ঢাকা ১১:০৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৫, ৩ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন মির্জা ফখরুলের ভাই

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৯:০৭:১৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৯ এপ্রিল ২০১৯
  • ২৭২ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ এলাকার উন্নয়ন প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের ছোট ভাই মির্জা ফয়সল আমীন। তিনি ঠাকুরগাঁও পৌরসভার মেয়র ছাড়াও জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বে রয়েছেন।

সোমবার (৮ এপ্রিল) ঠাকুরগাঁও শহরের স্বর্ণকার পট্টি থেকে মির্জা পেট্রোল পাম্প পর্যন্ত পৌনে দুই কিলোমিটার রাস্তার পুনঃপাকাকরণ কাজের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে কথা বলতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ দেন ফয়সল আমীন।

ফয়সল আমীন বলেন, পৌরসভার মেয়র হওয়ার পর নানাভাবে চেষ্টা করে তিন বছরে এলাকার জনগণের জন্য তেমন কিছু করতে পারেননি। একাদশ সংসদ নির্বাচনের আগে প্রধানমন্ত্রী ঠাকুগাঁওয়ে গেলে তার কাছে উন্নয়নের দাবিগুলো তুলে ধরা হয়েছিল, তারই ফল আসতে শুরু করেছে এখন। এই বিএনপি নেতা বলেন, আমি ধন্যবাদ জ্ঞাপন করি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে। তিনি পৌরসভার সে দাবিগুলো মেনে নিয়েছেন এবং বক্তব্যের সময় প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা দিয়েছিলেন ঠাকুরগাঁও পৌরসভার দাবিগুলো বাস্তবায়ন করা হবে।

এরই ধারাবাহিকতায় গুরুত্বপূর্ণ নগর অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় পৌরসভার স্বর্ণকার পট্টি থেকে মির্জা পাম্প পর্যন্ত পৌনে দুই কিলোমিটার রাস্তা পুনঃপাকাকরণে বরাদ্দ আসে ১ কোটি ৮৫ লাখ টাকা। উন্নয়নের এই ধারা অব্যাহত থাকার আশা প্রকাশ করে মির্জা ফয়সল আমীন বলেন, আজকে আমি মেয়র আছি, আগামীতে নতুন মেয়র আসবে। কিন্তু রাস্তাঘাট, এলাকার জনগণ থেকে যাবে। এখানে দল বড় কথা নয়, এখানে উন্নয়নটা-এলাকার লোকের স্বার্থটাই সবচেয়ে বড় জিনিস।

২০১৬ সালে আওয়ামী লীগের প্রার্থী তাহমিনা আক্তার মোল্লাকে ভোটে হারিয়ে ঠাকুরগাঁও পৌরসভার মেয়র হন ফয়সল আমীন। পরের বছর দলের জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক হন তিনি। বিরোধী দলের নেতা হওয়ায় মেয়র হয়েও পৌরসভার উন্নয়ন করতে পারছিলেন না, যাকে নিজের ‘দুর্ভাগ্য’ হিসেবে বর্ণনা করেন ফয়সল আমীন।

তিনি বলেন, পৌরসভার উন্নয়নের জন্য ঠাকুরগাঁও-১ আসনের সাংসদ রমেশ চন্দ্র সেনের সাথে ঢাকায় তার বাসায় দেখা করেছি। উনার কাছ থেকে ডিও লেটার নিয়েছি, কাজের জন্য তদবির করেছি। সাংসদ রমেশ নিজেই এ বিষয়ে বহুবার সহযোগিতা করেছে। কিন্তু আমার দুর্ভাগ্য, আমি বিরোধী দলের মেয়র হিসেবে গত তিন বছরে কোনো উন্নয়ন কাজ করতে পারিনি। আমার দুর্ভাগ্যের সাথে ঠাকুরগাঁও পৌরসভার ৫৬ হাজার ভোটার ও বসবাসরত সকল মানুষের ভাগ্য জড়িত ছিল।

ঠাকুরগাঁওয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আসার পূর্বে আমরা সাংসদ রমেশ চন্দ্র সেন ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মুহা. সাদেক কুরাইশীর কাছে গিয়েছিলাম এবং তাদেরকে বলেছি পৌরসভার কিছু উন্নয়নের কাজ রয়েছে। জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পূর্বে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যখন ঠাকুরগাঁওয়ে আসবেন তখন অনেক দাবির সাথে পৌরসভার গুরুত্বপূর্ণ দাবিগুলো তুলে ধরবেন। সে দাবিগুলো বড় মাঠের বিশাল জনসভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিকট তুলে ধরা হয়েছিল।

