ব্রক্ষ্মপুত্র নদে চীনের বাঁধ নির্মাণ সংক্রান্ত কোনো তথ্য নেই বাংলাদেশের কাছে। বাংলাদেশ এখও বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করছে। তথ্য প্রমাণ পেলে যথাযথ ব্যবস্থা নেবে।
পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব জাফর আহমেদ খান এই বিষয়ে বলেন, ‘খোঁজ নিয়ে দেখি, আমি অফিসিয়ালি এ বিষয়ে কিছুই জানি না। ইয়ারলাং জাংবু ও ব্রহ্মপুত্র নদ নিয়ে চীনের সঙ্গে আমাদের একটি এমওইউ (সমঝোতা স্মারক) সাইন হয়েছে, আমরা তথ্য আদান-প্রদান করছি। আমরা খোঁজ নিয়ে দেখব, যদি তাই হয়ে থাকে তবে তাদের সঙ্গে আলোচনা করব।’
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, চীনের বাংলাদেশ মিশনকে এই বিষয়ে খোঁজ নিতে বলা হয়েছে। মন্ত্রণালয়ে এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে অফিসিয়ালি কোনো তথ্য নেই।
এদিকে বাংলাদেশে অবস্থিত চীনের দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগ করলে বলা হয়, চীন বাংলাদেশের দীর্ঘ দিনের বন্ধু। চীন এমন কোনো প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে না যাতে বাংলাদেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
চীনের গণমাধ্যম সিনহুয়াসহ আন্তর্জাতিক বিভিন্ন মিডিয়ায় প্রকাশিত খবর থেকে জানা গেছে, চীন সরকার তিব্বতের ইয়ারলাং জাংবু নদীতে বাঁধ দিয়ে জলবিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু করেছে। যা চীনের জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হচ্ছে।
জানা গেছে, ইয়ারলাং জাংবু নদী চীন থেকে ভারত হয়ে বাংলাদেশ এসে মিশেছে। বাংলাদেশের সেচকাজসহ অধিকাংশ পানির প্রয়োজন এই নদী থেকেই মেটানো হয়।
পানি বিশেষজ্ঞ ম. ইনামুল হক এই বিষয়ে জানান, বাংলাদেশ এই নদীর পানির উপর নির্ভরশীল। এই নদীর উৎপত্তিস্থলে বাঁধ দিয়ে চীন যে প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে তাতে বাংলণাদেশ ক্ষতিগ্রস্ত হবে। কেননা, শুস্ক মৌসুমে এই নদীতে পানি পাওয়া যাবে না।’