সৌদি আরবের খেজুর এখন চাষ হচ্ছে বাংলাদেশের মানিকগঞ্জে

হাওর বার্তা ডেস্কঃ সৌদি আরবের খেজুর এখন চাষ হচ্ছে বাংলাদেশের মানিকগঞ্জে। এই খেজুর চাষ করে চাষি হালিম এখন পুরোপুরি স্বাবলম্বী। কোটিপতি বনে গেছেন তিনি। দেশি খেজুরের চারার চেয়ে সৌদি আরবের এই খেজুরের চাহিদা ৮ গুণ বলে জানিয়েছেন সফল চাষি হালিম।

তার এই খেজুর বাগান ও নার্সারি দেখতে প্রতিদিনই ভিড় করছেন বিভিন্ন বয়সী মানুষ। আর নার্সারি ও বাগানে কাজ করছে ৫ যুবক।

এক বছর আগে মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলার ধল্লা সেতু সংলগ্ন নন্দিনী সিটিতে তিন বিঘা জমিতে নার্সারির চাষ শুরু করেন হালিম। সেখানে খেজুরের কয়েকটি চারা সংগ্রহ করে সৌদি আরবের এক বন্ধুর মাধ্যমে। শুরু হয় তার সৌদির খেজুর চাষ। আর কয়েক মাসের মধ্যে বাঁশের মতো চারা বৃদ্ধি পেয়ে সেই কয়েকটি চারা থেকে এক বছরে রূপ নেয় ১০ হাজার চারায়। ভাগ্য খুলে যায় তার। এক একটি চারার বাজার মূল্য দু’ হাজার থেকে ১৫ হাজার টাকা পর্যন্ত।

দুই হাজার টাকা ধরে হিসাব করলে তার চারার মূল্য হয় ২ কোটি টাকা। অন্যদিকে তার বাগানে রয়েছে বড় একটি গাছ। যার মধ্যে একটিতে খেজুর ধরেছে। এক বছরের মধ্যে তিনি দেড় কোটি টাকার খেজুরে চারা বিক্রয় করেছেন। সিংগাইরের নার্সারি ও বাগানে ভিড় করছে দূর-দূরান্তের হাজারও যুবকসহ বিভিন্ন বয়সী মানুষ। সামনের জাতীয় বৃক্ষ মেলায় তোলা হবে সৌদি আরবের এই খেজুরের চারা।

শেখ মো. আ. হালিম বলেন, এটি মূলত পবিত্র দেশের খেজুর। তাই এই খেজুর চাষে আগ্রহের এটাও একটা কারণ। অর্থনৈতিকভাবেও এটা অনেক লাভবান। আমি ইন্টারনেটের মাধ্যমে দেখে দেখে চাষ শিখেছি। এরপর নিজের মতো মাটি সারের উপযোগী করে তুলি, যার ফলেই এ দেশে এই খেজুর হয়েছে।

ইউটিউবের মাধ্যমে হালিম সৌদি খেজুরে চাষে শিখে, এখন তার নার্সারিতে আযোয়া, মরিয়ম ও বারহী জাতীয় তিন জাতের দশ হাজার চারা রয়েছে। যার বাজার মূল্য কয়েক কোটি টাকা।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর