গলাচিপায় কাঁঠাল ও আম গাছের বাম্পার ফলন

হাওর বার্তা ডেস্কঃ পটুয়াখালীর গলাচিপায় কাঁঠাল ও আম গাছের কোনো প্রকার পরিচর্যা না করেই বাম্পার ফলন হয়েছে। সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, শহর ও গ্রামের প্রতিটি বাড়ীতে পরিকল্পিত ভাবে কাঁঠাল ও আম গাছের চাষ বা বাগান না থাকলেও প্রত্যেক বাড়ীতেই রয়েছে একটি কাঁঠাল ও আম গাছ বা অনেক বাড়ীর বাগান ও পুকুর পাড়ে রয়েছে একের অধিক কাঁঠাল ও আম গাছ।

এসব গাছে রয়েছে প্রচুর ফল। এ অঞ্চলের কাঁঠালের প্রয়োজনীয় চাহিদা এবার যে ফলন হয়েছে তাতে হয়ত অনেকটা মেটানো সম্ভব হবে। কিন্তু এ অঞ্চলের আমের বাম্পার ফলন হলেও দেশের উত্তর অঞ্চলের মত বড় জাতের আমের ফলন দেখাই যায়না আর খেতে স্বাদও তেমন ভাল হয় না।

এ অঞ্চলে প্রচলিত প্রথা হল “বৈশাখের শেষে জৈষ্ঠ মাসে বাড়ীর মেয়ে-জামাইকে নাইওর করে আম ও কাঁঠাল না খাওয়ালে মেয়ে-জামাই শ্বশুর-শ্বাশুড়ীর উপর বেজায় অখুশী হন”। শ্বশুর-শ্বাশুড়ী দরিদ্র হলেও সুদে টাকা এনে হলেও মেয়ে জামাইকে আম ও কাঁঠাল খাওয়ানো চাই কারণ মেয়ে-জামাইয়ের মন রক্ষা করতে হবে। আম ও কাঁঠালের চাহিদা মেটানোর জন্য নির্ভর করতে হয় যশোর, রাজশাহী, বগুড়া, রংপুর, চাপাইনবাবগঞ্জ সহ দেশের অনেক জেলার উপর।

দেশের উত্তারাঞ্চলের জেলাগুলোতে পরিকল্পিত ভাবে বিভিন্ন জাতের আম চাষ করে দেশের সমস্ত এলাকার চাহিদা মিটিয়ে থাকে। তবে এ অঞ্চলেও উন্নত জাতের আম চাষে বেশ আগ্রহ লক্ষ্য করা গেছে। অনেক বাড়ীতে বড় জাতের আম দেখা গেছে। যদি কোন বড় ধরনের প্রাকৃতিক দূর্যোগজনিত কারনে ফসলের ক্ষতি না হয় তাহলে হয়ত অনেকটা চাহিদা মেটানো সম্ভব হবে বলে আশা করছেন এলাকার সচেতন মহল।

এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এ আর এম সাইফুল্লাহ্ কা‌ছে জান‌তে চাই‌লে তি‌নি সাংবাদিককে ব‌লেন, যদিও এ উপজেলায় পরিকল্পিতভাবে আম ও কাঁঠালের চাষে কৃষকদের তেমন আগ্রহ লক্ষ্য করা যাচ্ছেনা। তারপরও প্রত্যেক বাড়ীতে একটি বা তারও বেশী আম ও কাঁঠালের গাছ লক্ষ্য করা গেছে ফলনও ভাল কিন্তু সঠিক পরিচর্যার অভাবে ঠিকমত ফসল ঘরে তুলতে পারছেন না।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর