বাদাম-একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে, নিয়মিত এক মুঠো করে বাদাম খাওয়া শুরু করলে একদিকে যেমন খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমতে শুরু করে, তেমনি আর্টারির ভিতরে ইনফ্লেমেশন বা প্রদাহের মাত্রা বৃদ্ধি পাওয়ার আশঙ্কাও প্রায় থাকে না বললেই চলে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই হার্টের কোনও ধরনের ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা যেমন কমে, তেমনি নানাবিধ হার্টের রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাও যায় কমে।
গাজর-শুনতে আজব লাগলেও একাধিক স্টাডির পর এ কথা পানির মতো পরিষ্কার হয়ে গেছে যে নিয়মিত কাঁচা গাজর খাওয়া শুরু করলে দেহের ভিতরে এমন কিছু উপাদানের মাত্রা বৃদ্ধি পেতে শুরু করে যে তার প্রভাবে হার্টের কোনও ধরনের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা একেবারে থাকে না বললেই চলে। সেই সঙ্গে ডায়াবেটিসের মতো রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনাও যায় কমে। তাই দীর্ঘ দিন যদি সুস্থভাবে বাঁচতে হয়, তাহলে গাজরের সঙ্গে বন্ধুত্ব না পাতালে কিন্তু ভুল করবেন।
মিষ্টি আলু-যে কোনও পরিস্থিতিতেই আপনার হার্ট চাঙ্গা থাকুক, এমনটাযদি চান, তাহলে সপ্তাহে ২-৩ দিন মিষ্টি আলু দিয়ে বানানো নানা পদ খেতে ভুলবেন না যেন! কারণ এই সবজিটিতে উপস্থিত ভিটামিন এ, ফাইবার এবং লাইকোপেন শরীরে প্রবেশ করার পর এমন খেল দেখায় যে হার্টের ক্ষমতা বৃদ্ধি পেতে সময় লাগে না। আর হার্ট চাঙ্গা হয়ে উঠলে নানাবিধ হার্টের রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা যে আর থাকে না, তা তো বলাই বাহুল্য!
অর্জুন গাছের ছাল-এতে প্রচুর মাত্রায় রয়েছে টেনিনস, ট্রাইটারপেনোয়েড স্যাপোনিস এবং ফ্লেবোনয়েডের মত একাধিক উপকারি উপাদান, যা একদিকে যেমন খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়, তেমনি রক্তচাপ স্বাভাবিক রাখতেও সাহায্য করে। ফলে হার্টকে নিয়ে আর কোনও চিন্তাই তাকে না। প্রসঙ্গত, আর্জুন গাছের ছাল অল্প পরিমাণে নিয়ে সারা রাত পানিতে ভিজিয়ে রাখতে হবে। পরদিন সকালে পানিটা ফুটিয়ে নিয়ে পান করলে উপকার মিলবে।
আদা-এই প্রাকৃতিক উপাদানটি একদিকে যেমন খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়, তেমনি অন্যদিকে ব্লাড ক্লট হওয়ার আশঙ্কাও আর থাকে না। শুধু তাই নয়, হার্টের ভিতরে কোনওভাবে যাতে প্রদাহ সৃষ্টি না হয়, সে দিকেও খেয়াল রাখে। এক কথায় সব দিক থেকে হার্টকে নিরাপত্তা প্রদানে আদার কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে।
গ্রিন টি-এতে উপস্থিত অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, কোষেদের কর্মক্ষমতা বাড়ানোর পাশাপাশি রক্তে যাতে কোনওভাবে এল ডি এল বা খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা বৃদ্ধি না পায়, সে দিকেও খেয়াল রাখে। শুধু তাই নয়, ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণে রাখতেও গ্রিন টি বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। তাই হার্ট এবং ব্রেনকে সুস্থ রাখতে আজ থেকেই দিনে ২ কাপ করে গ্রিন টি পান শুরু করতে পারেন। দেখবেন উপকার মিলবে।
কাঁচা মরিচ-শুনে অবাক লাগলেও এ কথা ঠিক যে হার্টকে সুস্থ রাখতে কাঁচা মরিচের বাস্তবিকই কোনও বিকল্প হয় না। আসলে এতে উপস্থিত ক্যাপসিসিন নামক উপাদান, ব্লাড ভেসেলের ইলাস্ট্রিসিটি বাড়াতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে। সেই সঙ্গে ব্লাড ক্লটের আশঙ্কাও কমায়। ফলে হার্টের কর্মক্ষমতা কমে যাওয়ার কোনও আশঙ্কাই থাকে না। প্রসঙ্গত, সম্প্রতি প্রাকাশিত বেশ কয়েকটি গবেষণা পত্র অনুসারে কাঁচা মরিচে উপস্থিত ক্যাপসিসিন, রক্তে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতেও বিশেষ ভূমিকা পালন করে। ফলে সব দিক থেকে হার্ট সুরক্ষিত থাকে।