ঢাকা ০৫:৩০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ জুলাই ২০২৪, ১০ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চলমান রাজনীতির মূল্যায়ন । অধ্যক্ষ আসাদুল হক

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১২:০৫:৩৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ অক্টোবর ২০১৫
  • ৩১০ বার

এ বছরের জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত রাজনীতির নামে চলা সন্ত্রাসের পর এখন দেশে এক ধরনের শান্তি ও স্থিতিশীলতা বিরাজ করছে। মানুষ তাতে খুশি। নির্বিঘ্নে মানুষ তাদের কাজকর্ম করতে পারছে। এই শান্তি ও স্থিতিশীলতাই স্বাভাবিক জীবনযাপন ও কাজকর্মের নিশ্চয়তা দেয়। ফলে উন্নয়নের পথও সুগম করে। অবরোধ ও হরতাল ডেকে কিংবা পেট্রলবোমা মেরে দেশের উন্নয়ন করা যায় না। তেমনি গণতন্ত্রও প্রতিষ্ঠা করা যায় না। আর এই ধ্বংসাত্মক কাজটিতেই নিয়োজিত হয়েছিল বিএনপি। তাই তাদের তথাকথিত আন্দোলনকে কোনো ‘যৌক্তিক পরিণতি’তে তারা পৌঁছাতে চরমভাবে ব্যর্থ হয়। তাদের আন্দোলন আসলে ছিল একটি গণবিচ্ছিন্ন ও গণবিরোধী আন্দোলন। তাই এই লজ্জাজনক ব্যর্থতা। দেশে এক ভয়াবহ আতঙ্কের সৃষ্টি হলো। পেট্রলবোমার আগুনে বেশ কিছু নিরীহ মানুষ মারা গেল। কিন্তু আজ ছয় মাস পরও সেসব অগ্নি-সন্ত্রাসীর বিচারে তেমন কোনো অগ্রগতি দেখছি না, বিশেষত মূল হোতাদের। মানুষ বিস্মিত ও হতাশ হচ্ছে। প্রসঙ্গক্রমে এটা বলা দরকার, এই বিচারহীনতা কিংবা বিচারের বিলম্ব দেশে সন্ত্রাস ও দুর্নীতিকে উৎসাহিত করছে।

যাহোক, বর্তমান সরকারের নানা সীমাবদ্ধতা ও সমালোচনা সত্ত্বেও এটা স্বীকার করতে হবে যে অর্থনৈতিক উন্নয়নের ব্যাপারে তাদের সাফল্য প্রশংসনীয়। উন্নয়নের আগে ‘অর্থনৈতিক’ শব্দটির সংযোজন দরকার ছিল বলে অনেকের কাছে মনে হবে না। কারণ উন্নয়ন বলতে সাধারণত অর্থনৈতিক উন্নয়নই বোঝায়। কিন্তু রাজনৈতিক উন্নয়ন তথা জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকারের সম্প্রসারণও উন্নয়নের অংশ। দুটিই পাশাপাশি চলতে পারে এবং চলা দরকার। জনগণের অর্থনৈতিক ক্ষমতায়ন যেমন দরকার, তেমনি দরকার রাজনৈতিক ক্ষমতায়ন। দেশে বেশ কিছু গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান বহাল আছে। কিন্তু তাদের খুব সক্রিয় বলে মনে হয় না। এ ব্যাপারে বেশ কিছু সরকারি উদ্যোগ মানুষ আশা করে। বিএনপির গণবিরোধী আন্দোলন শেষ পর্যন্ত ব্যর্থতায় পর্যবসিত হওয়ার পর দেশে কোনো কার্যকর বিরোধী দল দেখা যাচ্ছে না। অথচ বিরোধী দল গণতন্ত্রের অপরিহার্য অংশ। তবে সেটা হতে হবে সত্যিকার দায়িত্বশীল ও গণমুখী বিরোধী দল।

