ঢাকা ১০:০২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১২ জানুয়ারী ২০২৫, ২৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মাঠে মাঠে সোনালী ধানের স্বপ্নে আতঙ্ক

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৫:১৭:০৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৫ এপ্রিল ২০১৯
  • ২৯৪ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় মাঠে মাঠে সোনালী ধানের সমারোহ। বাতাসে দোল খাচ্ছে আধা পাকা ইরি-বোরো ধানের গাছ। হলদে সবুজাভ ধানে স্বপ্ন বুনছেন উপজেলার শত শত কৃষক। তবে কালবৈশাখী ঝড় আর শিলাবৃষ্টিতে স্বপ্ন ভাঙার আশঙ্কাও রয়েছে তাদের মনে।

উপজেলার মোগড়া ইউপির বোরো চাষি মো. তাজুল ইসলাম বলেন, ১০-১৫ দিনের মধ্যে ধান কাটা শুরু হবে। গত বছর শিলাবৃষ্টি, ঝড়, বন্যায় সব ধান নষ্ট হয়েছিল। তাই আকাশে মেঘ দেখলেই ধান ঘরে তোলা নিয়ে শঙ্কা জাগে।

চলতি মৌসুমে উপজেলার সাত হাজার হেক্টর জমিতে বি-আর ২৮, বি-আর ২৯, হীরা জাগরনীসহ বিভিন্ন প্রজাতির ধান চাষ করা হয়েছে। পৌর শহরের তারাগন, দেবগ্রাম, খরমপুর, দূর্গাপুর, মোগড়া, মনিয়ন্দ, ধরখারে বিস্তীর্ণ জমিতে সোনালী ধানের সমারোহ দেখা গেছে। শেষ পর্যন্ত আবহাওয়া অনুকুলে থাকলে এ বছর বাম্পার ফলন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই মাঠের সোনালী ধানের দিকে চেয়েই সময় পার করছেন কৃষকরা।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. একরাম হোসেন বলেন, রোগবালাই কম হওয়ায় এ বছর ধানের অবস্থা ভালো। শেষ পর্যন্ত আবহাওয়া অনুকুল থাকলে বাম্পার ফলন হবে। ফলন ভাল রাখতে কৃষকদের প্রশিক্ষণ, পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

মাঠে মাঠে সোনালী ধানের স্বপ্নে আতঙ্ক

আপডেট টাইম : ০৫:১৭:০৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৫ এপ্রিল ২০১৯

হাওর বার্তা ডেস্কঃ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় মাঠে মাঠে সোনালী ধানের সমারোহ। বাতাসে দোল খাচ্ছে আধা পাকা ইরি-বোরো ধানের গাছ। হলদে সবুজাভ ধানে স্বপ্ন বুনছেন উপজেলার শত শত কৃষক। তবে কালবৈশাখী ঝড় আর শিলাবৃষ্টিতে স্বপ্ন ভাঙার আশঙ্কাও রয়েছে তাদের মনে।

উপজেলার মোগড়া ইউপির বোরো চাষি মো. তাজুল ইসলাম বলেন, ১০-১৫ দিনের মধ্যে ধান কাটা শুরু হবে। গত বছর শিলাবৃষ্টি, ঝড়, বন্যায় সব ধান নষ্ট হয়েছিল। তাই আকাশে মেঘ দেখলেই ধান ঘরে তোলা নিয়ে শঙ্কা জাগে।

চলতি মৌসুমে উপজেলার সাত হাজার হেক্টর জমিতে বি-আর ২৮, বি-আর ২৯, হীরা জাগরনীসহ বিভিন্ন প্রজাতির ধান চাষ করা হয়েছে। পৌর শহরের তারাগন, দেবগ্রাম, খরমপুর, দূর্গাপুর, মোগড়া, মনিয়ন্দ, ধরখারে বিস্তীর্ণ জমিতে সোনালী ধানের সমারোহ দেখা গেছে। শেষ পর্যন্ত আবহাওয়া অনুকুলে থাকলে এ বছর বাম্পার ফলন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই মাঠের সোনালী ধানের দিকে চেয়েই সময় পার করছেন কৃষকরা।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. একরাম হোসেন বলেন, রোগবালাই কম হওয়ায় এ বছর ধানের অবস্থা ভালো। শেষ পর্যন্ত আবহাওয়া অনুকুল থাকলে বাম্পার ফলন হবে। ফলন ভাল রাখতে কৃষকদের প্রশিক্ষণ, পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।