ঢাকা ১১:২৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ছদ্মবেশী যুদ্ধাপরাধীদের খুঁজে বের করে বিচারের আওতায় আনতে হবে

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১১:০১:৪৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৭ অক্টোবর ২০১৫
  • ৩১৯ বার

যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের পাশাপাশি ছদ্মবেশী যুদ্ধাপরাধীদের খুঁজে বের করে তাদেরকে বিচারের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন সেক্টর কমান্ডারস ফোরাম-মুক্তিযুদ্ধ ৭১’এর নেতৃবৃন্দ।
তিনি বলেন, মুক্তিযোদ্ধাদের ভেতরে ঢুকে যারা মুক্তিযোদ্ধাদের ভাবমূর্তি নষ্ট করার চেষ্টা করছে এবং নানা অপচেষ্টায় লিপ্ত তাদের খুঁজে বের করে এনে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করাতে হবে। একজন একজন করে প্রত্যেকের বিচার করতে হবে।
সেক্টর কমান্ডারস ফোরাম-এর চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল কে এম শফিউল্লাহ বীর উত্তম ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র মিলনায়তনে আয়োজিত সংগঠনের কনভেনশনে আজ একথা বলেন।
“যুদ্ধাপরাধী মুক্ত করবো দেশ, গড়বো মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশ” এই শ্লোগান নিয়ে এবার সেক্টর কমান্ডারস ফোরাম-মুক্তিযুদ্ধ ৭১’ চতুর্থ জাতীয় কনভেনশনের আয়োজন করে।
কে এম শফিউল্লাহ’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য দেন ফোরামের সহ-সভাপতি কর্নেল (অব ) আবু ওসমান চৌধুরী, বাংলাদেশ আইন কমিশনের চেয়ারম্যান বিচারপতি খায়রুল হক, ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য ড. নাসরীন আহমেদ, বিশিষ্ট ইসলামি চিন্তাবিদ ও ইক্বরার সভাপতি মাওলানা ফরিদউদ্দিন মাসউদ, পেশাজীবী সমন্বয় পরিষদের সভাপতি বিচারপতি এ এফ এম মেজবাহ উদ্দিন, ঘাতক-দালাল নির্মূল কমিটির পক্ষে শহীদ সন্তান ড. নুজহাত চৌধুরী, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুছ, ফোরামের মহাসচিব ও বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা (বাসস)’র সাবেক প্রধান সম্পাদক হারুন হাবীব এবং চতুর্থ জাতীয় কনভেনশনের আহ্বায়ক লে. জেনারেল এম হারুন-অর-রশীদ বীরপ্রতিক (অব:) প্রমুখ।
এবিএম খায়রুল হক বলেন, বাংলার মাটিতে সকল যুদ্ধাপরাধীর বিচার হতেই হবে, এর কোন বিকল্প নেই। আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত যেভাবে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারকার্য পরিচালনা করছেন তা সুচারুরূপে সম্পন্ন করার জন্য সকল যুদ্ধাপরাধীদের খুঁজে বের করে বিচারের আওতায় আনতে হবে।
সাবেক প্রধান বিচারপতি খায়রুল হক ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর পাকিস্তান সেনাবাহিনীর আত্মসমর্পনস্থল সোহরাওয়ার্দী উদ্যান সংলগ্ন স্থানটি সংরক্ষণের প্রয়োজনীয়তা উল্লেখ করে বলেন, আমাদের মুক্তিযুদ্ধ এখনও চলমান। সে যুদ্ধে জয়ী হতে হলে মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ বাস্তবায়ন করতে হবে।
আবু ওসমান চৌধুরী মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতিকারীদের বিরূদ্ধে কঠোর আইনি উদ্যোগ গ্রহণের আহ্বান জানান।
নাসরিন আহমেদ যুদ্ধাপরাধীদের বিচারকার্য পরিচালনা নির্বিঘ্ন করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী রাখতে মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের সকল শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, আমাদের দেশে এখনও রাজাকারদের কোন তালিকা করা হয় নাই। রাজাকারদের তালিকা করা হলেই প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের চিহ্নিত করা যাবে।
তিনি জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশ-এর উত্থান রোধ ও তরুণ প্রজন্মকে এই কুপমন্ডুকতার হাত থেকে বাঁচাতে জামাতের রাজনৈতিক শক্তির উৎস বন্ধ করার পরামর্শ দেন।
সাংবাদিক হারুন হাবীব বিশে^র সকল দেশের মতো মানবতাবিরোধী অপরাধে দন্ডিত যুদ্ধাপরাধীদের কবর অচিহ্নিত রাখার আহ্বান জানান। তিনি সকল বীরাঙ্গণাকে মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতির পাশাপাশি তাদের সবধরনের সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করার দাবি জানান।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

