হাওর বার্তা ডেস্কঃ রোদ-বৃষ্টি-ঝড়ের মধ্যেও খোলা আকাশের নিচে পাঠদান করানো হচ্ছে শিক্ষার্থীদের। নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার ৮৮নং রাবেয়া বাটুল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা গেছে এ চিত্র। গত ২ এপ্রিলের কালবৈশাখী ঝড়ে স্কুলের ঘরগুলো ভেঙে তছনছ হয়ে যায়। তারপর থেকেই খোলা আকাশের নিচে পাঠদান করানো হচ্ছে। জানা যায়, উপজেলার পৌর সদরের খামারনাচকৈড় খোয়ারপাড়ায় অবস্থিত এ প্রতিষ্ঠান।
২০০৯ সালে মরহুম জবতুল্লাহ বাটুল তার নিজ জায়গায় এ প্রতিষ্ঠানটি স্থাপিত করেন। জীবিত থাকাকালে তিনিই এ প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। কিন্তু তার পরলোকগমন করার পর নতুন করে আর কোনো কমিটি করা হয়নি বলে জানিয়েছেন স্থানীয় এলাকাবাসীসহ বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। ২০১৩ সালে এসে প্রতিষ্ঠানটি জাতীয়করণ হয় এবং ২০১৪ সাল থেকে প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা বেতন পাওয়া শুরু করেন। তবে জাতীয়করণের চার বছর অতিক্রম হলেও এখনো সরকারিভাবে কোনো স্থাপনা করা হয়নি।
বিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষার্থী জানায়, আমাদের অনেক কষ্ট হচ্ছে ক্লাস করতে। কারণ যখন রোদ ওঠে তখন প্রচণ্ড গরম লাগে। কেননা আমাদের মাথার ওপরে কোনো ছাউনি নেই আছে শুধু খোলা আকাশ। দ্রুত আমরা আমাদের একটি স্কুল ভবন চাই। তাহলে আমরা নিয়মিত স্কুলে এসে পড়াশুনা করতে পারব।
সহকারী শিক্ষক তুহিনা খাতুন ও ফেরদৌসী আক্তার জানান, বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পর থেকেই অনেকদিন বিনা বেতনে আমরা শিক্ষার্থীদের পড়াশুনা করিয়েছি। বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠাতার এবং শিক্ষকদের অর্থায়নে নির্মাণ করে দেওয়া টিনশেড ভবনেই চলছিল শিক্ষার্থীদের ক্লাস। কিন্তু গত ২ তারিখের ঝড়ে বিদ্যালয়ের ঘর ভেঙে যায়। তখন থেকেই শিক্ষার্থীদের পাঠদান করানো হচ্ছে খোলা আকাশের নিচে।
গুরুদাসপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মিজানুর রহমান জানান, বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষগুলো ঝড়ে ভেঙে গেছে এ বিষয়টি আমি জানি না এবং স্কুল কর্তৃপক্ষ এখনো পর্যন্ত আমাকে জানায়নি। তবে আপনার কাছ থেকে শুনলাম। আমি দ্রুত ওই স্কুল পরিদর্শনে যাব।