অর্থনৈতিক উন্নয়নে বর্তমান সরকারের কৃতিত্বের কথা আগেই বলা হয়েছে। সেগুলোর একটি সংক্ষিপ্ত তালিকা না দিলে প্রশংসাটি নেহাতই স্তুতিবাক্যে পরিণত হবে। খাদ্যাভাব তথা ক্ষুধা ও অনাহার আমাদের একটি দীর্ঘদিনের বড় সমস্যা। বর্তমান সরকারের আমলে বাংলাদেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করে বিদেশে খাদ্য রপ্তানি শুরু করেছে। খাদ্য উৎপাদনে আমাদের এই সাফল্য বহাল থাকলে আমরা খাদ্য নিরাপত্তা অর্জন করতে পারব। উন্নয়নের জন্য বিদ্যুতের গুরুত্ব বিরাট। বিএনপি আমলে ব্যাপক বিদ্যুৎ সংকটের কথা কারো অজানা নয়। বর্তমান সরকারের আমলে বিদ্যুৎ উৎপাদন দ্বিগুণের চেয়ে বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে। শিক্ষা বিস্তারে এ সরকারের উদ্যোগ দেশে-বিদেশে প্রশংসা কুড়িয়েছে। সর্বজনীন প্রাথমিক শিক্ষায় তাদের কৃতিত্ব আন্তর্জাতিক মহলে প্রশংসিত হয়েছে। তা ছাড়া সর্বস্তরে শিক্ষার উন্নয়নে তারা নানা ধরনের উদ্যোগ নিয়েছে। স্বাস্থ্য খাতে কমিউনিটি ক্লিনিকসহ নানা উদ্যোগকেও সাধুবাদ জানাতে হয়। তবে বিশাল দরিদ্র জনগোষ্ঠী, বিশেষ করে গ্রামীণ মানুষের স্বাস্থ্যসেবায় সরকারের আরো অধিক করণীয় আছে। জিডিপি বা মোট দেশজ উৎপাদনেও আমাদের অগ্রগতি সন্তোষজনক। প্রশংসনীয় অগ্রগতির জন্য তার হার বর্তমান ৬ শতাংশের স্থানে ৭ শতাংশ হওয়া উচিত। সম্প্রতি আশার কথা শুনিয়েছে এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (এডিবি)। তাদের মতে, চলমান অর্থনৈতিক বছরে জিডিপির হার বৃদ্ধি পেয়ে ৬.৭ শতাংশে উন্নীত হবে, যা ৭ শতাংশের কাছাকাছি। ইতিমধ্যে বিশ্বব্যাংকের হিসাব অনুযায়ী আমরা একটি নিম্ন-মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হয়েছি। এখন আমাদের মাথাপিছু গড় আয় এক হাজার ৩২৩ ডলার এবং বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ২৬ বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করেছে। সর্বোপরি দেশে দারিদ্র্যের হার উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পেয়েছে। পরিশেষে বলা যায়, আমাদের অর্থনৈতিক উন্নয়ন শুধু ইতিবাচক নয়, আশাব্যঞ্জকও বটে।

কিন্তু তাতে গণতন্ত্রের জন্য মানুষের প্রবল আকাঙ্ক্ষার পরিতৃপ্তি ঘটেছে বলা যাবে না। যথাযথ নির্বাচন, আইনের শাসন তথা সুশাসন ও ক্ষমতার বিকেন্দ্রণ গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ও রাজনীতির জন্য জরুরি। নানা প্রতিকূলতা ও বাধা-বিপত্তি সত্ত্বেও গণতন্ত্রের প্রতি বাংলাদেশের মানুষের একটি দুর্বার আকর্ষণ আছে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার অন্যতম একটি বৈশিষ্ট্য হচ্ছে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র গঠন। জনগণের ক্ষমতায়নের কাজটি গুরুত্ব পাচ্ছে বলে মনে হচ্ছে না; যেমনটা গুরুত্ব পাচ্ছে অর্থনৈতিক উন্নয়ন।

এটা বলার অপেক্ষা রাখে না, বর্তমানে দুটি রাজনৈতিক দল দেশের রাজনীতিতে প্রাধান্য বিস্তার করে আছে। একটি বর্তমান শাসক দল আওয়ামী লীগ; অন্যটি বিএনপি, যদিও বর্তমান সংসদে তাদের অস্তিত্ব নেই। তবু কার্যত মানুষের কাছে তারাই বিরোধী দল বলে পরিচিত। দুটি দলই এত দিন পালাক্রমে দেশ শাসন করে এসেছে। দুটি দলেরই বেশ কয়েকটি অভিন্ন বৈশিষ্ট্য আছে। একটি হলো তাদের নেতৃত্ব ব্যক্তিকেন্দ্রিক। এক ব্যক্তি শীর্ষ নেতৃত্বের অধিকারী। শীর্ষ নেত্রীর ইচ্ছা অনুযায়ী দল পরিচালিত হয়। আমরা সম্প্রতি অস্ট্রেলিয়ার সরকারি দলে টনি এবটের নেতৃত্ব থেকে সরে যাওয়া দেখলাম। দলের সর্বস্তরের সদস্য ও নেতারা চাইলেন না বলে এবট সরে দাঁড়াতে বাধ্য হলেন। আমাদের দেশেও অনুরূপ গণতান্ত্রিক সংস্কৃতি গড়ে তুলতে হবে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

