ঢাকা ১২:১২ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
ধর্মের শান্তির বাণী নিজের মধ্যে স্থাপন করতে হবে: প্রধান উপদেষ্টা মোজাম্বিকে নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় নিহত ২১ আলোচিত ৭ খুনের রহস্য উদঘাটন ঘুমের ওষুধ খাইয়ে অচেতন করে হত্যা করা হয় ৭ জনকে নতুন বছরের শুরুতে শৈত্যপ্রবাহের পূর্বাভাস নির্বাচন নিয়ে টালবাহানা কেন ,নির্বাচনের মাধ্যমে বাংলাদেশের ভবিষৎ সমস্যা সমাধান হবে : এড.ফজলুর রহমান ১৭ বছর পর কারাগার থেকে মুক্তি পেলেন বিএনপি নেতা আবদুস সালাম পিন্টু উপদেষ্টা হওয়ার প্রস্তাব পেলে যা করবেন সাদিয়া আয়মান হাসিনাকে ফেরত চেয়ে চিঠি, এখনও মেলেনি ভারতের উত্তর লিবিয়া উপকূলে নৌকাডুবিতে ৮ বাংলাদেশির মৃত্যু আয়কর রিটার্ন দাখিলের সময় আরও এক মাস বাড়ল

জিয়া মুক্তিযোদ্ধা না হলে একটাও মুক্তিযোদ্ধা নেই

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১১:২৮:৩৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৬ অক্টোবর ২০১৫
  • ৪১২ বার

জিয়াউর রহমান যদি মুক্তিযোদ্ধা না হন তাহলে বাংলাদেশে একটাও মুক্তিযোদ্ধাও নেই বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান। তিনি বলেছেন, স্বাধীনতার জন্য যা দরকার জিয়াউর রহমান সবই করেছেন। আজ শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে ‘মুক্তিযুদ্ধ ও জিয়াউর রহমান’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় নজরুল ইসলাম খান জিয়াকে নিয়ে আওয়ামী লীগের নেতাদের ‘বিরূপ’ মন্তব্যের কড়া সমালোচনা করেন। নজরুল ইসলাম খান বলেন, আওয়ামী লীগের কিছু হাইব্রিড নেতা জিয়াউর রহমানকে পাকিস্তানের চর বলেন। তাহলে কি তাদের নেতা শেখ মুজিবুর রহমান না জেনেই পাকিস্তানের চরকে বীরউত্তম খেতাব দিয়েছেন। এ কথা বলতে গিয়ে আওয়ামী লীগ নেতারা নিজের নেতাকেও যে অসম্মান করছেন, সেটাও তারা বুঝেন না। তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান যে মুক্তিযোদ্ধা সেটা তারা কি করে বুঝবেন, তারা তো মাঠেই ছিলেন না। স্বাধীনতার ঘোষণা দেন মেজর জিয়া। নিজ কানকে তো অবিশ্বাস করতে পারি না। এখন অনেক গল্পই শুনি, কতজনে ঘোষণা দিয়েছেন। এটা আবার সংবিধানেরও অংশ। আমরা বেলাল মোহাম্মদ, হান্নান সাহেবের ঘোষণা শুনিনি। ইতিহাসকে রাষ্ট্রীয় হুকুম করে বদলানো যায় না। নজরুল ইসলাম খান বলেন, জিয়াউর রহমান নিজে লিখে ঘোষণাপত্রটি পড়েছেন। এরপর রাজনীতিকরা তাকে বুঝিয়েছেন যে, আপনি এভাবে বললে বিদ্রোহ বলে মনে হবে, স্বাধীনতা হবে না। এভাবে বললে ভালো হবে। তিনি সেটা মেনে নিয়েছেন। বিএনপি নেতা বলেন, জিয়া ছিলেন একজন সফল রাষ্ট্রনায়ক। দলকানা বুদ্ধিজীবীরা তার ভালো কাজগুলোকে লুকিয়ে অন্য কথা বলে। কারণ সরকার যে তাদের লালন পালন করে। এ আলোচনা সভার আয়োজন করে ‘শহীদ জিয়াউর রহমান মুক্তিযুদ্ধ গবেষণা পরিষদ’ নামের একটি সংগঠন। এতে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনটির আহ্বায়ক সাবেক ঢাবি উপাচার্য এমাজউদ্দীন আহমদ। তিনি জিয়াউর রহমানের ওপর তথ্যভিত্তিক প্রামাণ্য গ্রন্থ রচনার প্রতিশ্রুতি দেন। আলোচনায় অংশ নেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক সহ-উপাচার্য আ ফ ম ইউসুফ হায়দার, পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য আবদুল লতিফ মাসুম, কবি আবদুল হাই শিকদার, গবেষণা পরিষদের সদস্য অমর চন্দ্র মিস্ত্রি প্রমুখ।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

