ঢাকা ১১:৪৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৫, ৩ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

এসপি হারুনের কঠোরতায় নারায়ণগঞ্জে জনমনে স্বস্তি দেখা দিয়েছে

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৭:৩২:৪৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৯ এপ্রিল ২০১৯
  • ২৪৩ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ দুর্বৃত্তদের দমনে নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার কঠোর অভিযান চালিয়ে যাচ্ছেন। এতে জনমনে স্বস্তি দেখা দিয়েছে। এলাকাবাসী বলছেন, হারুন অর রশীদ পুলিশ সুপার হয়ে আসার পর থেকে সন্ত্রাসী, মাদকের কারবারি আর দখলবাজদের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। নারায়ণগঞ্জ এখন সন্ত্রাস ও মাদকমুক্ত হওয়ার পথে।

এসপির দৃঢ় অবস্থান বর্ণনা করতে গিয়ে নগরের বিশিষ্টজনরা যেসব ঘটনার উল্লেখ করেন তার অন্যতম হলো দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী মীর হোসেন মীরুকে ২০ জানুয়ারি গ্রেফতার। মীর হোসেন মীরুর বিরুদ্ধে ১১টি মামলা রয়েছে। বলা হয়, মানুষ খুনের পর লাশ টুকরো টুকরো করে ওয়াসার লেগুনে ছুড়ে দিত মাছকে খাওয়ানোর জন্য। তার গ্রেফতারে ফতুল্লার মানুষ স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছে।

ফতুল্লার চিহ্নিত সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ, মাদক ব্যবসায়ী শাহ আলম গাজী ওরফে টেনু গাজীকে গ্রেফতার হয় ৭ ফেব্রুয়ারি। টেনুবাহিনী নানা অপকর্ম করে বেড়াত। এদের অত্যাচারে লোকজন অতিষ্ঠ ছিল। টেনু সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতন চালাত বলে অভিযোগ রয়েছে।

৫ নম্বর ঘাট এলাকা থেকে ১২ ফেব্রুয়ারি বিআইডব্লিউটিএ এলাকায় জুয়ার আসরে গোয়েন্দা পুলিশ অভিযান চালিয়ে ৪১ জুয়াড়িকে গ্রেফতার করে। ধৃত জুয়াড়িরা আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে বলে, ‘রাজু সাংবাদিক’ নামে এক ব্যক্তির তত্ত্বাবধানে জুয়ার আসর বসত।

১১ মার্চ ফতুল্লার লঞ্চঘাট এলাকায় চোরাই জ্বালানি তেলের আস্তানায় জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ চোরাই জ্বালানি (৩ হাজার ৬০ লিটার অকটেন, ৩০০ লিটার পেট্রোল, ৭ হাজার ৬০০ লিটার ডিজেল)সহ তিনজনকে গ্রেফতার করে। ব্যবসার হোতা ইকবাল হোসেনও গ্রেফতার হয়।

এ ব্যাপারে জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেন, যোগদানের পর থেকে তিনি সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি, মাদক ব্যবসা, দখলদারি ও গার্মেন্টস ঝুটসন্ত্রাসের বিরুদ্ধে জোরালো অভিযান পরিচালনা করে চলেছেন। তিনি বলেন, নারায়ণগঞ্জের মানুষ কোনো সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ ও দখলবাজের কাছে জিম্মি থাকতে পারে না। সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত ও তাদের জানমালের নিরাপত্তায় জেলা পুলিশ কঠোর অবস্থানে থাকবে। পুলিশ যে কোনো পরিস্থিতিতে বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবে। অপরাধীরা যত শক্তিমানই হোক, ওদের কোনো রেহাই নেই। মাদকের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

এসপি হারুনের কঠোরতায় নারায়ণগঞ্জে জনমনে স্বস্তি দেখা দিয়েছে

আপডেট টাইম : ০৭:৩২:৪৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৯ এপ্রিল ২০১৯

হাওর বার্তা ডেস্কঃ দুর্বৃত্তদের দমনে নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার কঠোর অভিযান চালিয়ে যাচ্ছেন। এতে জনমনে স্বস্তি দেখা দিয়েছে। এলাকাবাসী বলছেন, হারুন অর রশীদ পুলিশ সুপার হয়ে আসার পর থেকে সন্ত্রাসী, মাদকের কারবারি আর দখলবাজদের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। নারায়ণগঞ্জ এখন সন্ত্রাস ও মাদকমুক্ত হওয়ার পথে।

এসপির দৃঢ় অবস্থান বর্ণনা করতে গিয়ে নগরের বিশিষ্টজনরা যেসব ঘটনার উল্লেখ করেন তার অন্যতম হলো দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী মীর হোসেন মীরুকে ২০ জানুয়ারি গ্রেফতার। মীর হোসেন মীরুর বিরুদ্ধে ১১টি মামলা রয়েছে। বলা হয়, মানুষ খুনের পর লাশ টুকরো টুকরো করে ওয়াসার লেগুনে ছুড়ে দিত মাছকে খাওয়ানোর জন্য। তার গ্রেফতারে ফতুল্লার মানুষ স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছে।

ফতুল্লার চিহ্নিত সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ, মাদক ব্যবসায়ী শাহ আলম গাজী ওরফে টেনু গাজীকে গ্রেফতার হয় ৭ ফেব্রুয়ারি। টেনুবাহিনী নানা অপকর্ম করে বেড়াত। এদের অত্যাচারে লোকজন অতিষ্ঠ ছিল। টেনু সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতন চালাত বলে অভিযোগ রয়েছে।

৫ নম্বর ঘাট এলাকা থেকে ১২ ফেব্রুয়ারি বিআইডব্লিউটিএ এলাকায় জুয়ার আসরে গোয়েন্দা পুলিশ অভিযান চালিয়ে ৪১ জুয়াড়িকে গ্রেফতার করে। ধৃত জুয়াড়িরা আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে বলে, ‘রাজু সাংবাদিক’ নামে এক ব্যক্তির তত্ত্বাবধানে জুয়ার আসর বসত।

১১ মার্চ ফতুল্লার লঞ্চঘাট এলাকায় চোরাই জ্বালানি তেলের আস্তানায় জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ চোরাই জ্বালানি (৩ হাজার ৬০ লিটার অকটেন, ৩০০ লিটার পেট্রোল, ৭ হাজার ৬০০ লিটার ডিজেল)সহ তিনজনকে গ্রেফতার করে। ব্যবসার হোতা ইকবাল হোসেনও গ্রেফতার হয়।

এ ব্যাপারে জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেন, যোগদানের পর থেকে তিনি সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি, মাদক ব্যবসা, দখলদারি ও গার্মেন্টস ঝুটসন্ত্রাসের বিরুদ্ধে জোরালো অভিযান পরিচালনা করে চলেছেন। তিনি বলেন, নারায়ণগঞ্জের মানুষ কোনো সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ ও দখলবাজের কাছে জিম্মি থাকতে পারে না। সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত ও তাদের জানমালের নিরাপত্তায় জেলা পুলিশ কঠোর অবস্থানে থাকবে। পুলিশ যে কোনো পরিস্থিতিতে বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবে। অপরাধীরা যত শক্তিমানই হোক, ওদের কোনো রেহাই নেই। মাদকের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে।