ঢাকা ১২:৪১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নুসরাত জাহান রাফি হত্যায় সেই শম্পা গ্রেপ্তার

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৭:৩৬:০৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৫ এপ্রিল ২০১৯
  • ৩০৮ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ ফেনীর মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফি হত্যা মামলায় উম্মে সুলতানা পপি ওরফে শম্পাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। কয়েক দিন আগেই তাকে আটক করা হলেও গ্রেপ্তার দেখানোর বিষয়টি সোমবার (১৫ এপ্রিল) নিশ্চিত করেন পিবিআই কর্মকর্তারা। তারা বলছেন, এই পপি ওরফে শম্পাই আগুন লাগানোর বোরকা এনে দিয়েছিল।

ফেনী পিবিআই’র অতিরিক্ত বিশেষ পুলিশ সুপার মনিরুজ্জামান গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, নুসরাত জাহান রাফি হত্যাচেষ্টার ঘটনায় আলোচিত সেই শম্পা ওরফে চম্পাকে ফেনী থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তবে কখন গ্রেপ্তার করা হয়েছে সে বিষয়ে তিনি কিছু বলেননি।

নুসরাত মৃত্যুর আগে দেওয়ার জবানবন্দিতে (ডাইং ডিক্লারেশন) শম্পার নাম বলেছিলেন। যে চারজন বোরকা পরা নারী বা পুরুষ তার শরীরে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়, শম্পা তাদের একজন বলে জানান নুসরাত।

ঘটনার পরপরই এজাহারভুক্ত সাতজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ ছাড়া সন্দেহভাজন যে ছয়জনকে আটক করা হয় তার মধ্যে উম্মে সুলতানা পপি ছিল। তবে পপিই যে শম্পা তা নিয়ে ধোঁয়াশা ছিল।

অতিরিক্ত বিশেষ পুলিশ সুপার মনিরুজ্জামান বলেন, ‘উম্মে সুলতানা পপি ওরফে শম্পাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সে আগেই গ্রেপ্তার হয়েছে। সে রিমান্ডের আদেশপ্রাপ্ত। তাকে এখনও রিমান্ডে আনা হয়নি।’

পিবিআই প্রধান ডিআইজি বনজ কুমার মজুমদার গত ১৩ এপ্রিল ঢাকায় সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘দুটি মেয়ের মধ্যে একজনকে দায়িত্ব দেয়া হয় তিনটি বোরকা ও কেরোসিন জোগাড় করে নিয়ে আসার জন্য। ওই মেয়েটি তিনটি বোরকা ও পলিথিনে করে কেরোসিন নিয়ে এসে শামীমের কাছে হস্তান্তর করে। মাদ্রাসাটি একটি সাইক্লোন সেন্টারে। সেখানে সকাল সাতটা থেকে নয়টা পর্যন্ত ক্লাস হয়।

ক্লাস শেষে কেরোসিন ও বোরকা নিয়ে তারা ছাদে চলে যায়। ছাদে দু’টি টয়লেটও ছিল। আলিম পরীক্ষা থাকায় সেই টয়লেটে তারা লুকিয়ে থাকে। পরে পাবলিক পরীক্ষা শুরুর কিছুক্ষণ আগে পরিকল্পনার অংশ হিসেবে চম্পা কিংবা শম্পা নামের একটি মেয়ে রাফিকে বলে, ছাদে কারা যেন তার বান্ধবী নিশাতকে মারধর করছে। তখন রাফি দৌড়ে ছাদে যান।

যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সেখানে ওত পেতে থাকা শামীমসহ বোরকা পরা চারজন রাফিকে ঘিরে ফেলে এবং অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে মামলা তুলে নেবে কিনা জানতে চায়। রাফি তাদের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করলে তারই ওড়না দিয়ে নুসরাতের হাত বেঁধে ফেলে। এ সময় বোরকা ও কেরোসিন সরবরাহ করা মেয়েটিও সেখানে ছিল। হাত বেঁধে রাফির শরীরে আগুন লাগিয়ে তারা দ্রুত নিচে নেমে অন্যদের সঙ্গে মিশে যায়।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