প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী কাজ হওয়ায় এখন ঠাকুরগাঁও পৌরসভার উন্নয়নের কর্মকাণ্ড দৃশ্যমান হয়েছে মন্তব্য করে ফয়সল আমীন বলেন, এই উন্নয়ন হবে এই প্রত্যাশা আমি আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাংসদ রমেশ চন্দ্র সেনের কাছে করব। এখানে জনমত বিষয় নয়, এখানে জনগণ সবচেয়ে অগ্রাধিকার যোগ্য, এখানে জনগণের কষ্টের কথা ভেবে পৌরসভার জন্য কিছু কাজ করুন।

তিনি বলেন, ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল ও পীরগঞ্জ পৌরসভা রয়েছে, সেগুলোতে অনেক কাজ হচ্ছে। বিশেষ করে ঠাকুরগাঁও পৌরসভা পুরো জেলার ‘হেড কোয়ার্টার’।

এই পৌরসভার যদি রাস্তাঘাটের করুণ অবস্থা হয় তাহলে উন্নয়নের কথা বলে আমরা কিন্তু কেউ রেহাই পাব না। আমাদের দৃশ্যমান করতে হবে ঠাকুরগাঁও পৌরসভার রাস্তাগুলোকে উন্নয়নের কাছে নিয়ে আসতে। এলাকায় উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে মেয়র বলেন, প্রত্যেকটি মানুষ রিকশায় ঘুরতে ভয় পায়, কারণ রাস্তাগুলোর করুণ দশা। ড্রেনেজ সিস্টেমগুলো নষ্ট হয়ে গেছে। এই পৌরসভার উন্নয়নে প্রায় ৫০ কোটি টাকার উন্নয়ন প্রকল্প মন্ত্রণালয়ে জমা দেওয়া হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, “দয়া করে সাংসদ রমেশ চন্দ্র সেন আপনি আপনার সর্বশক্তি প্রয়োগ করুন এ প্রকল্পটি যেন আমরা পাই। এটি পেলে আমরা ঠাকুরগাঁও পৌরসভার কাজগুলো করতে পারব।

বিএনপির এই নেতা বলেন, আমাদের সাংসদ রমেশ চন্দ্র সেনের সৎ ইচ্ছা রয়েছে; আমরা যতবার উনার কাছে গিয়েছি উনি বলেছেন, করে দিব। কিন্তু কোনো এক অদৃশ্য কারণে সেটি বাস্তবায়ন হয়নি। যে কাজ আজকে এখানে উদ্বোধন হয়েছে এ কাজ সাংসদের ঐকান্তিক প্রচেষ্টা ছিল এবং সেই সাথে ছিল আমাদের সম্মিলিত প্রয়াস। এই প্রয়াসে আজ কিছু টাকা এই প্রকল্পের আওতায় আমরা পেয়েছি; যার মধ্য সবচেয়ে জরুরি কিছু রাস্তাঘাট স্কিম আকারে আমরা হাতে নিয়েছি।

গত তিন বছর ভোগান্তির জন্য এলাকাবাসীর কাছে ক্ষমা চেয়ে মির্জা ফয়সল আমীন বলেন, আমি আশা করছি, আমাদের সুযোগ্য নেতা আমাদের সাংসদ রমেশ চন্দ্র সেনের হস্তক্ষেপে প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুত যে প্রজেক্টগুলো আছে সেগুলো আগামীতে ঠাকুরগাঁও পৌরসভার জন্য বাস্তবায়ন হবে।”সড়ক পুনঃনির্মাণ কাজের উদ্বোধন করেন ঠাকুরগাঁও-১ আসনের সাংসদ রমেশ চন্দ্র সেন।পরে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পৌরমেয়র ফয়সল আমীনের বক্তব্যের জবাবে তিনি বলেন, ঠাকুরগাঁও পৌরসভা মডেল পৌরসভা হবে, সদর উপজেলা মডেল উপজেলা হবে।

এজন্য সব ধরনের উন্নয়ন কাজ করা হবে বলে অঙ্গীকার করেন তিনি। অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) আমিনুল ইসলাম, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মুহা. সাদেক কুরাইশী, ঠাকুরগাঁও প্রেস ক্লাবের সভাপতি মনসুর আলী, জেলা যুবলীগ সভাপতি আব্দুল মজিদ আপেল প্রমুখ বক্তব্য দেন।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন মির্জা ফখরুলের ভাই