চলমান রাজনীতির মূল্যায়ন । অধ্যক্ষ আসাদুল হক

আপডেট টাইম : ১২:০৫:৩৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ অক্টোবর ২০১৫

এ বছরের জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত রাজনীতির নামে চলা সন্ত্রাসের পর এখন দেশে এক ধরনের শান্তি ও স্থিতিশীলতা বিরাজ করছে। মানুষ তাতে খুশি। নির্বিঘ্নে মানুষ তাদের কাজকর্ম করতে পারছে। এই শান্তি ও স্থিতিশীলতাই স্বাভাবিক জীবনযাপন ও কাজকর্মের নিশ্চয়তা দেয়। ফলে উন্নয়নের পথও সুগম করে। অবরোধ ও হরতাল ডেকে কিংবা পেট্রলবোমা মেরে দেশের উন্নয়ন করা যায় না। তেমনি গণতন্ত্রও প্রতিষ্ঠা করা যায় না। আর এই ধ্বংসাত্মক কাজটিতেই নিয়োজিত হয়েছিল বিএনপি। তাই তাদের তথাকথিত আন্দোলনকে কোনো ‘যৌক্তিক পরিণতি’তে তারা পৌঁছাতে চরমভাবে ব্যর্থ হয়। তাদের আন্দোলন আসলে ছিল একটি গণবিচ্ছিন্ন ও গণবিরোধী আন্দোলন। তাই এই লজ্জাজনক ব্যর্থতা। দেশে এক ভয়াবহ আতঙ্কের সৃষ্টি হলো। পেট্রলবোমার আগুনে বেশ কিছু নিরীহ মানুষ মারা গেল। কিন্তু আজ ছয় মাস পরও সেসব অগ্নি-সন্ত্রাসীর বিচারে তেমন কোনো অগ্রগতি দেখছি না, বিশেষত মূল হোতাদের। মানুষ বিস্মিত ও হতাশ হচ্ছে। প্রসঙ্গক্রমে এটা বলা দরকার, এই বিচারহীনতা কিংবা বিচারের বিলম্ব দেশে সন্ত্রাস ও দুর্নীতিকে উৎসাহিত করছে।

যাহোক, বর্তমান সরকারের নানা সীমাবদ্ধতা ও সমালোচনা সত্ত্বেও এটা স্বীকার করতে হবে যে অর্থনৈতিক উন্নয়নের ব্যাপারে তাদের সাফল্য প্রশংসনীয়। উন্নয়নের আগে ‘অর্থনৈতিক’ শব্দটির সংযোজন দরকার ছিল বলে অনেকের কাছে মনে হবে না। কারণ উন্নয়ন বলতে সাধারণত অর্থনৈতিক উন্নয়নই বোঝায়। কিন্তু রাজনৈতিক উন্নয়ন তথা জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকারের সম্প্রসারণও উন্নয়নের অংশ। দুটিই পাশাপাশি চলতে পারে এবং চলা দরকার। জনগণের অর্থনৈতিক ক্ষমতায়ন যেমন দরকার, তেমনি দরকার রাজনৈতিক ক্ষমতায়ন। দেশে বেশ কিছু গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান বহাল আছে। কিন্তু তাদের খুব সক্রিয় বলে মনে হয় না। এ ব্যাপারে বেশ কিছু সরকারি উদ্যোগ মানুষ আশা করে। বিএনপির গণবিরোধী আন্দোলন শেষ পর্যন্ত ব্যর্থতায় পর্যবসিত হওয়ার পর দেশে কোনো কার্যকর বিরোধী দল দেখা যাচ্ছে না। অথচ বিরোধী দল গণতন্ত্রের অপরিহার্য অংশ। তবে সেটা হতে হবে সত্যিকার দায়িত্বশীল ও গণমুখী বিরোধী দল।

