রাজধানীর তোপখানা রোডে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে ওলামা লীগের মানববন্ধনে দুই গ্রুপের হাতাহাতি ও চুলাচুলির ব্যাপারে বিবৃতিতে দিয়ে এক গ্রুপের নেতা হেলালীকে ‘রাজাকার’ সম্বোধোন করে অবিলম্বে তাকে গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছেন অপর গ্রুপের নেতা ও সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আবুল হাসান শেখ শরীয়তপুরী।
বিবৃতিতে জানানো হয়, শনিবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের মানববন্ধনে আওয়ামী ওলামা লীগের অপর অংশের নেতা হেলালী বাহিনীর হেফাজতি-জামাতী সশস্ত্র জঙ্গিরাই হামলা চালিয়েছে। এ হামলার কারণে ওলামা লীগের ২০ থেকে ২৫ নেতা-কর্মী আহত হয়েছে।
সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আবুল হাসান শেখ শরীয়তপুরী গণমাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে জানান, অপর অংশের নেতা হেলালী বাহিনীর নেতৃত্বে শান্তিপূর্ণ মানববন্ধনে হক্কানী আলেম সমাজের উপর অতর্কিত হামলা চালিয়েছে। এই হামলা ইসলাম কখনো সমর্থন করেনা। হেলালীর সন্ত্রাসী বাহিনী আলেম উলামাদের উপর হামলায় সরকারেরও ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হয়েছে। তাই অবিলম্বে হেলালীর সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় এনে বিচারের দাবি জানানো হয়।
বিবৃতিতে তিনি আরও বলেন, সন্ত্রাসী হেলালী বাহিনীর গডফাদার, ইলিয়াস হোসেন বিল হেলালী একজন চিহ্নিত রাজাকার। তার বাবা ও ভাইও রাজাকার। রাজাকার পরিবারের এ তথ্যটি বাগেরহাট-৪আসনের সংসদ সদস্য ডাক্তার মুহম্মদ মোজাম্মেল হোসেন ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ লিখিত প্রত্যায়নপত্রের মাধ্যমে নিশ্চিত করেছেন।
তিনি আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী জাতীসংঘে চ্যাম্পিয়ন অব দ্য আর্থ পুরুস্কার অর্জন করায় ওলামা লীগের পক্ষ থেকে আন্তরিক অভিনন্দনসহ কয়েকটি দাবীতে মানববন্ধন করা হয়। মানববন্ধনে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার দ্রুত করতে জনৈক বক্তা বক্তব্য দেয়া শুরু করেন। এসময় হেলালীর নির্দেশে সন্ত্রাসী বাহিনী ওলামা লীগের মানববন্ধনের উপর সশস্ত্র হামলা চালায়। এ ঘটনায় বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশ হয়।
সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আবুল হাসান শেখ শরীয়তপুরী জানান, তার নেতৃত্বে শান্তিপূর্ণ মানববন্ধনে সন্ত্রাসী হেলালী বাহিনীর জঙ্গিরাই হক্কানী আলেম সমাজের উপর অতর্কিত হামলা চালিয়েছে। এই বরবর সশস্ত্র হামলা ইসলাম কখনো সমর্থন করেনা।