আপডেট টাইম : ০৯:০৭:১৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৯ এপ্রিল ২০১৯

হাওর বার্তা ডেস্কঃ এলাকার উন্নয়ন প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের ছোট ভাই মির্জা ফয়সল আমীন। তিনি ঠাকুরগাঁও পৌরসভার মেয়র ছাড়াও জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বে রয়েছেন।

সোমবার (৮ এপ্রিল) ঠাকুরগাঁও শহরের স্বর্ণকার পট্টি থেকে মির্জা পেট্রোল পাম্প পর্যন্ত পৌনে দুই কিলোমিটার রাস্তার পুনঃপাকাকরণ কাজের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে কথা বলতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ দেন ফয়সল আমীন।

ফয়সল আমীন বলেন, পৌরসভার মেয়র হওয়ার পর নানাভাবে চেষ্টা করে তিন বছরে এলাকার জনগণের জন্য তেমন কিছু করতে পারেননি। একাদশ সংসদ নির্বাচনের আগে প্রধানমন্ত্রী ঠাকুগাঁওয়ে গেলে তার কাছে উন্নয়নের দাবিগুলো তুলে ধরা হয়েছিল, তারই ফল আসতে শুরু করেছে এখন। এই বিএনপি নেতা বলেন, আমি ধন্যবাদ জ্ঞাপন করি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে। তিনি পৌরসভার সে দাবিগুলো মেনে নিয়েছেন এবং বক্তব্যের সময় প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা দিয়েছিলেন ঠাকুরগাঁও পৌরসভার দাবিগুলো বাস্তবায়ন করা হবে।

এরই ধারাবাহিকতায় গুরুত্বপূর্ণ নগর অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় পৌরসভার স্বর্ণকার পট্টি থেকে মির্জা পাম্প পর্যন্ত পৌনে দুই কিলোমিটার রাস্তা পুনঃপাকাকরণে বরাদ্দ আসে ১ কোটি ৮৫ লাখ টাকা। উন্নয়নের এই ধারা অব্যাহত থাকার আশা প্রকাশ করে মির্জা ফয়সল আমীন বলেন, আজকে আমি মেয়র আছি, আগামীতে নতুন মেয়র আসবে। কিন্তু রাস্তাঘাট, এলাকার জনগণ থেকে যাবে। এখানে দল বড় কথা নয়, এখানে উন্নয়নটা-এলাকার লোকের স্বার্থটাই সবচেয়ে বড় জিনিস।

২০১৬ সালে আওয়ামী লীগের প্রার্থী তাহমিনা আক্তার মোল্লাকে ভোটে হারিয়ে ঠাকুরগাঁও পৌরসভার মেয়র হন ফয়সল আমীন। পরের বছর দলের জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক হন তিনি। বিরোধী দলের নেতা হওয়ায় মেয়র হয়েও পৌরসভার উন্নয়ন করতে পারছিলেন না, যাকে নিজের ‘দুর্ভাগ্য’ হিসেবে বর্ণনা করেন ফয়সল আমীন।

তিনি বলেন, পৌরসভার উন্নয়নের জন্য ঠাকুরগাঁও-১ আসনের সাংসদ রমেশ চন্দ্র সেনের সাথে ঢাকায় তার বাসায় দেখা করেছি। উনার কাছ থেকে ডিও লেটার নিয়েছি, কাজের জন্য তদবির করেছি। সাংসদ রমেশ নিজেই এ বিষয়ে বহুবার সহযোগিতা করেছে। কিন্তু আমার দুর্ভাগ্য, আমি বিরোধী দলের মেয়র হিসেবে গত তিন বছরে কোনো উন্নয়ন কাজ করতে পারিনি। আমার দুর্ভাগ্যের সাথে ঠাকুরগাঁও পৌরসভার ৫৬ হাজার ভোটার ও বসবাসরত সকল মানুষের ভাগ্য জড়িত ছিল।

ঠাকুরগাঁওয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আসার পূর্বে আমরা সাংসদ রমেশ চন্দ্র সেন ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মুহা. সাদেক কুরাইশীর কাছে গিয়েছিলাম এবং তাদেরকে বলেছি পৌরসভার কিছু উন্নয়নের কাজ রয়েছে। জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পূর্বে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যখন ঠাকুরগাঁওয়ে আসবেন তখন অনেক দাবির সাথে পৌরসভার গুরুত্বপূর্ণ দাবিগুলো তুলে ধরবেন। সে দাবিগুলো বড় মাঠের বিশাল জনসভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিকট তুলে ধরা হয়েছিল।