ছদ্মবেশী যুদ্ধাপরাধীদের খুঁজে বের করে বিচারের আওতায় আনতে হবে

আপডেট টাইম : ১১:০১:৪৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৭ অক্টোবর ২০১৫

যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের পাশাপাশি ছদ্মবেশী যুদ্ধাপরাধীদের খুঁজে বের করে তাদেরকে বিচারের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন সেক্টর কমান্ডারস ফোরাম-মুক্তিযুদ্ধ ৭১’এর নেতৃবৃন্দ।
তিনি বলেন, মুক্তিযোদ্ধাদের ভেতরে ঢুকে যারা মুক্তিযোদ্ধাদের ভাবমূর্তি নষ্ট করার চেষ্টা করছে এবং নানা অপচেষ্টায় লিপ্ত তাদের খুঁজে বের করে এনে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করাতে হবে। একজন একজন করে প্রত্যেকের বিচার করতে হবে।
সেক্টর কমান্ডারস ফোরাম-এর চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল কে এম শফিউল্লাহ বীর উত্তম ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র মিলনায়তনে আয়োজিত সংগঠনের কনভেনশনে আজ একথা বলেন।
“যুদ্ধাপরাধী মুক্ত করবো দেশ, গড়বো মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশ” এই শ্লোগান নিয়ে এবার সেক্টর কমান্ডারস ফোরাম-মুক্তিযুদ্ধ ৭১’ চতুর্থ জাতীয় কনভেনশনের আয়োজন করে।
কে এম শফিউল্লাহ’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য দেন ফোরামের সহ-সভাপতি কর্নেল (অব ) আবু ওসমান চৌধুরী, বাংলাদেশ আইন কমিশনের চেয়ারম্যান বিচারপতি খায়রুল হক, ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য ড. নাসরীন আহমেদ, বিশিষ্ট ইসলামি চিন্তাবিদ ও ইক্বরার সভাপতি মাওলানা ফরিদউদ্দিন মাসউদ, পেশাজীবী সমন্বয় পরিষদের সভাপতি বিচারপতি এ এফ এম মেজবাহ উদ্দিন, ঘাতক-দালাল নির্মূল কমিটির পক্ষে শহীদ সন্তান ড. নুজহাত চৌধুরী, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুছ, ফোরামের মহাসচিব ও বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা (বাসস)’র সাবেক প্রধান সম্পাদক হারুন হাবীব এবং চতুর্থ জাতীয় কনভেনশনের আহ্বায়ক লে. জেনারেল এম হারুন-অর-রশীদ বীরপ্রতিক (অব:) প্রমুখ।
এবিএম খায়রুল হক বলেন, বাংলার মাটিতে সকল যুদ্ধাপরাধীর বিচার হতেই হবে, এর কোন বিকল্প নেই। আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত যেভাবে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারকার্য পরিচালনা করছেন তা সুচারুরূপে সম্পন্ন করার জন্য সকল যুদ্ধাপরাধীদের খুঁজে বের করে বিচারের আওতায় আনতে হবে।
সাবেক প্রধান বিচারপতি খায়রুল হক ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর পাকিস্তান সেনাবাহিনীর আত্মসমর্পনস্থল সোহরাওয়ার্দী উদ্যান সংলগ্ন স্থানটি সংরক্ষণের প্রয়োজনীয়তা উল্লেখ করে বলেন, আমাদের মুক্তিযুদ্ধ এখনও চলমান। সে যুদ্ধে জয়ী হতে হলে মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ বাস্তবায়ন করতে হবে।
আবু ওসমান চৌধুরী মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতিকারীদের বিরূদ্ধে কঠোর আইনি উদ্যোগ গ্রহণের আহ্বান জানান।
নাসরিন আহমেদ যুদ্ধাপরাধীদের বিচারকার্য পরিচালনা নির্বিঘ্ন করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী রাখতে মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের সকল শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, আমাদের দেশে এখনও রাজাকারদের কোন তালিকা করা হয় নাই। রাজাকারদের তালিকা করা হলেই প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের চিহ্নিত করা যাবে।
তিনি জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশ-এর উত্থান রোধ ও তরুণ প্রজন্মকে এই কুপমন্ডুকতার হাত থেকে বাঁচাতে জামাতের রাজনৈতিক শক্তির উৎস বন্ধ করার পরামর্শ দেন।
সাংবাদিক হারুন হাবীব বিশে^র সকল দেশের মতো মানবতাবিরোধী অপরাধে দন্ডিত যুদ্ধাপরাধীদের কবর অচিহ্নিত রাখার আহ্বান জানান। তিনি সকল বীরাঙ্গণাকে মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতির পাশাপাশি তাদের সবধরনের সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করার দাবি জানান।