অর্থনৈতিক উন্নয়নে বর্তমান সরকারের কৃতিত্বের কথা আগেই বলা হয়েছে। সেগুলোর একটি সংক্ষিপ্ত তালিকা না দিলে প্রশংসাটি নেহাতই স্তুতিবাক্যে পরিণত হবে। খাদ্যাভাব তথা ক্ষুধা ও অনাহার আমাদের একটি দীর্ঘদিনের বড় সমস্যা। বর্তমান সরকারের আমলে বাংলাদেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করে বিদেশে খাদ্য রপ্তানি শুরু করেছে। খাদ্য উৎপাদনে আমাদের এই সাফল্য বহাল থাকলে আমরা খাদ্য নিরাপত্তা অর্জন করতে পারব। উন্নয়নের জন্য বিদ্যুতের গুরুত্ব বিরাট। বিএনপি আমলে ব্যাপক বিদ্যুৎ সংকটের কথা কারো অজানা নয়। বর্তমান সরকারের আমলে বিদ্যুৎ উৎপাদন দ্বিগুণের চেয়ে বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে। শিক্ষা বিস্তারে এ সরকারের উদ্যোগ দেশে-বিদেশে প্রশংসা কুড়িয়েছে। সর্বজনীন প্রাথমিক শিক্ষায় তাদের কৃতিত্ব আন্তর্জাতিক মহলে প্রশংসিত হয়েছে। তা ছাড়া সর্বস্তরে শিক্ষার উন্নয়নে তারা নানা ধরনের উদ্যোগ নিয়েছে। স্বাস্থ্য খাতে কমিউনিটি ক্লিনিকসহ নানা উদ্যোগকেও সাধুবাদ জানাতে হয়। তবে বিশাল দরিদ্র জনগোষ্ঠী, বিশেষ করে গ্রামীণ মানুষের স্বাস্থ্যসেবায় সরকারের আরো অধিক করণীয় আছে। জিডিপি বা মোট দেশজ উৎপাদনেও আমাদের অগ্রগতি সন্তোষজনক। প্রশংসনীয় অগ্রগতির জন্য তার হার বর্তমান ৬ শতাংশের স্থানে ৭ শতাংশ হওয়া উচিত। সম্প্রতি আশার কথা শুনিয়েছে এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (এডিবি)। তাদের মতে, চলমান অর্থনৈতিক বছরে জিডিপির হার বৃদ্ধি পেয়ে ৬.৭ শতাংশে উন্নীত হবে, যা ৭ শতাংশের কাছাকাছি। ইতিমধ্যে বিশ্বব্যাংকের হিসাব অনুযায়ী আমরা একটি নিম্ন-মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হয়েছি। এখন আমাদের মাথাপিছু গড় আয় এক হাজার ৩২৩ ডলার এবং বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ২৬ বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করেছে। সর্বোপরি দেশে দারিদ্র্যের হার উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পেয়েছে। পরিশেষে বলা যায়, আমাদের অর্থনৈতিক উন্নয়ন শুধু ইতিবাচক নয়, আশাব্যঞ্জকও বটে।

কিন্তু তাতে গণতন্ত্রের জন্য মানুষের প্রবল আকাঙ্ক্ষার পরিতৃপ্তি ঘটেছে বলা যাবে না। যথাযথ নির্বাচন, আইনের শাসন তথা সুশাসন ও ক্ষমতার বিকেন্দ্রণ গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ও রাজনীতির জন্য জরুরি। নানা প্রতিকূলতা ও বাধা-বিপত্তি সত্ত্বেও গণতন্ত্রের প্রতি বাংলাদেশের মানুষের একটি দুর্বার আকর্ষণ আছে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার অন্যতম একটি বৈশিষ্ট্য হচ্ছে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র গঠন। জনগণের ক্ষমতায়নের কাজটি গুরুত্ব পাচ্ছে বলে মনে হচ্ছে না; যেমনটা গুরুত্ব পাচ্ছে অর্থনৈতিক উন্নয়ন।

এটা বলার অপেক্ষা রাখে না, বর্তমানে দুটি রাজনৈতিক দল দেশের রাজনীতিতে প্রাধান্য বিস্তার করে আছে। একটি বর্তমান শাসক দল আওয়ামী লীগ; অন্যটি বিএনপি, যদিও বর্তমান সংসদে তাদের অস্তিত্ব নেই। তবু কার্যত মানুষের কাছে তারাই বিরোধী দল বলে পরিচিত। দুটি দলই এত দিন পালাক্রমে দেশ শাসন করে এসেছে। দুটি দলেরই বেশ কয়েকটি অভিন্ন বৈশিষ্ট্য আছে। একটি হলো তাদের নেতৃত্ব ব্যক্তিকেন্দ্রিক। এক ব্যক্তি শীর্ষ নেতৃত্বের অধিকারী। শীর্ষ নেত্রীর ইচ্ছা অনুযায়ী দল পরিচালিত হয়। আমরা সম্প্রতি অস্ট্রেলিয়ার সরকারি দলে টনি এবটের নেতৃত্ব থেকে সরে যাওয়া দেখলাম। দলের সর্বস্তরের সদস্য ও নেতারা চাইলেন না বলে এবট সরে দাঁড়াতে বাধ্য হলেন। আমাদের দেশেও অনুরূপ গণতান্ত্রিক সংস্কৃতি গড়ে তুলতে হবে।