ধর্মের শান্তির বাণী নিজের মধ্যে স্থাপন করতে হবে: প্রধান উপদেষ্টা

জিয়া মুক্তিযোদ্ধা না হলে একটাও মুক্তিযোদ্ধা নেই

আপডেট টাইম : ১১:২৮:৩৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৬ অক্টোবর ২০১৫

জিয়াউর রহমান যদি মুক্তিযোদ্ধা না হন তাহলে বাংলাদেশে একটাও মুক্তিযোদ্ধাও নেই বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান। তিনি বলেছেন, স্বাধীনতার জন্য যা দরকার জিয়াউর রহমান সবই করেছেন। আজ শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে ‘মুক্তিযুদ্ধ ও জিয়াউর রহমান’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় নজরুল ইসলাম খান জিয়াকে নিয়ে আওয়ামী লীগের নেতাদের ‘বিরূপ’ মন্তব্যের কড়া সমালোচনা করেন। নজরুল ইসলাম খান বলেন, আওয়ামী লীগের কিছু হাইব্রিড নেতা জিয়াউর রহমানকে পাকিস্তানের চর বলেন। তাহলে কি তাদের নেতা শেখ মুজিবুর রহমান না জেনেই পাকিস্তানের চরকে বীরউত্তম খেতাব দিয়েছেন। এ কথা বলতে গিয়ে আওয়ামী লীগ নেতারা নিজের নেতাকেও যে অসম্মান করছেন, সেটাও তারা বুঝেন না। তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান যে মুক্তিযোদ্ধা সেটা তারা কি করে বুঝবেন, তারা তো মাঠেই ছিলেন না। স্বাধীনতার ঘোষণা দেন মেজর জিয়া। নিজ কানকে তো অবিশ্বাস করতে পারি না। এখন অনেক গল্পই শুনি, কতজনে ঘোষণা দিয়েছেন। এটা আবার সংবিধানেরও অংশ। আমরা বেলাল মোহাম্মদ, হান্নান সাহেবের ঘোষণা শুনিনি। ইতিহাসকে রাষ্ট্রীয় হুকুম করে বদলানো যায় না। নজরুল ইসলাম খান বলেন, জিয়াউর রহমান নিজে লিখে ঘোষণাপত্রটি পড়েছেন। এরপর রাজনীতিকরা তাকে বুঝিয়েছেন যে, আপনি এভাবে বললে বিদ্রোহ বলে মনে হবে, স্বাধীনতা হবে না। এভাবে বললে ভালো হবে। তিনি সেটা মেনে নিয়েছেন। বিএনপি নেতা বলেন, জিয়া ছিলেন একজন সফল রাষ্ট্রনায়ক। দলকানা বুদ্ধিজীবীরা তার ভালো কাজগুলোকে লুকিয়ে অন্য কথা বলে। কারণ সরকার যে তাদের লালন পালন করে। এ আলোচনা সভার আয়োজন করে ‘শহীদ জিয়াউর রহমান মুক্তিযুদ্ধ গবেষণা পরিষদ’ নামের একটি সংগঠন। এতে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনটির আহ্বায়ক সাবেক ঢাবি উপাচার্য এমাজউদ্দীন আহমদ। তিনি জিয়াউর রহমানের ওপর তথ্যভিত্তিক প্রামাণ্য গ্রন্থ রচনার প্রতিশ্রুতি দেন। আলোচনায় অংশ নেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক সহ-উপাচার্য আ ফ ম ইউসুফ হায়দার, পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য আবদুল লতিফ মাসুম, কবি আবদুল হাই শিকদার, গবেষণা পরিষদের সদস্য অমর চন্দ্র মিস্ত্রি প্রমুখ।