ঢাকা ১২:৩৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ভালোবেসে বিয়ে, সংসার শুরুর আগেই প্রাণ দিলেন সুমাইয়া

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১২:০০:৩৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪
  • ১ বার

রাজধানীর যাত্রাবাড়ীর সায়দাবাদের একটি বাসায় ইতালি প্রবাসী স্বামীর ওপর অভিমান করে সুমাইয়া আক্তার (২০) নামের এক তরুণী আত্মহত্যা করেছেন বলে জানা গেছে। সুমাইয়া ঢাকা মহানগর মহিলা কলেজের একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিলেন।

সুমাইয়া আক্তার টাঙ্গাইলের কালিহাতীর রানদেবপুরের তাইজউদ্দিনের মেয়ে। বর্তমানে মায়ের সঙ্গে সায়েদাবাদ এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকতেন।

সোমবার (২৫ নভেম্বর) রাত ৮টার দিকে অচেতন অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে গেলে জরুরি বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে মৃত ঘোষণা করেন।

নিহতের মা শাহীনুর বেগম বলেন, প্রায় এক বছর আগে ইতালি প্রবাসী শরীফ নামে এক ছেলের সঙ্গে মোবাইলে আমার মেয়ের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। পরে পারিবারিকভাবে গত বছর মোবাইল ফোনের মাধ্যমেই শরীফের সঙ্গে আমার মেয়ের বিয়ে হয়। মোবাইলে বিয়ের পর থেকেই আমার মেয়েকে তার স্বামী তার বাড়ি ফরিদপুরের ভাঙ্গায় মায়ের কাছে চলে যেতে বলে। এতে আমার মেয়ে বলে ‘তুমি তো আমাকে এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে বিয়ে করোনি তাহলে তোমার বাড়ি কেন যাব।’ এই নিয়ে বেশ কয়েক দিন ধরেই ঝগড়া চলছিল। এ ছাড়া শরীফের মা আমার মেয়ে সম্পর্কে বেশ কয়েক দিন ধরে অনেক বাজে মন্তব্য করছিল। আজ সন্ধ্যার দিকে ইতালি প্রবাসী স্বামীর সঙ্গে মোবাইলে ঝগড়া হলে অভিমানে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলে থাকে সুমাইয়া। পরে খবর পেয়ে আমি তাকে দ্রুত ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে গেলে চিকিৎসক জানান আমার মেয়ে আর বেঁচে নেই।

ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মো. ফারুক চিকিৎসকের বরাত দিয়ে সুমাইয়ার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, মরদেহ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের মর্গে রাখা হয়েছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশকে জানানো হয়েছে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

ভালোবেসে বিয়ে, সংসার শুরুর আগেই প্রাণ দিলেন সুমাইয়া

আপডেট টাইম : ১২:০০:৩৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪

রাজধানীর যাত্রাবাড়ীর সায়দাবাদের একটি বাসায় ইতালি প্রবাসী স্বামীর ওপর অভিমান করে সুমাইয়া আক্তার (২০) নামের এক তরুণী আত্মহত্যা করেছেন বলে জানা গেছে। সুমাইয়া ঢাকা মহানগর মহিলা কলেজের একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিলেন।

সুমাইয়া আক্তার টাঙ্গাইলের কালিহাতীর রানদেবপুরের তাইজউদ্দিনের মেয়ে। বর্তমানে মায়ের সঙ্গে সায়েদাবাদ এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকতেন।

সোমবার (২৫ নভেম্বর) রাত ৮টার দিকে অচেতন অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে গেলে জরুরি বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে মৃত ঘোষণা করেন।

নিহতের মা শাহীনুর বেগম বলেন, প্রায় এক বছর আগে ইতালি প্রবাসী শরীফ নামে এক ছেলের সঙ্গে মোবাইলে আমার মেয়ের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। পরে পারিবারিকভাবে গত বছর মোবাইল ফোনের মাধ্যমেই শরীফের সঙ্গে আমার মেয়ের বিয়ে হয়। মোবাইলে বিয়ের পর থেকেই আমার মেয়েকে তার স্বামী তার বাড়ি ফরিদপুরের ভাঙ্গায় মায়ের কাছে চলে যেতে বলে। এতে আমার মেয়ে বলে ‘তুমি তো আমাকে এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে বিয়ে করোনি তাহলে তোমার বাড়ি কেন যাব।’ এই নিয়ে বেশ কয়েক দিন ধরেই ঝগড়া চলছিল। এ ছাড়া শরীফের মা আমার মেয়ে সম্পর্কে বেশ কয়েক দিন ধরে অনেক বাজে মন্তব্য করছিল। আজ সন্ধ্যার দিকে ইতালি প্রবাসী স্বামীর সঙ্গে মোবাইলে ঝগড়া হলে অভিমানে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলে থাকে সুমাইয়া। পরে খবর পেয়ে আমি তাকে দ্রুত ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে গেলে চিকিৎসক জানান আমার মেয়ে আর বেঁচে নেই।

ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মো. ফারুক চিকিৎসকের বরাত দিয়ে সুমাইয়ার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, মরদেহ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের মর্গে রাখা হয়েছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশকে জানানো হয়েছে।