ঢাকা ০৬:২৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কিংবদন্তি নির্মাতা, গীতিকার ও লেখক আমজাদ হোসেন মারা গেছেন

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৬:১১:৫৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০১৮
  • ৩১৮ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ কিংবদন্তি নির্মাতা, গীতিকার ও লেখক আমজাদ হোসেন মারা গেছেন। শুক্রবার (১৪ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ সময় দুপুর ২টা ৫৭ মিনিটে ব্যাংককের বামরুনগ্রাদ হাসপাতালে মারা যান তিনি। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিলো ৭৬ বছর।

আমজাদ হোসেনের মৃত্যুর খবরটি নিশ্চিত করেছেন তার বড় ছেলে সাজ্জাদ হোসেন দোদুলের স্ত্রী ও নাট্য নির্মাতা রাশেদা আক্তার লাজুক।

ঢাকাই চলচ্চিত্রের ‘ভাত দে’ খ্যাত নির্মাতার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে একাধিক সূত্র। ডিরেক্টর গিল্ডের সাধারণ সম্পাদক ও নির্মাতা এস এ হক অলিক ও বাচসাস-এর সভাপতি আব্দুর রহমান সাংবাদিককে জানান, আমজাদ ভাইয়ের ছেলে সাজ্জাদের সঙ্গে কথা হয়েছে, বাংলাদেশ সময় আজ দুপুর ২টা ৫৭ মিনিটে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন বলে জানান।

আমজাদ হোসেনের মৃতদেহ বাংলাদেশে নিয়ে আসার বিষয়টি ভাবছে কিনা জানতে চাইলে আমজাদ হোসেনের পুত্রবধূ লাজুক বলেন, এখনো কিছু সিদ্ধান্ত হয়নি। কবে, কখন, কীভাবে নিয়ে আসা হবে তা সিদ্ধান্ত নেয়া হলে জানিয়ে দেয়া হবে।

ব্রেন স্ট্রোক করে গত ১৮ নভেম্বর সকালে তেজগাঁয়ের ইমপালস হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন বাংলা চলচ্চিত্রের মাইলস্টোন ছবি ‘গোলাপী এখন ট্রেনে’র নির্মাতা আমজাদ হোসেন। হাসপাতালে ভর্তির পর থেকেই ছিলেন টানা লাইফ সাপোর্টে। তার অবস্থা দেখে চিকিৎসকরা জানিয়েছিলেন, কোনো মিরাকল না ঘটলে বাঁচানো যাবে না আমজাদ হোসেনকে।

না, কোনো মিরাকল ঘটেনি। উন্নত চিকিৎসার জন্য প্রধানমন্ত্রীর সহায়তায় এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে ২৭ নভেম্বর দিবাগত রাতে নিয়ে যাওয়া হয় ব্যাংককের বামরুনগ্রাদ হাসপাতালে। সেখানে প্রায় ১৭ দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর মারা গেছেন এই কিংবদন্তি নির্মাতা।

আমজাদ হোসেনের পরিচালনায় জনপ্রিয়তা পাওয়া ছবিগুলোর মধ্যে রয়েছে ‘বাল্যবন্ধু’, ‘পিতাপুত্র’, ‘এই নিয়ে পৃথিবী’, ‘বাংলার মুখ’, ‘নয়নমনি’, ‘গোলাপী এখন ট্রেনে’, ‘সুন্দরী’, ‘কসাই’, ‘জন্ম থেকে জ্বলছি’, ‘দুই পয়সার আলতা’, ‘সখিনার যুদ্ধ’, ‘ভাত দে’, ‘হীরামতি’, ‘প্রাণের মানুষ’, ‘সুন্দরী বধূ’, ‘কাল সকালে’, ‘গোলাপী এখন ঢাকায়’ ‘গোলাপী এখন বিলেতে’ ইত্যাদি।

১৯৭৮ সালে ‘গোলাপী এখন ট্রেনে’ এবং ১৯৮৪ সালে ‘ভাত দে’ চলচ্চিত্র নির্মাণের জন্য জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেন। এছাড়া নানামাত্রিক কাজের জন্য ১৪ বার জাতীয়ভাবে স্বীকৃতি পেয়েছেন। একইসাথে বাংলা একাডেমী পুরস্কার সহ অসংখ্য পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

