ঢাকা ১১:০৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৫, ৩ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রোহিঙ্গাদের ফেরাতে মিয়ানমারকেই দায়িত্ব নিতে হবে: পম্পেও

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১০:৩১:৩৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৯ এপ্রিল ২০১৯
  • ২৬৭ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ রোহিঙ্গাদের স্বেচ্ছায় ফেরাতে মিয়ানমারকেই দায়িত্ব নিতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও।

তিনি বলেন, ‘রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় পাশে আছে।’ সোমবার ওয়াশিংটনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেনের সঙ্গে এক বৈঠকে তিনি এ কথা বলেন। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

দুই দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর মধ্যে অনুষ্ঠিত বৈঠকের বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র মরগ্যান ওর্তাগুস জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেওর সঙ্গে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেনের বৈঠক হয়েছে।

বৈঠকে অর্থনৈতিক, নিরাপত্তা ও সন্ত্রাসবাদ প্রতিরোধে সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে বাংলাদেশ উদীয়মান অংশীদার রাষ্ট্র হিসেবে সুশাসন, স্বচ্ছতা ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের ওপর জোর  দেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

বৈঠকে মিয়ানমারের রাখাইন প্রদেশে মানবাধিকার সংগঠনগুলোর তদারকিতে রাখাইনে রোহিঙ্গাদের জন্য ‘সেফ জোন’ তৈরিতে যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা চেয়েছে বাংলাদেশ। একইসাথে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনে আন্তর্জাতিক চাপ প্রয়োগ করতেও সহযোগিতা চাওয়া হয়।

ওয়াশিংটনের বাংলাদেশ দূতাবাসের দেওয়া তথ্য অনুসারে, বৈঠকে আলোচিত হওয়া অন্যান্য বিষয়ের মধ্যে ছিল-যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানরত বঙ্গবন্ধুর খুনিকে বাংলাদেশে ফিরিয়ে আনা, মুক্ত ও উন্মুক্তভাবে ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চল নিয়ে মতবিনিময়, বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের বিনিয়োগ, বাংলাদেশের পোশাক শিল্প যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে শুল্ক ও কোটামুক্ত প্রবেশ এবং দুই দেশের বিভিন্ন অংশীদারিত্ব বিষয়ক খাত।

এ সময় পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে জানান, জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থা ও সহয়তাকারী সংস্থার সমন্বয়ে বাংলাদেশ নিজস্ব অর্থায়নে এক লাখ রোহিঙ্গাকে স্থানান্তরের জন্য ভাষানচর দ্বীপকে বসবাস উপযোগী করেছে।

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে আসা মিয়ানমারের ১০ লাখেরও বেশি বাস্তুচ্যুত নাগরিককে কোনো ধরনের ভীতি ও অত্যাচার ছাড়া অবশ্যই মিয়ানমারে ফেরত যেতে হবে।

মাইক পম্পেও আরো বলেন, রোহিঙ্গা সংকটের স্থায়ী সমাধানে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের পাশে (রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক উভয়ভাবে) থাকবে।

এ সময় নির্যাতিত রোহিঙ্গাদের সাময়িকভাবে আশ্রয় দিয়ে মানবিকতার পরিচয় দেওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ সরকারের ভূয়সী প্রসংশা করেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

প্রসঙ্গত, দুই দেশের দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রীর নিজ নিজ দপ্তর পাওয়ার পর এটাই তাদের মধ্যকার প্রথম বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেওর আমন্ত্রণে ড. মোমেন গত ৬ এপ্রিল সে দেশে যান। আগামী ১১ এপ্রিল যুক্তরাষ্ট্র সফর শেষে তিনি ঢাকায় ফিরবেন।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

রোহিঙ্গাদের ফেরাতে মিয়ানমারকেই দায়িত্ব নিতে হবে: পম্পেও

আপডেট টাইম : ১০:৩১:৩৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৯ এপ্রিল ২০১৯

হাওর বার্তা ডেস্কঃ রোহিঙ্গাদের স্বেচ্ছায় ফেরাতে মিয়ানমারকেই দায়িত্ব নিতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও।

তিনি বলেন, ‘রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় পাশে আছে।’ সোমবার ওয়াশিংটনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেনের সঙ্গে এক বৈঠকে তিনি এ কথা বলেন। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

দুই দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর মধ্যে অনুষ্ঠিত বৈঠকের বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র মরগ্যান ওর্তাগুস জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেওর সঙ্গে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেনের বৈঠক হয়েছে।

বৈঠকে অর্থনৈতিক, নিরাপত্তা ও সন্ত্রাসবাদ প্রতিরোধে সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে বাংলাদেশ উদীয়মান অংশীদার রাষ্ট্র হিসেবে সুশাসন, স্বচ্ছতা ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের ওপর জোর  দেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

বৈঠকে মিয়ানমারের রাখাইন প্রদেশে মানবাধিকার সংগঠনগুলোর তদারকিতে রাখাইনে রোহিঙ্গাদের জন্য ‘সেফ জোন’ তৈরিতে যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা চেয়েছে বাংলাদেশ। একইসাথে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনে আন্তর্জাতিক চাপ প্রয়োগ করতেও সহযোগিতা চাওয়া হয়।

ওয়াশিংটনের বাংলাদেশ দূতাবাসের দেওয়া তথ্য অনুসারে, বৈঠকে আলোচিত হওয়া অন্যান্য বিষয়ের মধ্যে ছিল-যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানরত বঙ্গবন্ধুর খুনিকে বাংলাদেশে ফিরিয়ে আনা, মুক্ত ও উন্মুক্তভাবে ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চল নিয়ে মতবিনিময়, বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের বিনিয়োগ, বাংলাদেশের পোশাক শিল্প যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে শুল্ক ও কোটামুক্ত প্রবেশ এবং দুই দেশের বিভিন্ন অংশীদারিত্ব বিষয়ক খাত।

এ সময় পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে জানান, জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থা ও সহয়তাকারী সংস্থার সমন্বয়ে বাংলাদেশ নিজস্ব অর্থায়নে এক লাখ রোহিঙ্গাকে স্থানান্তরের জন্য ভাষানচর দ্বীপকে বসবাস উপযোগী করেছে।

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে আসা মিয়ানমারের ১০ লাখেরও বেশি বাস্তুচ্যুত নাগরিককে কোনো ধরনের ভীতি ও অত্যাচার ছাড়া অবশ্যই মিয়ানমারে ফেরত যেতে হবে।

মাইক পম্পেও আরো বলেন, রোহিঙ্গা সংকটের স্থায়ী সমাধানে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের পাশে (রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক উভয়ভাবে) থাকবে।

এ সময় নির্যাতিত রোহিঙ্গাদের সাময়িকভাবে আশ্রয় দিয়ে মানবিকতার পরিচয় দেওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ সরকারের ভূয়সী প্রসংশা করেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

প্রসঙ্গত, দুই দেশের দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রীর নিজ নিজ দপ্তর পাওয়ার পর এটাই তাদের মধ্যকার প্রথম বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেওর আমন্ত্রণে ড. মোমেন গত ৬ এপ্রিল সে দেশে যান। আগামী ১১ এপ্রিল যুক্তরাষ্ট্র সফর শেষে তিনি ঢাকায় ফিরবেন।