হাওর বার্তা ডেস্কঃ কর্তব্য অবহেলা ও দুর্নীতিবাজদের কোনো ক্রমেই ছাড় দেয়া হবে না। প্রমাণ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই তাদের ওএসডি করা হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এ ঘোষণার দু’দিন পরই স্বাস্থ্য অধিদফতরের অধীনে একাধিক হাসপাতাল ও ক্লিনিকে দুদক অনুসন্ধান করে ব্যাপক দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ পেয়েছে।
এ সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন দাখিল করে দুদক। এরপরই দুদকের প্রতিবেদনের সুপারিশক্রমে স্বাস্থ্য অধিদফতরের অধীনে ২৩ কর্মকর্তা ও কর্মচারিকে বদলি করেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। এছাড়া দুদক কর্মকর্তাদের পরিদর্শনে আট জেলার নয়টি হাসপাতালে চিকিৎসকদের অনুপস্থিত থাকার বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে পৃথক আটটি তদন্ত কমিটি করেছে মন্ত্রণালয়।
বৃহস্পতিবার (৩১জানুয়ারি) স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের যুগ্ম সচিব (পার-২) এ কে এম ফজলুল হকের সই করা এ সংক্রান্ত দুটি আদেশ হয়েছে। স্বাস্থ্য প্রশাসনের এই পদক্ষেপ দুর্নীতি দমন কমিশনকেও জানানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রনব কুমার ভট্টাচার্য্য। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ওই সব কর্মকর্তা-কর্মচারীদের রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি, সুনামগঞ্জ, বরিশাল, সিরাজগঞ্জ, রংপুর, ভোলা, মানিকগঞ্জ, ফরিদপুর, জামালপুর, নেত্রকোনা ও নওগাঁ জেলার বিভিন্ন হাসপাতালে বদলি করা হয়েছে।
ওই কর্মকর্তা-কর্মচারীরা দীর্ঘদিন একই কর্মস্থলে থেকে ‘দুর্নীতির শক্তিশালী বলয়’ তৈরি করেছেন উল্লেখ করে গত ২৩ জানুয়ারি তাদের ‘জরুরি ভিত্তিতে’ বদলি করার পাশাপাশি বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করেছিল দুদক। ওই দিন কমিশনের সচিব (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মোহাম্মদ মুনীর চৌধুরী স্বাক্ষরিত চিঠিতে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হল, তা দুদককে জানাতেও অনুরোধ করা হয়েছিল।
শেখ হাসিনার নতুন সরকার দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতিতে জোর দেওয়ার পর চলতি বছরের শুরু থেকে স্বাস্থ্য খাতের দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছে দুদক। এর অংশ হিসেবে গত ২১ জানুয়ারি রাজধানীসহ দেশের ১১টি সরকারি হাসপাতালে অভিযান চালিয়ে দুদক জানায়, হাসপাতালগুলোর ৪০ শতাংশ চিকিৎসকই কর্মস্থলে অনুপস্থিত ছিলেন।ঢাকা, পাবনা, কুষ্টিয়া, রংপুর, রাজশাহী, দিনাজপুর, টাংগাইল ও ময়মনসিংহের নয়টি হাসপাতলে অনুপস্থিত থাকা চিকিৎসকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে আট উপ-সচিব পর্যায়ের কর্মকর্তাকে তদন্ত কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্বে দিয়ে সাত দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দিয়েছে মন্ত্রণালয়।