জনপ্রিয় সংবাদ

কিংবদন্তি নির্মাতা, গীতিকার ও লেখক আমজাদ হোসেন মারা গেছেন

আপডেট টাইম : ০৬:১১:৫৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০১৮

হাওর বার্তা ডেস্কঃ কিংবদন্তি নির্মাতা, গীতিকার ও লেখক আমজাদ হোসেন মারা গেছেন। শুক্রবার (১৪ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ সময় দুপুর ২টা ৫৭ মিনিটে ব্যাংককের বামরুনগ্রাদ হাসপাতালে মারা যান তিনি। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিলো ৭৬ বছর।

আমজাদ হোসেনের মৃত্যুর খবরটি নিশ্চিত করেছেন তার বড় ছেলে সাজ্জাদ হোসেন দোদুলের স্ত্রী ও নাট্য নির্মাতা রাশেদা আক্তার লাজুক।

ঢাকাই চলচ্চিত্রের ‘ভাত দে’ খ্যাত নির্মাতার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে একাধিক সূত্র। ডিরেক্টর গিল্ডের সাধারণ সম্পাদক ও নির্মাতা এস এ হক অলিক ও বাচসাস-এর সভাপতি আব্দুর রহমান সাংবাদিককে জানান, আমজাদ ভাইয়ের ছেলে সাজ্জাদের সঙ্গে কথা হয়েছে, বাংলাদেশ সময় আজ দুপুর ২টা ৫৭ মিনিটে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন বলে জানান।

আমজাদ হোসেনের মৃতদেহ বাংলাদেশে নিয়ে আসার বিষয়টি ভাবছে কিনা জানতে চাইলে আমজাদ হোসেনের পুত্রবধূ লাজুক বলেন, এখনো কিছু সিদ্ধান্ত হয়নি। কবে, কখন, কীভাবে নিয়ে আসা হবে তা সিদ্ধান্ত নেয়া হলে জানিয়ে দেয়া হবে।

ব্রেন স্ট্রোক করে গত ১৮ নভেম্বর সকালে তেজগাঁয়ের ইমপালস হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন বাংলা চলচ্চিত্রের মাইলস্টোন ছবি ‘গোলাপী এখন ট্রেনে’র নির্মাতা আমজাদ হোসেন। হাসপাতালে ভর্তির পর থেকেই ছিলেন টানা লাইফ সাপোর্টে। তার অবস্থা দেখে চিকিৎসকরা জানিয়েছিলেন, কোনো মিরাকল না ঘটলে বাঁচানো যাবে না আমজাদ হোসেনকে।

না, কোনো মিরাকল ঘটেনি। উন্নত চিকিৎসার জন্য প্রধানমন্ত্রীর সহায়তায় এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে ২৭ নভেম্বর দিবাগত রাতে নিয়ে যাওয়া হয় ব্যাংককের বামরুনগ্রাদ হাসপাতালে। সেখানে প্রায় ১৭ দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর মারা গেছেন এই কিংবদন্তি নির্মাতা।

আমজাদ হোসেনের পরিচালনায় জনপ্রিয়তা পাওয়া ছবিগুলোর মধ্যে রয়েছে ‘বাল্যবন্ধু’, ‘পিতাপুত্র’, ‘এই নিয়ে পৃথিবী’, ‘বাংলার মুখ’, ‘নয়নমনি’, ‘গোলাপী এখন ট্রেনে’, ‘সুন্দরী’, ‘কসাই’, ‘জন্ম থেকে জ্বলছি’, ‘দুই পয়সার আলতা’, ‘সখিনার যুদ্ধ’, ‘ভাত দে’, ‘হীরামতি’, ‘প্রাণের মানুষ’, ‘সুন্দরী বধূ’, ‘কাল সকালে’, ‘গোলাপী এখন ঢাকায়’ ‘গোলাপী এখন বিলেতে’ ইত্যাদি।

১৯৭৮ সালে ‘গোলাপী এখন ট্রেনে’ এবং ১৯৮৪ সালে ‘ভাত দে’ চলচ্চিত্র নির্মাণের জন্য জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেন। এছাড়া নানামাত্রিক কাজের জন্য ১৪ বার জাতীয়ভাবে স্বীকৃতি পেয়েছেন। একইসাথে বাংলা একাডেমী পুরস্কার সহ অসংখ্য পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন।