হাওর বার্তা ডেস্কঃ রাজধানীতে ফের নেমেছে বৃষ্টি। কখনো গুঁড়ি গুঁড়ি, কখনোবা ঝিরিঝিরি। সঙ্গে কনকনে হাওয়া। ফাল্গুনের মাঝামাঝি সময়ে হঠাৎ এই বৃষ্টিতে দুর্ভোগে পড়তে হয় নগরবাসীকে। সাতসকালে যাদের ঘরের বাইরে ছুটতে হয়েছে, তারা অনেকেই কাকভেজা হয়ে গন্তব্যে পৌঁছান। মাত্র ২০ মিনিটের বৃষ্টিতে বিপাকে পড়েন কর্মজীবিরা। আজ সোমবার ভোর থেকেই রাজধানীর আকাশ ছিল মেঘে ঢাকা। এরপর ৬টার দিকে টিপ টিপ করে বৃষ্টি শুরু হয়। কিছুক্ষণ পর অবশ্য বন্ধ হয়ে যায়। তবে সকাল ৭টার দিকে আবারও শুরু হয় বৃষ্টি। হঠাৎ এই বৃষ্টির জন্য বেশির ভাগ মানুষ প্রস্তুত ছিল না। যানবাহন কম থাকায় স্কুলগামী শিশুদের নিয়ে বিপাকে পড়েন অভিভাবকরা।
পথচারীদের অনেকে কেউ কেউ দৌঁড়ে আশ্রয় নেন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের বারান্দায় ও কার্নিশের নিচে। যারা রিকশায় ছিলেন তারাও পর্দা না থাকায় ভিজেছেন। আর যাদের সঙ্গে ছাতা ছিল, তারা রক্ষা পেয়েছেন।
আবহাওয়া অধিদফতর সূত্র জানায়, আজ রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল, ঢাকা, সিলেট ও চট্টগ্রাম বিভাগের দু’এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা ও ঝড়ো হাওয়াসহ হালকা বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া কোথাও-কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে। দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহওায়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।
সোমবার সকাল ৯টা থেকে আগামী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে। শেষরাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের কোথাও-কোথাও হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে। সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি থাকতে পারে। আজ সকাল ৬টায় ঢাকায় বাতাসের আপেক্ষিক আর্দ্রতা ছিল ৬৪ শতাংশ। আজ ঢাকায় সূর্যাস্ত সন্ধ্যা ৫টা ৫৮ মিনিট।
রোববার ঢাকায় সূর্যোদয় ভোর ৬টা ২৫ মিনিটে। সেদিন দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে রাজশাহীতে ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং শনিবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল বরিশাল বিভাগের রাঙামাটিতে ৩৩ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আবহাওয়া চিত্রের সংক্ষিপ্তসারে বলা হয়েছে, পশ্চিমা লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে। পরবর্তী ৭২ ঘন্টার আবহাওয়ার বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি অব্যাহত থাকতে পারে বলে আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে।