ঢাকা ১১:২৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৫, ৩ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

তারেক রহমানকে দেশে ফেরানোর বিষয়টি বেশ জটিল: ব্রিটিশ প্রতিমন্ত্রী

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৮:০২:৩৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৯ এপ্রিল ২০১৯
  • ২২৫ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ দণ্ডিত বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে ফিরিয়ে দিতে যুক্তরাজ্য সরকারের কাছে অনেক আগেই আবেদন করেছে বাংলাদেশ। কিন্তু যুক্তরাজ্য ও বাংলাদেশের মধ্যে বন্দি প্রত্যার্পণ চুক্তি না থাকার কারণে বিষয়টি বেশ জটিল আকার ধারণ করে আছে। ঢাকা সফরররত যুক্তরাজ্যের এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল বিষয়ক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মার্ক ফিল্ড এ তথ্য দিয়েছেন।

রবিবার সাংবাদিকদের এক প্রশ্নে কোনো নির্দিষ্ট ব্যক্তির বিষয়ে কথা না বলার তার সরকারের অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করে তিনি বলেন, প্রত্যার্পণের অনুরোধ জানিয়ে একটি আবেদন করা হয়েছে।

কিন্তু এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণের বিষয়টি ব্রিটিশ রাজনীতিকদের ‘হাতে নেই’ বলেও জানান ব্রিটিশ প্রতিমন্ত্রী। এছাড়া যুক্তরাজ্য ও বাংলাদেশের মধ্যে বন্দি প্রত্যার্পণ চুক্তিও নেই, যা বিষয়টিকে ‘আরও জটিল’ করেছে বলে মনে করছেন তিনি।

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বড় ছেলে তারেককে দেশে ফিরিয়ে এনে তার দণ্ড কাযর্করের জন্য বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে যুক্তরাজ্য সরকারের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে চিঠি দিয়ে আবেদন জানানো হয় ২০১৫ সালে।

তারেক একুশে আগস্টের গ্রেনেড হামলার মামলা, জিয়া এতিমখানা ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলা এবং মুদ্রা পাচারের এক মামলায় দণ্ডিত। দেশে ফিরলে তাকে যাবজ্জীবন সাজা খাটতে হবে।

সেনা নিয়ন্ত্রিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার আমলে গ্রেপ্তার তারেক পরের বছর ২০০৮ সালে জামিনে মুক্তি নিয়ে লন্ডনে যান। তারপর থেকে স্ত্রী-কন্যা নিয়ে সেখানেই রয়েছেন তিনি।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

তারেক রহমানকে দেশে ফেরানোর বিষয়টি বেশ জটিল: ব্রিটিশ প্রতিমন্ত্রী

আপডেট টাইম : ০৮:০২:৩৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৯ এপ্রিল ২০১৯

হাওর বার্তা ডেস্কঃ দণ্ডিত বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে ফিরিয়ে দিতে যুক্তরাজ্য সরকারের কাছে অনেক আগেই আবেদন করেছে বাংলাদেশ। কিন্তু যুক্তরাজ্য ও বাংলাদেশের মধ্যে বন্দি প্রত্যার্পণ চুক্তি না থাকার কারণে বিষয়টি বেশ জটিল আকার ধারণ করে আছে। ঢাকা সফরররত যুক্তরাজ্যের এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল বিষয়ক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মার্ক ফিল্ড এ তথ্য দিয়েছেন।

রবিবার সাংবাদিকদের এক প্রশ্নে কোনো নির্দিষ্ট ব্যক্তির বিষয়ে কথা না বলার তার সরকারের অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করে তিনি বলেন, প্রত্যার্পণের অনুরোধ জানিয়ে একটি আবেদন করা হয়েছে।

কিন্তু এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণের বিষয়টি ব্রিটিশ রাজনীতিকদের ‘হাতে নেই’ বলেও জানান ব্রিটিশ প্রতিমন্ত্রী। এছাড়া যুক্তরাজ্য ও বাংলাদেশের মধ্যে বন্দি প্রত্যার্পণ চুক্তিও নেই, যা বিষয়টিকে ‘আরও জটিল’ করেছে বলে মনে করছেন তিনি।

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বড় ছেলে তারেককে দেশে ফিরিয়ে এনে তার দণ্ড কাযর্করের জন্য বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে যুক্তরাজ্য সরকারের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে চিঠি দিয়ে আবেদন জানানো হয় ২০১৫ সালে।

তারেক একুশে আগস্টের গ্রেনেড হামলার মামলা, জিয়া এতিমখানা ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলা এবং মুদ্রা পাচারের এক মামলায় দণ্ডিত। দেশে ফিরলে তাকে যাবজ্জীবন সাজা খাটতে হবে।

সেনা নিয়ন্ত্রিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার আমলে গ্রেপ্তার তারেক পরের বছর ২০০৮ সালে জামিনে মুক্তি নিয়ে লন্ডনে যান। তারপর থেকে স্ত্রী-কন্যা নিয়ে সেখানেই রয়েছেন তিনি।