হাওর বার্তা ডেস্কঃ ভুট্টার বাম্পার ফলন হবে বলে আশা করছেন দাগনভূঞার কৃষকরা। চলতি রবি মৌসুমে এ উপজেলায় ভুট্টার চাষ লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়েছে। অন্যান্য ফসলের তুলনায় লাভজনক হওয়ায় ভুট্টা চাষে ঝুঁকে পড়েছেন এখানকার কৃষকরা। স্থানীয় কৃষি অফিসও বলছেন, আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে গত বছরের তুলনায় এবার ভালো ফলন হবে। উপজেলার পূর্ব চন্দ্রপুর ইউনিয়নের নয়ানপুর গ্রামের কৃষক মোঃ আকবর হোসেনে বলেন, ‘চলতি মৌসুমে ১২০ শতক জমিতে ভুট্টার চাষ করেছি।
কৃষি বিভাগের উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তার পরামর্শে উন্নত জাতের ভুট্টা চাষ করেছি। ভুট্টায় বিঘাপ্রতি ৩৫-৪০ মণ ফলন পাওয়া যায়। বাজারে দামও ভালো রয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে বাম্পার ফলন হবে বলে আশা করছেন তিনি।’ তিনি আরও বলেন, ‘বাজারে এখন প্রতি মণ ভুট্টা ৭০০-৭৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্রতি বিঘা জমি চাষ করতে (চাষ, বীজ, শ্রমিক, সার, সেচ) খরচ হয়েছে ১৩ হাজার টাকা। ভালো ফলন হলে এতে প্রায় প্রতি বিঘাতে লাভ হবে প্রায় ১৪-১৫ হাজার টাকা।’
উপজেলার জায়লস্কর ইউনিয়নের উঃ বারাইগোবিন্দ পুর গ্রামের চাষি মাসুদুল হক চিশতী বলেন, ‘গত বছর একবিঘা জমিতে ভুট্টার চাষ করেছিলাম। এবার দুই বিঘা জমিতে ভুট্টা চাষ করেছি। একেবারে কম খরচে ও স্বল্প সময়ে এ ফসল ঘরে তোলা যায়। বর্তমান বাজারে চাহিদা ও দাম দুটোই ভালো রয়েছে।’ উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো.আবদুল্লাহ আল মারুফ জানান, কম খরচে বেশি লাভের আশায় কৃষকরা এবার বোরো ধানের জমিতে পতিত জমিতেও বিভিন্ন জাতের ও অধিক ফলনশীল পুষ্টি সমৃদ্ধ দানাদার জাতীয় ভুট্টা চাষ করছেন।
এছাড়াও ভুট্টার রোগবালাই দমনে মাঠপর্যায়ে আমরা উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তারা চাষিদের নানা পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছি। উপজেলা কৃষি অফিসার মোঃ রাফিউল ইসলাম জানান, সকল প্রকার ফসল উৎপাদনে আমরা কৃষকদের আধুনিক কৃষি প্রযুক্তি ব্যবহারে উদ্বুদ্ধ করছি যাতে ফসলের উৎপাদন ভাল হয়। এবার প্রণোদনা ও রাজস্ব খাতের প্রদর্শনী সহ এ উপজেলায় ১৮ হেক্টর জমিতে ভুট্টার আবাদ হয়েছে এবং বাম্পার ফলনের সম্ভাবনাও রয়েছে।