প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী কাজ হওয়ায় এখন ঠাকুরগাঁও পৌরসভার উন্নয়নের কর্মকাণ্ড দৃশ্যমান হয়েছে মন্তব্য করে ফয়সল আমীন বলেন, এই উন্নয়ন হবে এই প্রত্যাশা আমি আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাংসদ রমেশ চন্দ্র সেনের কাছে করব। এখানে জনমত বিষয় নয়, এখানে জনগণ সবচেয়ে অগ্রাধিকার যোগ্য, এখানে জনগণের কষ্টের কথা ভেবে পৌরসভার জন্য কিছু কাজ করুন।

তিনি বলেন, ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল ও পীরগঞ্জ পৌরসভা রয়েছে, সেগুলোতে অনেক কাজ হচ্ছে। বিশেষ করে ঠাকুরগাঁও পৌরসভা পুরো জেলার ‘হেড কোয়ার্টার’।

এই পৌরসভার যদি রাস্তাঘাটের করুণ অবস্থা হয় তাহলে উন্নয়নের কথা বলে আমরা কিন্তু কেউ রেহাই পাব না। আমাদের দৃশ্যমান করতে হবে ঠাকুরগাঁও পৌরসভার রাস্তাগুলোকে উন্নয়নের কাছে নিয়ে আসতে। এলাকায় উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে মেয়র বলেন, প্রত্যেকটি মানুষ রিকশায় ঘুরতে ভয় পায়, কারণ রাস্তাগুলোর করুণ দশা। ড্রেনেজ সিস্টেমগুলো নষ্ট হয়ে গেছে। এই পৌরসভার উন্নয়নে প্রায় ৫০ কোটি টাকার উন্নয়ন প্রকল্প মন্ত্রণালয়ে জমা দেওয়া হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, “দয়া করে সাংসদ রমেশ চন্দ্র সেন আপনি আপনার সর্বশক্তি প্রয়োগ করুন এ প্রকল্পটি যেন আমরা পাই। এটি পেলে আমরা ঠাকুরগাঁও পৌরসভার কাজগুলো করতে পারব।

বিএনপির এই নেতা বলেন, আমাদের সাংসদ রমেশ চন্দ্র সেনের সৎ ইচ্ছা রয়েছে; আমরা যতবার উনার কাছে গিয়েছি উনি বলেছেন, করে দিব। কিন্তু কোনো এক অদৃশ্য কারণে সেটি বাস্তবায়ন হয়নি। যে কাজ আজকে এখানে উদ্বোধন হয়েছে এ কাজ সাংসদের ঐকান্তিক প্রচেষ্টা ছিল এবং সেই সাথে ছিল আমাদের সম্মিলিত প্রয়াস। এই প্রয়াসে আজ কিছু টাকা এই প্রকল্পের আওতায় আমরা পেয়েছি; যার মধ্য সবচেয়ে জরুরি কিছু রাস্তাঘাট স্কিম আকারে আমরা হাতে নিয়েছি।

গত তিন বছর ভোগান্তির জন্য এলাকাবাসীর কাছে ক্ষমা চেয়ে মির্জা ফয়সল আমীন বলেন, আমি আশা করছি, আমাদের সুযোগ্য নেতা আমাদের সাংসদ রমেশ চন্দ্র সেনের হস্তক্ষেপে প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুত যে প্রজেক্টগুলো আছে সেগুলো আগামীতে ঠাকুরগাঁও পৌরসভার জন্য বাস্তবায়ন হবে।”সড়ক পুনঃনির্মাণ কাজের উদ্বোধন করেন ঠাকুরগাঁও-১ আসনের সাংসদ রমেশ চন্দ্র সেন।পরে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পৌরমেয়র ফয়সল আমীনের বক্তব্যের জবাবে তিনি বলেন, ঠাকুরগাঁও পৌরসভা মডেল পৌরসভা হবে, সদর উপজেলা মডেল উপজেলা হবে।

এজন্য সব ধরনের উন্নয়ন কাজ করা হবে বলে অঙ্গীকার করেন তিনি। অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) আমিনুল ইসলাম, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মুহা. সাদেক কুরাইশী, ঠাকুরগাঁও প্রেস ক্লাবের সভাপতি মনসুর আলী, জেলা যুবলীগ সভাপতি আব্দুল মজিদ আপেল প্রমুখ বক্তব্য দেন।