হাওর বার্তা ডেস্কঃ পঞ্চম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তৃতীয় ধাপে কটিয়াদী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আগের রাতে ব্যালট পেপারে সীলমারার ঘটনায় প্রত্যাহার হওয়া দুই পুলিশ কর্মকর্তা কিশোরগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) মো. শফিকুল ইসলাম ও কটিয়াদী থানার ওসি মোহাম্মদ সামসুদ্দীনকে দুই মাসের জন্য সাময়িক বরখাস্ত করেছে নির্বাচন কমিশন। একই সাথে চাকরিবিধি অনুযায়ী তাদের বিরুদ্ধে শৃঙ্খলামূলক কার্যধারা গ্রহণ করার জন্য নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত প্রদান করেছেন।
বৃহস্পতিবার (২৮শে মার্চ) নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের জারি করা পৃথক প্রজ্ঞাপনে এই দুই পুলিশ কর্মকর্তাকে দুই মাসের জন্য সাময়িক বরখাস্ত এবং চাকরিবিধি অনুযায়ী তাদের বিরুদ্ধে শৃঙ্খলামূলক কার্যধারা গ্রহণের বিষয়টি জানানো হয়েছে। নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের যুগ্মসচিব (প্রশাসন ও অর্থ) মো. কামাল উদ্দিন বিশ্বাস স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে প্রত্যাহারের আদেশপ্রাপ্ত কিশোরগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) মো. শফিকুল ইসলামকে দুই মাসের জন্য সাময়িক বরখাস্ত এবং চাকরিবিধি অনুযায়ী তার বিরুদ্ধে শৃঙ্খলামূলক কার্যধারা গ্রহণের বিষয়টি জানানো হয়েছে।
এছাড়া একই দিন বৃহস্পতিবার (২৮শে মার্চ) প্রত্যাহারের আদেশপ্রাপ্ত কিশোরগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) মো. শফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য মহাপুলিশ পরিদর্শক বরাবরে দেয়া এক পত্র দেয়া হয়েছে।
অন্যদিকে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের উপসচিব (জ:ব্য:) মো. সাবেদ উর রহমান স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে প্রত্যাহারের আদেশপ্রাপ্ত কটিয়াদী থানার ওসি মোহাম্মদ সামসুদ্দীনকে দুই মাসের জন্য সাময়িক বরখাস্ত এবং চাকরিবিধি অনুযায়ী তার বিরুদ্ধে শৃঙ্খলামূলক কার্যধারা গ্রহণের বিষয়টি জানানো হয়েছে।
এছাড়া একই দিন বৃহস্পতিবার (২৮শে মার্চ) প্রত্যাহারের আদেশপ্রাপ্ত কটিয়াদী থানার ওসি মোহাম্মদ সামসুদ্দীনের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য মহাপুলিশ পরিদর্শক বরাবরে দেয়া এক পত্র দেয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত গত ২৪শে মার্চ কটিয়াদী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের সকাল ৮টায় ভোটগ্রহণ শুরু হওয়ার পর বিভিন্ন কেন্দ্র থেকে রাতের এই ভোটের খবর আসতে থাকে। এ রকম পরিস্থিতিতে সকাল পৌনে ৯টার দিকে প্রথমে উপজেলার চারটি কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ স্থগিত ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন।
একই সাথে প্রত্যাহার করা হয় রাতের ভোটে অভিযুক্ত দুই পুলিশ কর্মকর্তা কিশোরগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) শফিকুল ইসলাম ও কটিয়াদী থানার ওসি মোহাম্মদ সামসুদ্দীনকে। এর কিছুক্ষণ পর আরেকটি কেন্দ্র স্থগিত ঘোষণা করা হয়। পরবর্তিতে আরো বেশ কয়েকটি কেন্দ্রে রাতে ভোটের প্রমাণ পাওয়া যাওয়ায় সকাল পৌনে ১০টার দিকে উপজেলার ৮৯টি কেন্দ্রের সবকটিতেই ভোটগ্রহণ স্থগিত ঘোষণা করেন রিটার্নিং অফিসার ও জেলা নির্বাচন অফিসার মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম।
কটিয়াদী উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ৬ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৬ জন এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৩জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ছিলেন।
চেয়ারম্যান পদের প্রার্থীরা হলেন, আওয়ামী লীগ প্রার্থী কেন্দ্রীয় যুব মহিলা লীগের সহ তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক তানিয়া সুলতানা হ্যাপী (নৌকা), জাকের পার্টির প্রার্থী শহীদুজ্জামান স্বপন (গোলাপ ফুল), আওয়ামী লীগের তিন বিদ্রোহী সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান লায়ন মো. আলী আকবর (দোয়াত-কলম), আওয়ামী লীগ নেতা মো. আলতাফ উদ্দীন (মোটর সাইকেল) ও ডা. মোহাম্মদ মুশতাকুর রহমান (ঘোড়া) এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. আনোয়ার আনার (আনারস)।
এই উপজেলার মোট ভোটার ২ লাখ ৩০ হাজার ৪২২ জন।