জনপ্রিয় সংবাদ

নুসরাত জাহান রাফি হত্যায় সেই শম্পা গ্রেপ্তার

আপডেট টাইম : ০৭:৩৬:০৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৫ এপ্রিল ২০১৯

হাওর বার্তা ডেস্কঃ ফেনীর মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফি হত্যা মামলায় উম্মে সুলতানা পপি ওরফে শম্পাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। কয়েক দিন আগেই তাকে আটক করা হলেও গ্রেপ্তার দেখানোর বিষয়টি সোমবার (১৫ এপ্রিল) নিশ্চিত করেন পিবিআই কর্মকর্তারা। তারা বলছেন, এই পপি ওরফে শম্পাই আগুন লাগানোর বোরকা এনে দিয়েছিল।

ফেনী পিবিআই’র অতিরিক্ত বিশেষ পুলিশ সুপার মনিরুজ্জামান গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, নুসরাত জাহান রাফি হত্যাচেষ্টার ঘটনায় আলোচিত সেই শম্পা ওরফে চম্পাকে ফেনী থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তবে কখন গ্রেপ্তার করা হয়েছে সে বিষয়ে তিনি কিছু বলেননি।

নুসরাত মৃত্যুর আগে দেওয়ার জবানবন্দিতে (ডাইং ডিক্লারেশন) শম্পার নাম বলেছিলেন। যে চারজন বোরকা পরা নারী বা পুরুষ তার শরীরে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়, শম্পা তাদের একজন বলে জানান নুসরাত।

ঘটনার পরপরই এজাহারভুক্ত সাতজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ ছাড়া সন্দেহভাজন যে ছয়জনকে আটক করা হয় তার মধ্যে উম্মে সুলতানা পপি ছিল। তবে পপিই যে শম্পা তা নিয়ে ধোঁয়াশা ছিল।

অতিরিক্ত বিশেষ পুলিশ সুপার মনিরুজ্জামান বলেন, ‘উম্মে সুলতানা পপি ওরফে শম্পাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সে আগেই গ্রেপ্তার হয়েছে। সে রিমান্ডের আদেশপ্রাপ্ত। তাকে এখনও রিমান্ডে আনা হয়নি।’

পিবিআই প্রধান ডিআইজি বনজ কুমার মজুমদার গত ১৩ এপ্রিল ঢাকায় সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘দুটি মেয়ের মধ্যে একজনকে দায়িত্ব দেয়া হয় তিনটি বোরকা ও কেরোসিন জোগাড় করে নিয়ে আসার জন্য। ওই মেয়েটি তিনটি বোরকা ও পলিথিনে করে কেরোসিন নিয়ে এসে শামীমের কাছে হস্তান্তর করে। মাদ্রাসাটি একটি সাইক্লোন সেন্টারে। সেখানে সকাল সাতটা থেকে নয়টা পর্যন্ত ক্লাস হয়।

ক্লাস শেষে কেরোসিন ও বোরকা নিয়ে তারা ছাদে চলে যায়। ছাদে দু’টি টয়লেটও ছিল। আলিম পরীক্ষা থাকায় সেই টয়লেটে তারা লুকিয়ে থাকে। পরে পাবলিক পরীক্ষা শুরুর কিছুক্ষণ আগে পরিকল্পনার অংশ হিসেবে চম্পা কিংবা শম্পা নামের একটি মেয়ে রাফিকে বলে, ছাদে কারা যেন তার বান্ধবী নিশাতকে মারধর করছে। তখন রাফি দৌড়ে ছাদে যান।

যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সেখানে ওত পেতে থাকা শামীমসহ বোরকা পরা চারজন রাফিকে ঘিরে ফেলে এবং অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে মামলা তুলে নেবে কিনা জানতে চায়। রাফি তাদের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করলে তারই ওড়না দিয়ে নুসরাতের হাত বেঁধে ফেলে। এ সময় বোরকা ও কেরোসিন সরবরাহ করা মেয়েটিও সেখানে ছিল। হাত বেঁধে রাফির শরীরে আগুন লাগিয়ে তারা দ্রুত নিচে নেমে অন্যদের সঙ্গে মিশে যায়।