ঢাকা ০২:২৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

গাজীপুরে প্রশ্নপত্র ফাঁসে জড়িত ২জন আটক

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৭:১৪:৫৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১ ফেব্রুয়ারী ২০১৯
  • ৩১৩ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলা থেকে প্রশ্নপত্র ফাঁস চক্রের দুই সদস্যকে আটক করেছে র‌্যাব-১। বৃহস্পতিবার (৩১ জানুয়ারি) দিনগত রাত সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার যোগীরসিট এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়।

আটকরা হলেন- যোগীরসিট এলাকার মো. আবুল হাসেমের ছেলে মো. রফিকুল ইসলাম (২৫) ও একই এলাকার মো. শুকুর আলীর ছেলে মো. আকরাম হোসেন (২১)।

গাজীপুরের পোড়াবাড়ী র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)-১ ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কমান্ডার আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, যোগীরসিট এলাকায় প্রশ্ন ফাঁসকারী চক্রের সদস্যরা অবস্থান করছে, এমন সংবাদের ভিত্তিতে রাতে ওই এলাকায় অভিযান চালানো হয়। এ সময় বিভিন্ন পাবলিক পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস চক্রের সক্রিয় সদস্য রফিকুল ও আকরামকে আটক করা হয়। পরে তাদের কাছ থেকে প্রশ্নপত্র ফাঁসের কাজে ব্যবহৃত দু’টি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়। ওই মোবাইলে হোয়াটসঅ্যাপ ও ফেসবুকে প্রশ্নপত্র ফাঁসের বিভিন্ন সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায়।

আটক রফিকুল গাজীপুর ভাওয়াল বদরে আলম কলেজের অনার্স চতুর্থবর্ষের ছাত্র। পাশাপাশি তার নিজস্ব কোচিং সেন্টার পরিচালনা এবং সেখানে শিক্ষকতা করে আসছিলেন। রফিকুল ২০১৭ সালে বিভিন্ন ফেসবুক আইডি খুলে প্রশ্নপত্র ফাঁস সংক্রান্ত কার্যক্রম শুরু করেন। ফেসবুকে প্রশ্নপত্র ফাঁসের বিষয়ে বিভিন্ন পোস্ট দিলে ছাত্র-ছাত্রীরা তার সঙ্গে যোগাযোগ করতেন। ২০১৭ সালের পিএসসি, জেএসসি এবং এসএসসি পরীক্ষায় ছাত্র-ছাত্রীদের ৮-১০টি পরীক্ষার প্রশ্ন বিতরণ করে বিকাশের মাধ্যমে মোটা অংকের টাকা আয় করেন তিনি। সে বিভিন্ন লিংক থেকে প্রশ্নপত্র ডাউনলোড করে ফেসবুকে পোষ্ট দিত এবং ছাত্রছাত্রীদের নিকট থেকে বিকাশের মাধ্যমে টাকা নিয়ে তাদের প্রশ্ন বিতরণ করার পরে ফাঁসকৃত প্রশ্নগুলো ফেসবুক থেকে ডিলেট করে দিত।

অন্যদিকে, আকরাম ২০১৮ সালে এসএসসি পাস করে ওই বছর রফিকুলের ফেসবুক আইডি থেকে অনলাইনে প্রশ্নফাঁসের কাজে যুক্ত হন। পরে এসএসসি পরীক্ষায় তিনি ১০টি পরীক্ষার প্রশ্নের পোস্ট দেন এবং ছাত্র-ছাত্রীদের কাছে প্রশ্ন অনলাইনে বিতরণ করে বিকাশের মাধ্যমে টাকা আয় করেন। তার দেওয়া প্রশ্ন এবং পরীক্ষার প্রশ্নপত্র কিছুটা পৃথক ছিল বলে জানা যায়। তার মোবাইল বিশ্লেষন করে জানা যায় সে এমডি রফিকুল ইসলাম নামক আইডি থেকে প্রশ্নপত্র সংগ্রহ করত।

উদ্ধারকৃত মোবাইল ফোন এবং গ্রেফতারকৃত আসামীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন বলে র‍্যাব থেকে জানানো হয়েছে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

