও পাহাড়ি ঢলে ফসল হারিয়ে এবার কিছুটা আগেভাগে বোরো ধান লাগিয়েছিল হাওর এলাকার কৃষকরা। কিন্তু আগাম লাগানো সেই ব্রি-২৮ জাতের ধান এবারে আর পুষ্ট হয়নি। ধর্মপাশা উপজেলার বিভিন্ন হাওরের বেশির ভাগ ক্ষেতে ধান মরে সাদা হয়ে শীষ লটকে পরেছে। দূর থেকে দেখলে মনে হয় পাকা ধানে ক্ষেত ভরে রয়েছে। কাছে গিয়ে দেখা যায় চাল বিহিন সাদা চিটায় ভরা শীষ শুকিয়ে নিচের দিকে ঝুঁকে আছে। ধর্মপাশা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ১০টি ইউনিয়নে এবার ৩১ হাজার ৮০০ হেক্টর জমিতে বোরো ধান আবাদ হয়। এর মধ্যে চিটা হয়েছে ৫ হাজার হেক্টর জমির ফসলে। তবে স্থানীয় কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, প্রকৃত আক্রান্ত জমির পরিমাণ আরো বেশি।

বিশেষ করে ধর্মপাশা উপজেলার ধারাম, শাসকা, ধানকুনিয়া, সোনা মড়ল, কাইল্যানি, ঘোড়াডুবা, শৈল চাপড়া, বাইন চাপড়া, টগার হাওরের কয়েক হাজার একর জমির ফসল চিটায় পরিণত হয়েছে। সুনামগঞ্জ কৃষি সমপ্রসারণ অধিদপ্তরের মতে, বিআর ২৮ ধান যারা ১৫ নভেম্বরের আগে রোপণ করেছে তাদের ধানই কিছু নষ্ট হয়েছে। তা ছাড়া সময়ে বৃষ্টি না হওয়া এবং রোপণের পর শীতও চিটা দেখা দেওয়ার কারণ। তবে জেলার প্রায় উপজেলায় তেমন কোন চিটা দেখা দেয়নি। উপজেলা কৃষি সমপ্রসারণ কর্মকর্তা নাজমুল ইসলাম বলেন, ২৯ থেকে ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত রাতে তাপমাত্রা ১০ থেকে ১২ ডিগ্রি এবং দিনে ২৫ থেকে ২৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকায় বীজতলা তৈরি ও চারা রোপণকালে বোরো ধানের চারা কোল্ড ইনজুরিতে আক্রান্ত হয়। ফলে ধানে ব্যাপক আকারে চিটা দেখা দিয়েছে।

এটা বীজের কোনো সমস্যা নয়, এটা হলো শীতজনিত সমস্যা। উপজেলার হাওরে প্রায় ৫ হাজার হেক্টর জমির বোরো ধান কোল্ড ইনজুরিতে আক্রান্ত হয়েছে। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। পাশাপাশি আবহাওয়া জনিত কারণে কিছু কিছু এলাকায় বাষ্ট দেখা দিলেও ধানের মড়ক ও বালাই নিয়ন্ত্রণে আছে।