হাওর বার্তা ডেস্কঃ প্রিয়দর্শিনী চিত্রনায়িকা মৌসুমী অসংখ্য জনপ্রিয় সিনেমায় অভিনয় করে মুগ্ধ করেছেন ভক্তদের। একাধিকবার তার হাতে উঠেছে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। চলচ্চিত্রে অভিনয়ের পাশাপাশি চলচ্চিত্র পরিচালনা ও প্রযোজনাও করেছেন তিনি। এ ছাড়া নাটকেও অভিনয় করেছেন। এবার রাজনৈতিক মাঠেও সরব হচ্ছেন এই অভিনেত্রী।
সংরক্ষিত নারী আসনে সংসদ সদস্য হতে চান মৌসুমী। গতকাল বুধবার আওয়ামী লীগের সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয় থেকে সংরক্ষিত নারী আসনে মনোনয়ন ফরম কিনেছেন এই অভিনেত্রী।
তবে তিনি মনোনয়নপত্র কেনার পর একটি ছবি কে বা কারা ফেসবুকে পোস্ট করে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছেন বলে অভিযোগ করেছন মৌসুমী। ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া ওই ছবিতে ‘বাংলাদেশ উৎসব’ নামে এক অনুষ্ঠানে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে মৌসুমীকে দেখা যায়।
বিষয়টি নিয়ে বৃহস্পতিবার এফডিসিতে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন তিনি। এ বিষয়ে মৌসুমী বলেন, ‘আমি চলচ্চিত্র শিল্পী। শিল্পী হিসেবে আমার বিচরণ সব জায়গাতেই থাকে। সবার সঙ্গে মিশবো। সবার সঙ্গেই কথা বলবো। তারকা হওয়ায় অনেকেই আমাদের দাওয়াত করেন। সে দাওয়াতে অংশ নিতে কত জায়গায়ই তো আমাদের যেতে হয়। সেখানে কতজনই তো আমাদের ছবি তোলেন। আমি তো সেই ছবি তুলিনি। কখনও বলিওনি আমি কোন দলের সমর্থক। কোন দলের হয়ে কাজ করতে চাই। এখন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাদের সুযোগ করে দিয়েছেন। তাই এমপি হয়ে মানুষের সেবা করতে চাইছি।’
এ বিষয়ে তিনি আরও বলেন, ‘এখন ফেসবুকে যারা নানা ধরনের ছবি পোস্ট করে আমাকে হেয় করতে চাইছেন তারা হয়তো আমাকে পছন্দ করেন না। আমাকে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে দাঁড় করানোর চেষ্টা করছেন।’
অভিনেত্রী মৌসুমী বলেন, ‘আমি যেহেতু কখনও বলিনি আমি কোন দলের হয়ে কাজ করবো। তাহলে কেন এমন প্রশ্ন তোলা হচ্ছে। যারা এ প্রশ্ন তুলছেন তাদের বিনয়ের সঙ্গে বলতে চাই, তারা এই প্রশ্ন তুলে আমার কাজকে বাধাগ্রস্ত করতে পারবেন না। আমি ২০-২৫ বছর চলচ্চিত্রে কাজ করেছি। সততার সঙ্গে কাজ করার চেষ্টা করেছি। দর্শকদের ভালোবাসা নিয়ে কাজ করেছি। আজকে আমার কাছে দর্শকদের প্রতিদান দেয়ার সুযোগ। প্রধানমন্ত্রীর হাত ধরে যদি তার সিলেকশনে সংসদে যেতে পারি তাহলে যে জায়গাগুলোতে আমার কাজ করার সুযোগ রয়েছে সেগুলো করতে পারলে নিজেকে ধন্য মনে করবো।’
আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন ফরম কেনা প্রসঙ্গে মৌসুমী বলেন, ‘নারী আসনে মনোনয়ন ফরম কেনার পেছনে মূল কারণ হলো প্রধানমন্ত্রী এক বক্তব্যে বলেছিলেন, তিনি যোগ্য লোককে যোগ্য জায়গায় দেবেন। তার কথা শুনে নারী আসনে মনোনয়নপত্র কেনার প্রতি আগ্রহ বেড়েছে। যেহেতু নারী ও শিশুদের নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করে যাচ্ছি, তাই এ বিষয়ে আমার যথেষ্ট অভিজ্ঞতা আছে। তাছাড়া আমি নিজেও একজন নারী। তাই আমি মনে করি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যদি আমাকে এ কাজে যোগ্য মনে করেন, তবে আমি দায়িত্বের সঙ্গে কাজটি করতে পারবো।’