জনপ্রিয় সংবাদ

গাজীপুরে প্রশ্নপত্র ফাঁসে জড়িত ২জন আটক

আপডেট টাইম : ০৭:১৪:৫৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১ ফেব্রুয়ারী ২০১৯

হাওর বার্তা ডেস্কঃ গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলা থেকে প্রশ্নপত্র ফাঁস চক্রের দুই সদস্যকে আটক করেছে র‌্যাব-১। বৃহস্পতিবার (৩১ জানুয়ারি) দিনগত রাত সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার যোগীরসিট এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়।

আটকরা হলেন- যোগীরসিট এলাকার মো. আবুল হাসেমের ছেলে মো. রফিকুল ইসলাম (২৫) ও একই এলাকার মো. শুকুর আলীর ছেলে মো. আকরাম হোসেন (২১)।

গাজীপুরের পোড়াবাড়ী র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)-১ ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কমান্ডার আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, যোগীরসিট এলাকায় প্রশ্ন ফাঁসকারী চক্রের সদস্যরা অবস্থান করছে, এমন সংবাদের ভিত্তিতে রাতে ওই এলাকায় অভিযান চালানো হয়। এ সময় বিভিন্ন পাবলিক পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস চক্রের সক্রিয় সদস্য রফিকুল ও আকরামকে আটক করা হয়। পরে তাদের কাছ থেকে প্রশ্নপত্র ফাঁসের কাজে ব্যবহৃত দু’টি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়। ওই মোবাইলে হোয়াটসঅ্যাপ ও ফেসবুকে প্রশ্নপত্র ফাঁসের বিভিন্ন সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায়।

আটক রফিকুল গাজীপুর ভাওয়াল বদরে আলম কলেজের অনার্স চতুর্থবর্ষের ছাত্র। পাশাপাশি তার নিজস্ব কোচিং সেন্টার পরিচালনা এবং সেখানে শিক্ষকতা করে আসছিলেন। রফিকুল ২০১৭ সালে বিভিন্ন ফেসবুক আইডি খুলে প্রশ্নপত্র ফাঁস সংক্রান্ত কার্যক্রম শুরু করেন। ফেসবুকে প্রশ্নপত্র ফাঁসের বিষয়ে বিভিন্ন পোস্ট দিলে ছাত্র-ছাত্রীরা তার সঙ্গে যোগাযোগ করতেন। ২০১৭ সালের পিএসসি, জেএসসি এবং এসএসসি পরীক্ষায় ছাত্র-ছাত্রীদের ৮-১০টি পরীক্ষার প্রশ্ন বিতরণ করে বিকাশের মাধ্যমে মোটা অংকের টাকা আয় করেন তিনি। সে বিভিন্ন লিংক থেকে প্রশ্নপত্র ডাউনলোড করে ফেসবুকে পোষ্ট দিত এবং ছাত্রছাত্রীদের নিকট থেকে বিকাশের মাধ্যমে টাকা নিয়ে তাদের প্রশ্ন বিতরণ করার পরে ফাঁসকৃত প্রশ্নগুলো ফেসবুক থেকে ডিলেট করে দিত।

অন্যদিকে, আকরাম ২০১৮ সালে এসএসসি পাস করে ওই বছর রফিকুলের ফেসবুক আইডি থেকে অনলাইনে প্রশ্নফাঁসের কাজে যুক্ত হন। পরে এসএসসি পরীক্ষায় তিনি ১০টি পরীক্ষার প্রশ্নের পোস্ট দেন এবং ছাত্র-ছাত্রীদের কাছে প্রশ্ন অনলাইনে বিতরণ করে বিকাশের মাধ্যমে টাকা আয় করেন। তার দেওয়া প্রশ্ন এবং পরীক্ষার প্রশ্নপত্র কিছুটা পৃথক ছিল বলে জানা যায়। তার মোবাইল বিশ্লেষন করে জানা যায় সে এমডি রফিকুল ইসলাম নামক আইডি থেকে প্রশ্নপত্র সংগ্রহ করত।

উদ্ধারকৃত মোবাইল ফোন এবং গ্রেফতারকৃত আসামীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন বলে র‍্যাব থেকে জানানো হয়েছে।