ঢাকা ০৮:৪০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতার কোনো বিকল্প নেই

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৩:৫২:৩০ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৭ অক্টোবর ২০১৫
  • ৩০০ বার

তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেছেন, উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতার কোনো বিকল্প নেই। রাষ্ট্র ও সমাজ পরিচালনা এবং বিকাশের ধারায় গণমাধ্যম রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ হিসেবে কাজ করে। গণমাধ্যম গণতন্ত্রের দর্পণ হিসেবে কাজ করে রাষ্ট্রের নাগরিকদের বিবেককে জাগ্রত রাখে।

মন্ত্রী বুধবার রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনে ‘জাতীয় উন্নয়নে আঞ্চলিক সাংবাদিকতা: সমস্যা ও সম্ভাবনা’ বিষয়ক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন।

সেমিনারে বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের চেয়ারম্যান ড. প্রদীপ কুমার পাণ্ডে মূলপ্রবন্ধ পাঠ করেন।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, গণতন্ত্র ও গণমাধ্যম একে অপরের পরিপূরক। গণমাধ্যমের সুষ্ঠু বিকাশ ছাড়া গণতন্ত্রের উত্তরণ কল্পনা করা যায় না। বর্তমান সরকার গণমাধ্যমের মত প্রকাশের স্বাধীনতা নিশ্চিতকরণের মাধ্যমে সুশাসন প্রতিষ্ঠায় কাজ করে যাচ্ছে। পাশাপাশি জনগণের তথ্যপ্রাপ্তির অধিকারকে প্রতিষ্ঠিত করার লক্ষ্যে তথ্য অধিকার আইন প্রণয়ন করা হয়েছে। এ আইনের মাধ্যমে রাষ্ট্র, সমাজ, ব্যক্তির নিরাপত্তা ও গোপনীয়তা, আর্থিক প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তা বিষয়গুলোকে নিশ্চিত করা হয়েছে। তিনি বলেন, সরকার শিশুদের নৈতিকতা ও নারীর সম্ভ্রমরক্ষায় সাইবার আইন প্রণয়নের কাজ করছে।

মন্ত্রী গণমাধ্যমকর্মীদের প্রতি বাংলাদেশ সম্পর্কে ইতিবাচক সংবাদ পরিবেশনের আহ্বান জানান। পাশাপাশি সুশাসন প্রতিষ্ঠায় সন্ত্রাসবাদ ও জঙ্গিবাদ নির্মূলে গণমাধ্যম কর্মীদের বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখার বিষয়ে গুরুত্বারোপ করেন।

মন্ত্রী বলেন, দারিদ্র্যবিমোচন, লিঙ্গ বৈষম্য হ্রাস, জঙ্গিবাদ দমন ও পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় জাতীয় পত্রিকাগুলোর পাশাপাশি আঞ্চলিক পত্রিকাগুলোকে ভূমিকা পালন করতে হবে।

হাসানুল হক ইনু বলেন, গণমাধ্যমগুলো গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা, সাম্প্রদায়িকতা দূরীকরণ, মুক্তবাজার অর্থনীতিতে টিকে থাকাসহ তথ্যপ্রযুক্তি, বিশ্বায়ন ও আঞ্চলিকায়নের চ্যালেঞ্জ সম্পর্কে সাধারণ মানুষকে অবগত করবে এবং ঐক্যবদ্ধভাবে চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় কাজ করবে। জাতীয় নীতি নির্ধারকরা অঞ্চলভিত্তিক পত্রিকা থেকে উন্নয়নের উপাদান সংগ্রহ করে অঞ্চলভিত্তিক সমৃদ্ধি এনে জাতীয় উন্নয়নে ভূমিকা রাখবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মিজানউদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপউপাচার্য প্রফেসর ড. চৌধুরী সারওয়ার জাহান, পিআইবির মহাপরিচালক মো. শাহ আলমগীর, প্রাক্তন মহাপরিচালক দুলাল চন্দ্র বিশ্বাস-সহ রাবির বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক, প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতার কোনো বিকল্প নেই

