হাওর বার্তা ডেস্কঃ বিধ্বস্ত রাখাইনে আকাশ থেকে চালানো হামলায় কমপক্ষে ৬ জন রোহিঙ্গা মুসলিম নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন কমপক্ষে ৯ জন। মিয়ানমারের সেনাবাহিনী বলছে, নিহত বা আহতরা বিদ্রোহী গ্রুপ আরাকান আর্মির কর্মকান্ডের সঙ্গে যুক্ত। মিয়ানমারে সেনাবাহিনী পরিচালিত পত্রিকা মায়াবতী বলেছে, সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে সেনাবাহিনী যখন দমন অভিযান চালাচ্ছিল তখন নিহত ও আহত আরাকান আর্মির ওইসব সদস্য সন্ত্রাসীদের সঙ্গে একত্রে ছিলেন। বুথিডাংয়ে বুধবার ওই অভিযান চালায় সেনাবাহিনী।
বৃহস্পতিবার তিনজন গ্রামবাসী ও আঞ্চলিক একজন আইন প্রণেতা সাংবাদিককে বলেছেন, সেনাবাহিনীর হেলিকপ্টার যখন হামলা চালায় তখন নিহত ও আহত ব্যক্তিরা সাই দিন ঝরণার কাছে বাঁশ সংগ্রহ করছিলেন। সোই তুন ও’ নামের একজন দিনমজুর বলেছেন, তারা সবাই ছিলেন বাঁশ শ্রমিক। অর্থাৎ তারা বাঁশ কাটার কাজ করেন। ওদিকে সেনাবাহিনী নিহত ও আহতদেরকে আরাকান আর্মির সঙ্গে সম্পর্ক থাকার কথা দাবি করলেও আরাকান আর্মির মুখপাত্র খিন থু খা এমন অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছেন। তিনি বলেছেন, নিহত ও আহতরা কেউই তাদের দলের সদস্য নন। তার দাবি, সেনাবাহিনী নির্বিচারে তাদের ওপর হামলা চালিয়েছে। তারা সব জায়গায় বোমা হামলা করেছে। সেনাবাহিনী মনে করেছে, জঙ্গলের সব জায়গায় লুকিয়ে আছে আরাকান আর্মির সদস্যরা।
হাসপাতালের একজন কর্মকর্তা কাইওয়া মিন তুন শুক্রবার বলেছেন, বুথিডাং সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে ১০ জনকে। অন্যদিকে এক বিবৃতিতে সেনাবাহিনী বলেছে, সেনাবাহিনী পরিচালিত হাসপাতালে চিকিৎসা দিতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে ৯ জনকে। তাহলে হতাহতের সংখ্যা নিয়ে কেন এই বিভ্রাট? এর জবাব দিয়ে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন সেনা মুখপাত্র তুন তুন নয়ি।
২০১৭ সালের আগস্টে রোহিঙ্গা মুসলিমদের বিরুদ্ধে নৃশংস নির্যাতন শুরুর পর থেকে রাখাইন রাজ্যটি সারা বিশ্বের মনোযোগের আকর্ষণে পরিণত হয়। সেখানে এই নৃশংসতা থেকে জীবন বাঁচাতে কমপক্ষে ৭ লাখ ৩০ হাজার রোহিঙ্গা পালিয়ে এসে আশ্রয় নিয়েছেন বাংলাদেশে। মুসলিম সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে এই দমন পীড়নকে গণহত্যার উদ্দেশ্যে হামলা বলে অভিযুক্ত করেছে জাতিসংঘ।