আপডেট টাইম : ০৩:৫২:৩০ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৭ অক্টোবর ২০১৫

তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেছেন, উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতার কোনো বিকল্প নেই। রাষ্ট্র ও সমাজ পরিচালনা এবং বিকাশের ধারায় গণমাধ্যম রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ হিসেবে কাজ করে। গণমাধ্যম গণতন্ত্রের দর্পণ হিসেবে কাজ করে রাষ্ট্রের নাগরিকদের বিবেককে জাগ্রত রাখে।

মন্ত্রী বুধবার রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনে ‘জাতীয় উন্নয়নে আঞ্চলিক সাংবাদিকতা: সমস্যা ও সম্ভাবনা’ বিষয়ক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন।

সেমিনারে বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের চেয়ারম্যান ড. প্রদীপ কুমার পাণ্ডে মূলপ্রবন্ধ পাঠ করেন।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, গণতন্ত্র ও গণমাধ্যম একে অপরের পরিপূরক। গণমাধ্যমের সুষ্ঠু বিকাশ ছাড়া গণতন্ত্রের উত্তরণ কল্পনা করা যায় না। বর্তমান সরকার গণমাধ্যমের মত প্রকাশের স্বাধীনতা নিশ্চিতকরণের মাধ্যমে সুশাসন প্রতিষ্ঠায় কাজ করে যাচ্ছে। পাশাপাশি জনগণের তথ্যপ্রাপ্তির অধিকারকে প্রতিষ্ঠিত করার লক্ষ্যে তথ্য অধিকার আইন প্রণয়ন করা হয়েছে। এ আইনের মাধ্যমে রাষ্ট্র, সমাজ, ব্যক্তির নিরাপত্তা ও গোপনীয়তা, আর্থিক প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তা বিষয়গুলোকে নিশ্চিত করা হয়েছে। তিনি বলেন, সরকার শিশুদের নৈতিকতা ও নারীর সম্ভ্রমরক্ষায় সাইবার আইন প্রণয়নের কাজ করছে।

মন্ত্রী গণমাধ্যমকর্মীদের প্রতি বাংলাদেশ সম্পর্কে ইতিবাচক সংবাদ পরিবেশনের আহ্বান জানান। পাশাপাশি সুশাসন প্রতিষ্ঠায় সন্ত্রাসবাদ ও জঙ্গিবাদ নির্মূলে গণমাধ্যম কর্মীদের বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখার বিষয়ে গুরুত্বারোপ করেন।

মন্ত্রী বলেন, দারিদ্র্যবিমোচন, লিঙ্গ বৈষম্য হ্রাস, জঙ্গিবাদ দমন ও পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় জাতীয় পত্রিকাগুলোর পাশাপাশি আঞ্চলিক পত্রিকাগুলোকে ভূমিকা পালন করতে হবে।

হাসানুল হক ইনু বলেন, গণমাধ্যমগুলো গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা, সাম্প্রদায়িকতা দূরীকরণ, মুক্তবাজার অর্থনীতিতে টিকে থাকাসহ তথ্যপ্রযুক্তি, বিশ্বায়ন ও আঞ্চলিকায়নের চ্যালেঞ্জ সম্পর্কে সাধারণ মানুষকে অবগত করবে এবং ঐক্যবদ্ধভাবে চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় কাজ করবে। জাতীয় নীতি নির্ধারকরা অঞ্চলভিত্তিক পত্রিকা থেকে উন্নয়নের উপাদান সংগ্রহ করে অঞ্চলভিত্তিক সমৃদ্ধি এনে জাতীয় উন্নয়নে ভূমিকা রাখবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মিজানউদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপউপাচার্য প্রফেসর ড. চৌধুরী সারওয়ার জাহান, পিআইবির মহাপরিচালক মো. শাহ আলমগীর, প্রাক্তন মহাপরিচালক দুলাল চন্দ্র বিশ্বাস-সহ রাবির বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক, প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।